১২ জুলাইয়ের মধ্যে সম্মেলন করতে না পারলে কমিটি ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি
Published: 10th, June 2025 GMT
ফরিদপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি গঠন করে ১২ জুলাইয়ের মধ্যে জেলা কমিটি এবং জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে মহানগর বিএনপির সম্মেলন করতে না পারলে বর্তমান কমিটি ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি।
বিএনপির দলীয় প্যাডে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ওই চিঠি জেলা ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবকে পাঠানো হয়েছে। রুহুল কবির রিজভী ২ জুন ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করলেও ফরিদপুরের নেতারা গতকাল সোমবার সেটি হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ফরিদপুর মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব গোলাম মোস্তফা বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
পৃথক দুই চিঠিতে বলা হয়, ২ জুন নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপস্থিতিতে (ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে) ফরিদপুর বিভাগীয় বিএনপির নেতাদের নিয়ে একটি সভা হয়। সভায় জেলার আওতাধীন সব ইউনিটের কমিটি গঠন করে ১২ জুলাইয়ের মধ্যে জেলা বিএনপির সম্মেলন এবং মহানগরের আওতাধীন ওয়ার্ডগুলোর কমিটি করে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সম্মেলন সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। অন্যথায় জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি ভেঙে দেওয়া হবে। আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবকে পাঠানো চিঠিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত কার্যকর করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে এম কিবরিয়া প্রথম আলোকে বলেন, কমিটি ভেঙে দেওয়া না–দেওয়া কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিষয়। তবে তাঁরা চেষ্টা করবেন, বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে জেলার সম্মেলন আয়োজন করার। তিনি বলেন, জেলার অধীনে মোট ১৪টি ইউনিট আছে। এর মধ্যে ৪টি ইউনিটে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাকি ১০টি ইউনিটের কাজ দ্রুত শেষ করতে পারবেন তাঁরা আশাবাদী।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার আওতাধীন আলফাডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপি, ভাঙ্গা পৌর বিএনপি এবং সদরপুর উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে কমিটি গঠনপ্রক্রিয়া ও যোগ্য ব্যক্তিদের মূল্যায়ন না করে ‘পকেট কমিটি’ করার অভিযোগ উঠলে কেন্দ্র চারটি কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে কেন্দ্র। তবে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম (বাবুল) দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানে নির্দেশে নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-২ আসন ছেড়ে সদরপুর, ভাঙ্গা ও চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৪ আসনে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন। এরপরই স্থগিত সদরপুর উপজেলার কমিটি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি। তবে অন্য তিনটি কমিটির কার্যক্রম এখনো স্থগিত আছে।
জানতে চাইলে মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব গোলাম মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, ‘২ জুন স্বাক্ষর করা চিঠি আমাদের হাতে এসেছে গতকাল। মহানগর বিএনপির অধীনে ২৭টি ওয়ার্ড আছে। ইতিমধ্যে ১৯টি ওয়ার্ডের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।’ তাঁর দাবি, গঠিত ১৯টি কমিটি নিয়ে কোনো বিতর্ক ওঠেনি। সেগুলো কেন্দ্রে জমা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বাকি আটটি কমিটি দ্রুত গঠন করে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে মহানগর বিএনপির সম্মেলন আয়োজন করা কঠিন হবে না।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সদস যসচ ব র আওত ধ ন গঠন কর র কম ট উপজ ল প রথম ইউন ট
এছাড়াও পড়ুন:
১০ টাকায় ইলিশ বিতরণ, জনতার চাপে ‘মাফ চেয়ে’ এলাকা ছাড়ালেন ‘এমপি প্রার্থী’
ফরিদপুরে সদরপুর উপজেলায় মাত্র ১০ টাকায় ইলিশ মাছ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন রায়হান জামিল নামের এক ব্যক্তি। কিন্তু বিতরণের জন্য যে পরিমাণ মাছ তিনি এনেছিলেন, তার থেকে লোকসংখ্যা কয়েক গুণ বেশি হয়। সবাইকে মাছ দিতে না পেরে জনতার বিক্ষোভের মুখে কোনোরকমে এলাকা ছাড়েন তিনি।
আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার বিশ্ব জাকের মঞ্জিল সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে। তিনি ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর ৪ আসনের একজন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে এলাকায় তৎপরতা চালাচ্ছিলেন। এরই অংশ হিসেবে ‘জনগণের মন জয় করার জন্য’ তিনি ১০ টাকায় ইলিশ মাছ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রায়হান জামিল ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ পরিচয় দিয়ে সপ্তাহখানেক আগে সদরপুরের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার সাঁটান। তাতে তিনি লেখেন, ১০ টাকায় ইলিশ মাছ দেবেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিশ্ব জাকের মঞ্জিল উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই ইলিশ দেওয়ার কথা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মঙ্গলবার সকাল থেকে শত শত মানুষ জাকের মঞ্জিল উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ভিড় জমান। বিতরণ শুরুর একপর্যায় মাছ ফুরিয়ে যায়। তখন মাছ নিতে না পারা লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে রায়হান জামিল পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন।
‘স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী’ পরিচয়ে ১০ টাকায় ইলিশ বিতরণ করতে যাওয়া রায়হান জামিল