বাংলাদেশকে পেনাল্টি না দেওয়া রেফারি ও তার স্ত্রীর ‘ফেসবুক লক’
Published: 12th, June 2025 GMT
শেষ মুহূর্তে পেনাল্টির আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় বদলে যেতে পারত ম্যাচের ফলাফল। কিন্তু রেফারির সেই এক সিদ্ধান্তেই শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে তাই যত আলোচনা রেফারি ক্লিফোর্ড দায়পুয়াতকে ঘিরেই।
নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে সিঙ্গাপুরের ইরফান নাজিব ডিবক্সে ফাউল করেছিলেন বাংলাদেশের মিডফিল্ডার ফয়সাল আহমেদ ফাহিমকে। ফাহিম পড়ে যাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির আবেদন করে বাংলাদেশ দল। তবে বাঁশি বাজাননি দায়পুয়াত।
এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় রেফারিং নিয়ে সমালোচনার ঝড়। এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্তকে সিদ্ধান্তকে ঘিরে দায়পুয়াত ও তার স্ত্রী কেসা রুথকে ব্যক্তিগত আক্রমণের মুখে পড়তে হয়। পরিস্থিতি এতটাই তিক্ত হয়ে ওঠে যে, শেষমেশ নিজেদের ফেসবুক প্রোফাইল লক করে দিতে বাধ্য হন তারা। বর্তমানে ফেসবুকে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, দুজনের প্রোফাইলই লক করা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সমালোচনার মাত্রা সহনীয় না হওয়ায়ই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রেফারি ও তার স্ত্রী।
মাত্র ২০ বছর বয়সে রেফারিং শুরু করেছিলেন ক্লিফোর্ড দায়পুয়াত। ২০১৯ সালে ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইরাক-কম্বোডিয়ার ম্যাচ পরিচালনা করেছিলেন প্রায় ৫০ হাজার দর্শকের সামনে। এরপর ২০২১ সালের এএফসি কাপেও ম্যাচ পরিচালনা করেন তিনি। কিন্তু আলোচনার কেন্দ্রে এমনভাবে এর আগে কখনও আসেননি।
এই ম্যাচের পর ‘সি’ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলেও হালকা নড়চড়। দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট করে নিয়ে শীর্ষে সিঙ্গাপুর ও হংকং। আর ১ পয়েন্ট করে নিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে আছে বাংলাদেশ ও ভারত।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার কিশোরের মৃত্যু
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার এক কিশোর ১২ দিন পর মারা গেছে। নিহত কিশোরের নাম মো. শিহাব (১৭)। সে উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের মিজানুর রহমান রিপনের ছেলে। চলতি বছর এসএসসি পাস করেছে সে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিল শিহাব। শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে গত ২০ আগস্ট রাত আটটার দিকে তাকে নির্মম নির্যাতন করা হয়। রিপনের এক ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে শিহাব ছিল সবার বড়। প্রচণ্ড মারধরের পর থেকেই সে অচেতন অবস্থায় ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিহাব গত ২০ অক্টোবর পার্শ্ববর্তী বান্দুড়িয়া এলাকায় তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যায়। সে তেঁতুলতলা বাঁকের কাছে গেলে তার প্রেমিকার আত্মীয়-স্বজনেরা তাকে তাড়া দেয়। শিহাব নিজেকে রক্ষা করতে রাতের অন্ধকারে মাঠের মধ্যে দৌড় দেয়। একপর্যায়ে শিহাব দিক হারিয়ে অন্ধকারের মধ্যে পুকুরে ঝাঁপ দেয়।
সেসময় কিছু ব্যক্তিও পুকুরে নেমে শিহাবকে মারধর শুরু করে। এরপর তাকে পুকুর থেকে তুলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান।
একপর্যায়ে শিহাব জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে ঢলে পড়ে। এরপর লাঠি দিয়ে শিহাবকে আরো পিটিয়ে ফেলে রেখে যায় প্রেমিকার আত্মীয়রা। পরে স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। মাথায় গুরুত্বর আঘাত থাকায় তার জ্ঞান ফেরেনি। তাই তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
শিহাবকে নির্যাতনের ঘটনায় তার বাবা রিপন গত ২৪ অক্টোবর রাতে রতন আলী (৩২), মো. কানন (২২), সুজন আলী (৩২), ইয়ার উদ্দীন (৩২), মো. শরীফ (৩৫), মো. রাব্বি (২৫), মো. হালিম (৩০) এবং মো. কলিম (৩২) নামের নয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো আট থেকে নয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করে গোদাগাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। তবে শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত এদের কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি থানা-পুলিশ।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে শিহাব হামলার শিকার হয়েছিল। তার মৃত্যুর খবর শুনেছি। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। হামলার ঘটনায় আগে করা মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে। আসামিদের গ্রেপ্তারে সব ধরনের চেষ্টা চলছে।”
ঢাকা/কেয়া/এস