রূপগঞ্জে বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
Published: 10th, June 2025 GMT
বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি (বিএজেপি) আগামী তিন মাসের জন্য রূপগঞ্জ থানার ২৭ সদস্য আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। মো. নুর আলমকে রূপগঞ্জ থানার আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং আব্দুর সালামকে সদস্য সচিব করে এ কমিটি গঠন করা হয়।
গত ৬ জুন (সোমবার) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিএজেপি’র নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক বশির আহমেদ এবং সদস্য সচিব আবু ইউসুফ এই কমিটির অনুমোদন দেন।
নতুন কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- বি.
কমিটি ঘোষণার পর নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক বশির আহমেদ পার্টির আহবায়ক ও সদস্য সচিবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং দলীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
আহবায়ক মো. নুর আলম বলেন,বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি বিশ্বাস করে যে দেশের মালিক জনগণ এবং তাদের অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের প্রথম দায়িত্ব। তারা দুর্নীতিমুক্ত সুশাসন প্রতিষ্ঠার উপর জোর দেন, যেখানে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা থাকবে।
আমলাতান্ত্রিক জটিলতা হ্রাস করে এবং সরকারি সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়ে একটি জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তোলার কথা তারা বলেন।
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চাকে তারা অপরিহার্য মনে করেন।
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠা এবং সকল রাজনৈতিক দলের সহাবস্থান ও শান্তিপূর্ণ কার্যক্রমের উপর তারা জোর দেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
বরগুনায় ভয়াবহ ডেঙ্গু পরিস্থিতি, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
দেশের চার ভাগের এক ভাগ ডেঙ্গু রোগী বরগুনায়। ইতোমধ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে জেলায় মারা গেছেন ৭ জন। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫শ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে জেলায়। ১৫৮ জন ভর্তি রয়েছেন বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে।
এ পরিসংখ্যানই বলে দেয় বরগুনা জেলা এখন ডেঙ্গু হটস্পট। তারপরও জেলাটিকে ‘ডেঙ্গু হটস্পট’ ঘোষণা না করা এবং জরুরি ব্যবস্থা না নেওয়ায় রাস্তায় নেমেছে বরগুনার সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার (১০ জুন) সকাল ৯টায় প্রেসক্লাব চত্বরে সর্বস্তরের সাধারণ জনগণের ব্যানারে প্রতিবাদ সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারী কর্মীরা। পরে সকাল ১১টায় একই স্থানে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বরগুনা সদর উপজেলা বিএনপি।
বরগুনা সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি তালিমুল ইসলাম পলাশের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ উজ জামান মামুন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা এবং সাবেক সহ-সভাপতি এ জেড এম সালেহ ফারুক।
বরগুনার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী নাসরিন আক্তার শিমু বলেন, ‘‘বরগুনার জেনারেল হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা এবং প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে বরগুনায় তাদের সহকর্মী স্থানীয় উদ্যোক্তা মোনালিসা জেরিন এবং কিশোরী উপমাসহ ১০ জনেরও বেশি মানুষের অকাল মৃত্যু হয়েছে। ভয়াবহ পরিস্থিতি ধারণ করেছে ডেঙ্গু। যে কোনো সময় এ পরিস্থিতি আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পেতে পারে। যা সামাল দেওয়া রাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব হবে না।’’
বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লার কন্যা উপমা এবং সাবেক সংসদ সদস্য জাফরুল হাসান ফরহাদের কন্যা মোনালিসা জেরিনসহ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকজনের অকালমৃত্যুর পরে রাস্তায় নেমেছে সাধারণ মানুষ।
বরগুনা প্রেসক্লাবের মধ্যস্থতায় স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনের নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে জরুরি ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে বরগুনার জেনারেল হাসপাতালে পর্যাপ্ত ডাক্তার এবং নার্স নিয়োগের দাবিতে বিভিন্ন সময়ে একাধিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফোরাম নামে এসব সভা সমাবেশের আয়োজন করে বরগুনা প্রেসক্লাব ও স্থানীয় সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। এসব কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় গত কয়েকদিনে জেলা প্রশাসন, পৌর পরিষদ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে করণীয় বিষয়ে আলোচনা করে বরগুনার স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফোরামের নেতৃবৃন্দ।
বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাড. সোহেল হাফিজ বলেন, ‘‘বাংলাদেশে যেখানে সাড়ে ৪ হাজার রোগী সেখানে শুধু বরগুনা জেলায় দেড় হাজার ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বরগুনার সিভিল সার্জনসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকগণ কিছুতেই ছুটিতে যেতে পারেন না। মাত্র ১০ জন ডাক্তার নিয়ে এমন জরুরি পরিস্থিতি সামলানো হাস্যকর। তাই জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইতোমধ্যেই বরগুনা প্রেসক্লাবের মধ্যস্থতায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফোরাম গঠন করা হয়েছে। করণীয় নির্ধারণে জেলা প্রশাসন স্বাস্থ্য বিভাগ এবং পৌর প্রশাসনের সাথে একাধিক আলোচনা সভা করা হয়েছে। এতেও পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি। নজিরবিহীন ডাক্তার ও নার্স সংকটের কারণে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাচ্ছে না।’’
বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘‘ডেঙ্গু মশার ভয়াবহ উপদ্রব এবং বরগুনার চিকিৎসা সেবার অচল অবস্থার কারণে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বরগুনায়। এভাবে একটি জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চলতে পারে না।’’
কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ উজ জামান মামুন বলেন, ‘‘বরগুনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে বরগুনা পৌরসভা, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সকলেরই দায়িত্বহীনতা রয়েছে। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সচিব কেন বরগুনায় আসলেন না? স্বাস্থ্য উপদেষ্টা কেন আসলেন না তার জবাব দিতে হবে জনগণের কাছে।’’
ব্যর্থতার দায় নিয়ে তাদের পদত্যাগ দাবি করেন তিনি।
ইমরান//