উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়া ভবনটি ছিল চিকিৎসকদের হোস্টেল: পুলিশ
Published: 12th, June 2025 GMT
ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদ থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনগামী উড়োজাহাজটি একটি আবাসিক এলাকায় চিকিৎসকদের হোস্টেলের ওপর বিধ্বস্ত হয়েছে।
আহমেদাবাদ পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএনআইকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জ্যেষ্ঠ ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে উড্ডয়ন করা উড়োজাহাজটি চিকিৎসকদের একটি হোস্টেলে বিধ্বস্ত হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী এবং অন্য বেসামরিক কর্মীরা কয়েক মিনিটের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছেন। এখনো উদ্ধারকাজ চলছে।
এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ ফ্লাইটটি আহমেদাবাদের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাচ্ছিল। উড়োজাহাজটি বেলা ১টা ৩৮ মিনিটে সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করেছিল।
দুর্ঘটনায় কতজন হতাহত হয়েছেন, তা এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। যে বাড়ির ওপর বিধ্বস্ত হয়েছে, সেখানে কেউ হতাহত হয়েছেন কি না, তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
এক কর্মকর্তা জানান, আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের (গ্যাটউইক) উদ্দেশে ১টা ৩৮ মিনিটে উড্ডয়ন করে উড়োজাহাজটি। উড্ডয়নের পাঁচ মিনিট পরই মেঘানি নগরের একটি আবাসিক এলাকায় চিকিৎসকদের হোস্টেল ভবনে এটি বিধ্বস্ত হয়।
উড়োজাহাজের প্রধান পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সাবহারওয়াল ও সহকারী পাইলট ছিলেন ক্লাইভ কুন্ডার। প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উড্ডয়নের পরপরই বিমানে বড় ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়, যে কারণে দ্রুত নিচে নামতে গিয়ে উড়োজাহাজটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
ফ্লাইট সেফটি বিশেষজ্ঞ মার্কো চ্যান জানিয়েছেন, উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময় আবহাওয়া স্থিতিশীল ও আকাশ পরিষ্কার ছিল।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ ক ৎসকদ র আহম দ ব দ কর মকর ত ব ধ বস ত ত হয় ছ
এছাড়াও পড়ুন:
শরীয়তপুরের সেই বিদ্যালয়টি অবশেষে ভেঙেই পড়ল পদ্মা নদীতে
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাচিকাটা ইউনিয়নের ১৫১ নম্বর উত্তর মাথাভাঙা মান্নান সরকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি পদ্মা নদীতে ভেঙে পড়েছে। বিলীন হয়ে গেছে বিদ্যালয়ের ৩০ শতাংশ জমি। বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবন নদীতে বিলীন হওয়ায় পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। সোমবার বিকেলে ভবনটির একটি অংশ নদীতে ভেঙে পড়ে।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাচিকাটা ইউনিয়ন পদ্মা নদীর চরে অবস্থিত। ইউনিয়নটির একদিকে মুন্সিগঞ্জ ও আরেক দিকে চাঁদপুর জেলা। ওই এলাকাটির চার দিক দিয়ে পদ্মা নদী প্রবাহিত হয়েছে। ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মাথাভাঙা চরবানিয়াল গ্রামে ৪০০ পরিবারের বসবাস। ওই গ্রামের বাসিন্দারা নদীতে মাছ শিকার ও কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাঁদের মধ্যে পড়ালেখার আগ্রহ কম। এ ছাড়া গ্রামটিতে কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল না। ২০১৭ সালে ওই গ্রামে একটি বিদ্যালয় স্থাপন করে সরকার। পরের বছর ২০১৮ সাল থেকে বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালু করা হয়। একতলা একটি পাকা ভবনের চারটি কক্ষে পাঠদান কার্যক্রম চলছিল। সোমবার বিকেলে বিদ্যালয় ভবনের একটি অংশ নদীতে ভেঙে পড়েছে।
আরও পড়ুনযেকোনো সময় পদ্মায় বিলীন হতে পারে শরীয়তপুরের বিদ্যালয়টি১৯ ঘণ্টা আগেবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষকেরা জানান, ২০২৩ সালে বিদ্যালয়টি পদ্মার ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়ে। তখন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সেখানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করে। এ বছরের জুন মাসে সেই বালুর বস্তা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। তখন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভবনটি রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে চিঠি দেন। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন ভাঙনের কবল থেকে বিদ্যালয় ভবনটি রক্ষার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বিদ্যালয় ভবনটি ভাঙনের মুখে পড়লে ৪ সেপ্টেম্বরের থেকে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। রোববার বিদ্যালয়ের আসবাব ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলে উত্তর মাথঅভাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে