‘থাপ্পড়ের প্রতিশোধ নিতে’ গরু ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
Published: 12th, June 2025 GMT
গরু ব্যবসায়ী কামাল হোসেন লালমনিরহাটের আদিতমারীর ভেলাবাড়ীর তালুক দুলালী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বছরখানেক আগে একই গ্রামের হাফিজুল ইসলামকে (২৭) থাপ্পড় দেন। সেই থাপ্পড়ের প্রতিশোধ নিতে গতকাল বুধবার বিকেলে কামালকে ঘুমন্ত অবস্থায় কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন হাফিজুল।
কামাল হোসেন হত্যার ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার তাঁর স্ত্রী শিউলি বেগমের করা মামলায় এমন অভিযোগ করা হয়েছে। লালমনিরহাটের আদিতমারী থানায় করা হত্যা মামলায় হাফিজুলসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আয়শা খাতুন (৫৫) ও আবদুল কুদ্দুস (৬০) নামের দুই আসামিকে গতকাল রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আবদুল কুদ্দুস ও আয়শা খাতুন প্রধান আসামি হাফিজুলের বাবা ও মা।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রের ভাষ্য অনুযায়ী, বছরখানেক আগে হাফিজুল ইসলাম (২৭) ভেলাবাড়ীর ফারুক মিয়াকে মারধর করেন। এ সময় কামাল হোসেন (৪০) মারামারি থামিয়ে হাফিজুলকে থাপ্পড় মেরে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। থাপ্পড় মারার কারণে আসামিরা কামাল হোসেনের ক্ষতি করার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকেন। গতকাল বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কামাল নিজ বসতবাড়িসংলগ্ন বাঁশঝাড়ের নিচে কাঠের তৈরি বেঞ্চের ওপর ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় অন্য আসামিদের পরামর্শ ও সহযোগিতায় হাফিজুল কুড়াল নিয়ে কামালের মাথায় আঘাত করেন। এ সময় কামালের আর্তচিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে হাফিজুল ইসলাম দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক কামালকে মৃত ঘোষণা করেন।
কামাল হোসেনের স্ত্রী শিউলি বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী নাহয় একটা থাপ্পড় দিছিল, সেই জন্য কি প্রতিশোধ নিতে তাকে এভাবে খুন করতে হবে? আমি এর বিচার চাই, আসামির ফাঁসি চাই।’
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘থাপ্পড়ের প্রতিশোধ নিতে’ গরু ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
গরু ব্যবসায়ী কামাল হোসেন লালমনিরহাটের আদিতমারীর ভেলাবাড়ীর তালুক দুলালী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বছরখানেক আগে একই গ্রামের হাফিজুল ইসলামকে (২৭) থাপ্পড় দেন। সেই থাপ্পড়ের প্রতিশোধ নিতে গতকাল বুধবার বিকেলে কামালকে ঘুমন্ত অবস্থায় কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন হাফিজুল।
কামাল হোসেন হত্যার ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার তাঁর স্ত্রী শিউলি বেগমের করা মামলায় এমন অভিযোগ করা হয়েছে। লালমনিরহাটের আদিতমারী থানায় করা হত্যা মামলায় হাফিজুলসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আয়শা খাতুন (৫৫) ও আবদুল কুদ্দুস (৬০) নামের দুই আসামিকে গতকাল রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আবদুল কুদ্দুস ও আয়শা খাতুন প্রধান আসামি হাফিজুলের বাবা ও মা।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রের ভাষ্য অনুযায়ী, বছরখানেক আগে হাফিজুল ইসলাম (২৭) ভেলাবাড়ীর ফারুক মিয়াকে মারধর করেন। এ সময় কামাল হোসেন (৪০) মারামারি থামিয়ে হাফিজুলকে থাপ্পড় মেরে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। থাপ্পড় মারার কারণে আসামিরা কামাল হোসেনের ক্ষতি করার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকেন। গতকাল বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কামাল নিজ বসতবাড়িসংলগ্ন বাঁশঝাড়ের নিচে কাঠের তৈরি বেঞ্চের ওপর ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় অন্য আসামিদের পরামর্শ ও সহযোগিতায় হাফিজুল কুড়াল নিয়ে কামালের মাথায় আঘাত করেন। এ সময় কামালের আর্তচিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে হাফিজুল ইসলাম দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক কামালকে মৃত ঘোষণা করেন।
কামাল হোসেনের স্ত্রী শিউলি বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী নাহয় একটা থাপ্পড় দিছিল, সেই জন্য কি প্রতিশোধ নিতে তাকে এভাবে খুন করতে হবে? আমি এর বিচার চাই, আসামির ফাঁসি চাই।’
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আকবর বলেন, এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের পর আজ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।