যশোরে পূর্বশত্রুতার জেরে বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
Published: 11th, June 2025 GMT
যশোরের শার্শা উপজেলায় লিটন হোসেন (৩৫) নামের বিএনপির এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত লিটন হোসেন দুর্গাপুর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে। এ ঘটনায় আজ আজগর আলী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এজাহারভুক্ত দুই আসামি দুর্গাপুর গ্রামের আজগর আলী (৪৮) ও জামশেদকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত ১০টার দিকে দুর্গাপুর গ্রামের বাজারে একটি চায়ের দোকানের পাশে গরুর গাড়িতে শুয়ে ছিলেন লিটন। এ সময় অতর্কিতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে দুর্বৃত্তরা। লিটনের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে হামলাকারী ব্যক্তিরা পালিয়ে যান। স্বজনেরা খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে লিটনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির বাবা বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি জানান, নিহত লিটনের বিরুদ্ধে থানায় মাদক মামলা ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, স্থানীয় আধিপত্য নিয়ে নিহত লিটনের সঙ্গে স্থানীয় সেলিম, রমজান, আজগরদের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় বিএনপির অনুসারী প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী পোস্টার টানানো নিয়ে সেলিম-রমজানদের সঙ্গে লিটনের মারামারি হয়। এর পর থেকে বিভিন্ন সময়ে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলে আসছিল। এর জেরে লিটনকে হত্যা করা হতে পারে।
নিহত লিটনের বাবা আজগর আলী সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা আবদুল মমিন, সেলিম হোসেন ও রমজান আলীর সঙ্গে তাঁর ছেলে লিটনের দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক বিরোধ চলে আসছিল। তারা আগেও লিটনকে কয়েকবার মারধর করেছেন। ঈদের আগের দিন বাগ্বিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এসবের জেরে তাঁকে হত্যা করা হতে পারে।
শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান বলেন, নিহত লিটন বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী। পূর্বশত্রুতার জেরে সন্ত্রাসীরা তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র ল টন র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে পূর্বশত্রুতার জেরে বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
যশোরের শার্শা উপজেলায় লিটন হোসেন (৩৫) নামের বিএনপির এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত লিটন হোসেন দুর্গাপুর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে। এ ঘটনায় আজ আজগর আলী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এজাহারভুক্ত দুই আসামি দুর্গাপুর গ্রামের আজগর আলী (৪৮) ও জামশেদকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত ১০টার দিকে দুর্গাপুর গ্রামের বাজারে একটি চায়ের দোকানের পাশে গরুর গাড়িতে শুয়ে ছিলেন লিটন। এ সময় অতর্কিতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে দুর্বৃত্তরা। লিটনের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে হামলাকারী ব্যক্তিরা পালিয়ে যান। স্বজনেরা খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে লিটনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির বাবা বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি জানান, নিহত লিটনের বিরুদ্ধে থানায় মাদক মামলা ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, স্থানীয় আধিপত্য নিয়ে নিহত লিটনের সঙ্গে স্থানীয় সেলিম, রমজান, আজগরদের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় বিএনপির অনুসারী প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী পোস্টার টানানো নিয়ে সেলিম-রমজানদের সঙ্গে লিটনের মারামারি হয়। এর পর থেকে বিভিন্ন সময়ে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলে আসছিল। এর জেরে লিটনকে হত্যা করা হতে পারে।
নিহত লিটনের বাবা আজগর আলী সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা আবদুল মমিন, সেলিম হোসেন ও রমজান আলীর সঙ্গে তাঁর ছেলে লিটনের দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক বিরোধ চলে আসছিল। তারা আগেও লিটনকে কয়েকবার মারধর করেছেন। ঈদের আগের দিন বাগ্বিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এসবের জেরে তাঁকে হত্যা করা হতে পারে।
শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান বলেন, নিহত লিটন বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী। পূর্বশত্রুতার জেরে সন্ত্রাসীরা তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।