এইচপির দলে সালাউদ্দিনের ছেলেসহ আরও যারা আছেন
Published: 12th, June 2025 GMT
২০২৫-২৬ মৌসুমের জন্য হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ২৮ সদস্যের এই দলে জায়গা পেয়েছেন জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের ছেলে নুহায়েল সানদিদ। চায়নাম্যান বোলিংয়ে বৈচিত্র্য ও কার্যকারিতার কারণে গেল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেই নজরে আসেন তিনি।
নুহায়েলের বোলিং অ্যাকশন ও ধাঁচ নিয়ে আলোচনা শুরু হয় তার প্রিমিয়ার লিগ অভিষেকের আগেই। গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমির হয়ে খেলতে নেমে অভিষেক ম্যাচেই ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রে। প্রতিপক্ষ ছিল প্রাইম ব্যাংক, আর কোচ ছিলেন তার বাবা সালাউদ্দিন। অভিষেক ম্যাচে বাবার হাত থেকেই ক্যাপ পাওয়ার মুহূর্তটি ক্রিকেটপাড়ায় ছিল বেশ আবেগঘন। তবে পরিচিতি ছেলের নয়, গুণের কারণে মিলেছে বিসিবির নজর।
এইচপি স্কোয়াড মূলত জাতীয় দলের সম্ভাবনাময় ক্রিকেটারদের প্রস্তুত রাখার প্ল্যাটফর্ম। স্পিন বিভাগে সানদিদের সঙ্গে রয়েছেন নাঈম আহমেদ, স্বাধীন ইসলাম ও নাইম হোসেন সাকিব। স্পিন অলরাউন্ডারদের তালিকায় আছে রাকিবুল হাসান, শেখ পারভেজ জীবন, মাহফুজুর রহমান রাব্বি, আশরাফুল হাসান ও ওয়াসি সিদ্দিকি।
পেসারদের মধ্যে রিপন মণ্ডল ও মারুফ মৃধার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন মেহেদী হাসান, শফিকুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান পায়েল ও আব্দুল গাফফার। পেস অলরাউন্ডার হিসেবে জায়গা পেয়েছেন তোফায়েল আহমেদ, চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান, আহমেদ শরীফ ও আব্দুল্লাহ আল মামুন।
ব্যাটিং বিভাগে টপ অর্ডারে আছেন মাহফিজুল ইসলাম রবিন, জিসান আলম, ইফতেখার ইফতি, আশিকুর রহমান শিবলি, হাবিবুর রহমান সোহান ও আইচ মোল্লা। মিডল অর্ডারে সুযোগ পেয়েছেন আরিফুল ইসলাম, প্রীতম কুমার ও আহরার আমিন।
একনজরে এইচপি স্কোয়াড: মাহফিজুল ইসলাম রবিন, জিসান আলম, ইফতেখার ইফতি, আশিকুর রহমান শিবলি, হাবিবুর রহমান সোহান, আইচ মোল্লা, আরিফুল ইসলাম, প্রীতম কুমার, আহরার আমিন, রাকিবুল হাসান, শেখ পারভেজ জীবন, মাহফুজুর রহমান রাব্বি, আশরাফুল হাসান, ওয়াসি সিদ্দিকি, তোফায়েল আহমেদ, চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান, আহমেদ শরীফ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, নাঈম আহমেদ, নুহায়েল সানদিদ, স্বাধীন ইসলাম, নাঈম হোসেন সাকিব, রিপন মণ্ডল, মারুফ মৃধা, মেহেদী হাসান, শফিকুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান পায়েল ও আব্দুল গাফফার।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এইচপ স ক য় ড র রহম ন ল ইসল ম আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
ম্যাচ প্র্যাকটিস ছাড়াই শান্তদের লঙ্কাযাত্রা
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ আসরে নিজেদের প্রথম সিরিজ খেলার জন্য কাল শ্রীলঙ্কা যাবেন শান্তরা। গুরুত্বপূর্ণ এই সিরিজে প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
লঙ্কার কন্ডিশন মাথায় রেখে প্রস্তুতির ভেন্যু নির্বাচন না করা, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ না খেলা সমালোচনার আগুনে ঘি ঢেলেছে। অথচ ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ চাইলেই চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ টাইগার্স বা এইচপির সঙ্গে চার বা তিন দিনের একটি ম্যাচ খেললে ভালো হতো বলে মনে করেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
দক্ষিণ আফ্রিকা হাইপারফরম্যান্স দলের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ হাইপারফরম্যান্স দল। নান্নু মনে করেন, ‘এইচপি বা টাইগার্সের সঙ্গে তিন দিনের একটি ম্যাচ খেললে ভালো হতো। ওখানে যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকত ‘ম্যাচ সিনারিও’ অনুশীলে তা থাকে না। এইচপির সঙ্গে ম্যাচ হলে উভয় দলের খেলোয়াড়রা জেতার জন্য মরিয়া হয়ে খেলত। ছোটদের কাছে হার এড়াতে একাগ্র থাকত জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা। এভাবে কেন চিন্তা করেনি বা সুযোগ নেয়নি, জানি না।’
কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ দলের বিদেশ সফরে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার চল উঠে গেছে। ভারত, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোথাও লাল বলের প্রস্তুতি ম্যাচ ছিল না টাইগারদের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সিরিজ খেলার আগে কন্ডিশনে মানিয়ে নেওয়ার জন্য কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ রাখেনি। ঈদ পালনের পর দেরি করে শ্রীলঙ্কায় যাওয়ায় সেটা সম্ভব হচ্ছে না। ঢাকার পরিবর্তে গলে বা কলম্বোয়ও অনুশীলনের সুযোগ নেয়নি বিসিবি। সেদিক থেকে স্বদেশি কোনো দলের সঙ্গে একটি চার দিনের ম্যাচ খেলা গেলে ভালো হতো বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।