বুধবার থেকে ক্রিকেটের তীর্থভূমি লর্ডসে শুরু হয়েছে আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। প্রথম দিনেই ১৪টি উইকেটের পতন দেখেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। অস্ট্রেলিয়া টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৫৬.৪ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২১২ রানে অলআউট হয়ে যায়। জবাব দিতে নেমে প্রোটিয়ারাও পড়ে বিপাকে। ৩০ রান তুলতেই তারা হারায় ৪টি উইকেট এবং দিন শেষ করে ১৬৯ রানে পিছিয়ে থেকে।

দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শূন্য রানে উইকেট হারায়, প্রথম ওভারের শেষ বলে। এইডেন মার্করাম মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হয়ে যান শূন্য রানে।

১৯ রানের মাথায় তারা দ্বিতীয় উইকেট হারায়। এবার রায়ান রিকেলটনকে উসমান খাজার হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান স্টার্ক। ৩টি চারে ১৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

আরো পড়ুন:

ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়া

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল: যা যা জানা জরুরী

২৫ রানে গিয়ে তৃতীয় উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার প্যাট কামিন্স বোল্ড করেন উইয়ান মুল্ডারকে। ৩ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।

৩০ রানের মাথায় জস হ্যাজলউড চতুর্থ আঘাত করেন প্রোটিয়া শিবিরে। তিনি বোল্ড করেন ট্রিস্টান স্টাবসকে। ২ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।

সেখান থেকে টেম্বা বাভুমা ও ডেভিড বেডিংহ্যাম ১৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে প্রথম দিন শেষ করে আসেন। বাভুমা ৬ এবং বেডিংহ্যাম ৮ রানে অপরাজিত আছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে তারা দুজন দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে নামবেন।

তার আগে কাগিসো রাবাদা ও মার্কো ইয়ানসেনের বোলিং তোপে ২১২ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস। রাবাদা ৫টি উইকেট নেন ৫১ রানে। আর ইয়ানসেন ৪৯ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট।

ব্যাট হাতে অস্ট্রেলিয়ার বিউ ওয়েবস্টার ১১টি চারে সর্বোচ্চ ৭২ রান করেন। আর স্টিভেন স্মিথ ১০টি চারে করেন ৬৬ রান। এছাড়া অ্যালেক্স ক্যারি ২৩, মার্নাস লাবুশেন ১৭ ও ট্র্যাভিস হেড ১১ রান করেন। বাকিদের কেউ ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের কোটা।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট স ট চ য ম প য়নশ প ট স ট চ য ম প য়নশ প উইক ট হ র য় ফ ইন ল প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ