জামালপুরে বিয়েবাড়িতে খাবার নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ২৫
Published: 10th, June 2025 GMT
জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় বিয়েবাড়িতে খাবার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
সোমবার (৯ জুন) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের গুদাশিমুলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- আব্দুল মাজেদ সরদার, রিপন সরদার, রুকন সরদার, বাবু, লাভলু, আব্দুল মালেক, কনের নানা শহিদুল্লাহ, বাবুর্চি বুরুজ। এ সময় ৮ থেকে ১০ জন নারীসহ দুপক্ষের প্রায় ২৫ জন আহত হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েকমাস আগে মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের চর শোভাগাছা এলাকার আমিনুর আকন্দের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক তারেকের (২৪) সঙ্গে বিয়ে হয় একই উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের পোশাক শ্রমিক আসাদুল ইসলামের মেয়ে আর্জিনার। বিয়ের সময় মেয়েকে বরের বাড়িতে তুলে দেওয়া হয়নি। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়েকে বরের বাড়িতে তুলে নেওয়ার জন্য উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়। সেই হিসেবে মেয়ের বাবা আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়েকে বরের বাড়িতে তুলে দেওয়ার খাবারের আয়োজন করেন।
এ অনুষ্ঠানে পাড়া প্রতিবেশীদেরও নিমন্ত্রণ করা হয়। নিমন্ত্রিত অতিথিদের দুপুর থেকে খাওয়ানো শুরু হয়। বরপক্ষের লোকজন বিকেল ৫টার দিকে আসেন বিয়েবাড়িতে। তারা এসে খাওয়া-দাওয়া শুরু করেন। এ সময় বরপক্ষের লোকজন প্রচুর পরিমাণে খাবার নষ্ট করছিলেন বলে অভিযোগ করেন কনে পক্ষের লোকজন। মেয়ের পক্ষের লোকজন তাদের খাবার নষ্ট করতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
এক পর্যায়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ২৫ জন আহত হন। এ সময় বরপক্ষের একজন ছেলে ও মেয়েকে আটকে রাখেন কনেপক্ষের লোকজন। পরে তারা ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে ও তাদের উদ্ধার করেন। এ সময় কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। আহতরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে এ ঘটনায় কেউ গুরুতর আহত হননি।
এ বিষয়ে চরপাকেরদহ ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো.
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, মারামারির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলেপক্ষের লোকজনদের উদ্ধার করেছে। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ঘর ষ আহত ব য় র অন ষ ঠ ন জন আহত উপজ ল এ সময়
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩
ক্যারিবীয় সাগরে একটি জাহাজে আবারো হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে জাহাজটিতে থাকা অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
আরো পড়ুন:
নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের
কানাডার সঙ্গে আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের
শনিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই জাহাজটিকে অবৈধ মাদক চোরাচালানে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।”
তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত এই হামলার সময় জাহাজটিতে ‘তিনজন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তিনজনই নিহত হয়েছেন।”
শনিবারের এই হামলার আগে গত বুধবার ক্যারিবীয় সাগরে আরো একটি জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হন। গত সোমবার মার্কিন হামলায় নিহত হন ১৪ জন।
মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার নাগরিকসহ ৬২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৪টি নৌযান এবং একটি সাবমেরিন ধ্বংস হয়েছে।
তবে নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র এখনও দেয়নি। ফলে হামলার বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
ভেনেজুয়েলা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং মেক্সিকো উপসাগরে মোতায়েন করেছে আরেকটি যুদ্ধজাহাজ।
ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারী নৌযানের ওপর তাদের হামলাকে ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নৌযান সাধারণত আটক করা হয় ও ক্রুদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মার্কিন অভিযানগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে। জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই অভিযানগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
ঢাকা/ফিরোজ