ঢাকায় মেয়েদের সাফে অংশ নেবে না ভারত
Published: 12th, June 2025 GMT
পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ১১ থেকে ২২ জুলাই ঢাকার কিংস অ্যারেনায় হবে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ। শুরুতে পাঁচটি দেশ এই টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ভারত নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
দক্ষিণ এশীয় ফুটবল ফেডারেশনের (সাফ) একটি বিশ্বস্ত সূত্র আজ প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে কী কারণে ভারত প্রতিযোগিতা থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে, সেটা জানায়নি দেশটি। ভারত না থাকায় বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভুটান—এই চার দেশ নিয়ে হবে সাফের এবারের আসর।
২০১৮ সালে প্রথম অনূর্ধ্ব-১৮ বয়সভিত্তিক পর্যায়ে হয়েছিল নারী সাফ। সেবার বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন আর ভারত হয় তৃতীয়। এরপর কখনো অনূর্ধ্ব-১৯, কখনো অনূর্ধ্ব-২০ পর্যায়ে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টগুলোতে নিয়মিত অংশ নেয় ভারত। এই প্রতিযোগিতায় দুবার চ্যাম্পিয়ন আর একবার রানার্সআপ তারা।
ভারত নাম প্রত্যাহার করায় টুর্নামেন্টের ফরম্যাটেও বদল এসেছে। এখন চার দল রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে একে অন্যের সঙ্গে দুবার করে খেলবে। একটি দল ছয়টি করে ম্যাচ পাবে। শীর্ষ পয়েন্টধারী দলের হাতে উঠবে ট্রফি।
সাফ অনূর্ধ্ব–২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন র ধ ব
এছাড়াও পড়ুন:
সুনামগঞ্জে তাজা গ্রেনেড উদ্ধারের পর নিষ্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় একটি তাজা গ্রেনেড পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১৩ জুন) সেনাবাহিনীর একটি দল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করে। এর আগে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় কৃষক সাব্বির আহমদের জমি থেকে গ্রেনেডটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাব্বির তার জমিতে কাজ করছিলেন। এসময় একটি গ্রেনেড সাদৃশ্য বস্তু দেখতে পান তিনি। বিশ্বম্ভরপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পরে সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়। সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিশ্চিত হয়, এটি একটি তাজা গ্রেনেড। শুক্রবার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
শান্তিগঞ্জ সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের ইনচার্জ লে. কর্নেল আল হোসাইন বলেন, ‘‘গ্রেনেডটির মডেল হচ্ছে এম-৩৬। এটি ব্রিটিশ আমলে সরবরাহ করা হত। ১৯৭২ সালের পর আর এটি সরবরাহ করা হয়নি। এখানে গ্রেনেডটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কোনোভাবে আসতে পারে। এটি মাটির নিচে একশ বছরের কমবেশি সময় সক্রিয় থাকতে পারে। বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।’’
বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মুখলেছুর রহমান বলেন, ‘‘এক কৃষক তার মরিচ ক্ষেতে গ্রেনেডটি দেখে আমাদের খবর দেন। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে শান্তিগঞ্জ সেনাবাহিনীর অধিনায়ককে অবগত করি। শুক্রবার তারা গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে।’’
ঢাকা/মনোয়ার/রাজীব