অস্ট্রিয়ায় স্কুলে বন্দুক হামলা, নিহত বেশ কয়েকজন
Published: 10th, June 2025 GMT
অস্ট্রিয়ার গ্রাজের একটি স্কুলে বন্দুক হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। মঙ্গলবার বোর্গ ড্রেইয়ার্সচুটজেনগাসে উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
অস্ট্রিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন, তবে সংখ্যাটি নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। কতজন শিক্ষার্থী এবং কতজন শিক্ষক ছিলেন তার বিস্তারিত তথ্য তারা দেয়নি। হামলার ঘটনায় আহতদের সংখ্যা সম্পর্কেও তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে দাবি করেছে, এই ঘটনায় কমপক্ষে আটজন নিহত হয়েছেন। তারা আরও দাবি করেছে যে বন্দুকধারী আত্মহত্যা করেছে। তবে কর্তৃপক্ষ এখনো এটি নিশ্চিত করেনি।
পুলিশের মুখপাত্র সাবরি ইয়র্গুন বলেছেন, “স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় একটি ফোন পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে বিশেষ বাহিনী পাঠানো হয়েছে।”
স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে গ্রাজ পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ লিখেছে, স্কুলটি খালি করা হয়েছে এবং শিক্ষার্থী ও কর্মীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে নগদের গাড়িচালকের পরিকল্পনাতেই ছিনতাই: পুলিশ
যশোরের মনিরামপুরে আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নগদের প্রাইভেট কার ঠেকিয়ে ৩৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ছিনতাই হওয়া ৩২ লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে। নগদ ডিস্ট্রিবিউটরের প্রাইভেট কারচালকের যোগসাজশে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।
আজ বুধবার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন– নগদ ডিস্ট্রিবিউটরের প্রাইভেট কারচালক ও যশোর শহরের পোস্ট অফিসপাড়ার ইউসুফ আলী সাজু, ঝিকরগাছার বাঁকড়া দিগদানা গ্রামের রনি গাজী, সুজন ইসলাম, ইমদাদুল গাজী, নাসিম গাজী, একই উপজেলার খোষালনগর গ্রামের সাগর হোসেন ও সোহেল রানা।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে যশোরের নগদ ডিস্ট্রিবিউটর রবিউল ইসলাম প্রাইভেট কারযোগে মনিরামপুর যাচ্ছিলেন। পথে জামতলা নামক স্থানে পেছনের দিক থেকে দুটি মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা তাঁর গতিরোধ করে। তারা মোটরসাইকেল থেকে নেমে প্রাইভেট কারের কাচ ভাঙচুর এবং চাপাতি দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে ডিস্ট্রিবিউটরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁর কাছে থাকা ৩৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। বিষয়টি রবিউল ইসলাম জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ছিনতাইয়ের ঘটনার আগে ও পরের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। ডিবিসহ জেলা পুলিশের একাধিক দল বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেলের সূত্র ধরে আসামি সাগর হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। সাগরের তথ্যের ভিত্তিতে বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। ইমদাদুল গাজীর হেফাজত থেকে ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ৫০০ টাকা এবং সুজনের বাড়ি থেকে ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
নূর-ই-আলম সিদ্দিকী আরও বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনার পর নগদের লোকজন টাকার পরিমাণ ৫৫ লাখ বলেছিলেন, যা সঠিক নয়। প্রকৃত টাকার পরিমাণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার, মনিরামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ইমদাদুল হক, ডিবির ওসি মঞ্জুরুল হক ভূঞা, মনিরামপুর থানার ওসি বাবলুর রহমান খান প্রমুখ।