আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের ‘সেঞ্চুরি’, ৪৪ বছর বয়সী গোলকিপার, বিশ্বকাপজয়ী ২৬—সংখ্যায় ক্লাব বিশ্বকাপ
Published: 12th, June 2025 GMT
১৪২
ক্লাবে বিশ্বকাপের দলগুলোতে সবচেয়ে বেশি খেলোয়াড় ব্রাজিলের—১৪২ জন। এ ছাড়া ১০০-র বেশি খেলোয়াড় আছে শুধু আর্জেন্টিনার (১০৪)। তালিকায় এরপর আছে স্প্যানিশ (৫৪), পর্তুগিজ (৪৯), আমেরিকান (৪২), মেক্সিকান (৪০), ফরাসি (৩৭), জার্মান (৩৬), ইতালিয়ান (৩৬), মরোক্কান (৩১) এবং দক্ষিণ আফ্রিকান (৩১) খেলোয়াড়েরা।
১১২ক্লাব বিশ্বকাপে যাঁরা খেলবেন তাঁদের মধ্যে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোল ইন্টার মায়ামির লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার হয়ে ১১২ গোল করেছেন দলটির বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। এরপর আছেন হ্যারি কেইন (বায়ার্ন মিউনিখ, ইংল্যান্ড)—৭৩, লুইস সুয়ারেজ (ইন্টার মায়ামি, উরুগুয়ে)—৬৯, আলেকসান্দার মিত্রোভিচ (আল হিলাল, সার্বিয়া)—৬২, এদিনসন কাভানি (বোকা জুনিয়র্স, উরুগুয়ে)—৫৮, অলিভিয়ের জিরু (এলএ এফসি, ফ্রান্স)—৫৭, মেহদী তারেমি (ইন্টার মিলান, ইরান)—৫৫ ও কিলিয়ান এমবাপ্পে (রিয়াল মাদ্রিদ, ফ্রান্স)—৫০।
জাতীয় দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচও মেসির (১৯৩)। এরপর আছেন লুকা মদরিচ (রিয়াল, ক্রোয়েশিয়া, ১৮৮) এবং সের্হিও রামোস (মন্তেরেই, স্পেন ১৮০)।
৪৪ক্লাব বিশ্বকাপ শুরুর দিন ফ্লুমিনেন্সের গোলকিপার ফাবিওর বয়স হবে ৪৪ বছর ২৫৭ দিন। এবারের ক্লাব বিশ্বকাপে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় এই ব্রাজিলিয়ানই। এর পরেই আছেন তার ক্লাব সতীর্থ এবং সেন্টারব্যাক থিয়াগো সিলভা (৪০), মামেলোদি সানডাউনসের গোলকিপার ডেনিস ওনিয়াঙ্গো(৪০), রিয়ালের মিডফিল্ডার লুকা মদরিচ (৩৯) এবং পাচুকার ডিফেন্ডার গুস্তাভো কাবরাল (৩৯)।
ফ্লুমিনেন্সের গোলকিপার ফাবিও.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ল ব ব শ বক প গ লক প র সবচ য়
এছাড়াও পড়ুন:
রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন
অন্তর্বর্তী সরকার সময়মতো ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে পবিত্র রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পর তিনি তাঁর আগের কাজে ফিরে যাবেন।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাকে এসব কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন থেকে ভিডিও ফোনকলে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেন জর্জিয়েভা।
এ সময় তাঁরা বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক সংস্কার, আঞ্চলিক পরিস্থিতি এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনের পূর্ববর্তী চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এই কৃতিত্ব তাঁর নিজের।
অর্থনীতির সংকটকালীন পরিস্থিতি স্মরণ করে আইএমএফ প্রধান বলেন, ‘আপনার অর্জন আমাকে মুগ্ধ করেছে। অল্প সময়ে আপনি অনেক কিছু করেছেন। যখন অবনতির ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি ছিল, তখন আপনি দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। আপনি সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তি।’
ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বিশেষভাবে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের স্থিতিশীলতা এবং রিজার্ভ পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের সাহসী পদক্ষেপ, বাজারভিত্তিক বিনিময় হার প্রবর্তনের প্রশংসা করেন।
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের এক সংকটময় সময়ে আইএমএফ প্রধানের অবিচল সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘চমৎকার সহায়তার জন্য ধন্যবাদ।’ তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গত বছর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথ সুগম করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
কথোপকথনে আইএমএফ প্রধান অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং খাতে গভীর সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘শক্ত অবস্থানে থাকতে হলে সংস্কার অনিবার্য। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অমূল্য মুহূর্ত।’
অধ্যাপক ইউনূস জানান, তাঁর সরকার ইতিমধ্যে ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠন এবং রাজস্ব সংগ্রহ জোরদারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এক বিধ্বস্ত ও সম্পূর্ণ ভেঙে পড়া অর্থনীতি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। কিছু ব্যক্তি আক্ষরিক অর্থে ব্যাগভর্তি টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।’
এ ছাড়া আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। এর মধ্যে ছিল নেপালে চলমান যুব আন্দোলন এবং আসিয়ানভুক্তির জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা। অধ্যাপক ইউনূস আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি জোরদারের লক্ষ্যে ঢাকার বৃহৎ অবকাঠামো উদ্যোগ—যেমন নতুন বন্দর ও টার্মিনাল প্রকল্প—সম্পর্কেও অবহিত করেন।
আলোচনাকালে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।