দক্ষিণ এশীয় নারী ফুটবলের সম্ভাবনাময়ীদের মিলনমেলা এবার ঢাকায়। কিন্তু সেই জমজমাট আয়োজনে অনুপস্থিত থাকবে ভারতের অনূর্ধ্ব-২০ নারী দল। আগামী ১১ জুলাই শুরু হতে যাচ্ছে এই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। যেখানে ভারতের নাম না থাকায় অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে চারটিতে।

শুরুতে পাঁচ দলের অংশগ্রহণে একটি জমজমাট লড়াইয়ের প্রত্যাশা ছিল আয়োজকদের। তবে শেষ মুহূর্তে ভারত সরে যাওয়ায় বদলে গেছে পুরো চিত্র। নতুন সূচিতে এখন বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভুটানের মেয়েরা একে অপরের বিপক্ষে দু’দফায় খেলবে রাউন্ড-রবিন পদ্ধতিতে। অর্থাৎ, প্রতিটি দল পাবে ছয়টি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ। আর সর্বোচ্চ পয়েন্ট অর্জনকারী দলই হবে চ্যাম্পিয়ন।

ভারতের নাম প্রত্যাহার নিয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেয়নি অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)। তবে সাফ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, তাদের কাছে ভারতের অনুপস্থিতির বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

ফয়সাল-আশিকুরের গোলে ফাইনালে বাংলাদেশ

ভারতে দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও জয় পেল না বাংলাদেশ

এই পরিস্থিতিতে স্বাগতিক বাংলাদেশের মেয়েদের সামনে বড় সুযোগ। কারণ, তারা শুধু টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়নই নয়, এবার ঘরের মাঠেও খেলবে। ভারত না থাকায় প্রতিপক্ষের মান বিচারে স্বাগতিকদের এগিয়ে রাখছেন অনেকেই। ১১ জুলাই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের অভিযান।

প্রথমে জাতীয় স্টেডিয়ামে আয়োজনের পরিকল্পনা থাকলেও ভেন্যু পরিবর্তন করে নেওয়া হয়েছে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়। যেখানে দেশের শীর্ষ ক্লাব বসুন্ধরা কিংস তাদের ম্যাচগুলো খেলে থাকে। জাতীয় স্টেডিয়ামে সংস্কারকাজ চলায় এ সিদ্ধান্ত নেয় বাফুফে।

চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের সময়ও একাধিকবার পেছাতে হয়েছে। শুরুতে নির্ধারিত ছিল ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু নানা কারণে তা পিছিয়ে জুলাইয়ে নেয়া হয়। সব প্রতিকূলতা ও পরিবর্তনের মাঝেও ভারতের অনুপস্থিতি এবার বাংলাদেশের জন্য বাড়তি সুবিধা হয়ে উঠতে পারে, আত্মবিশ্বাসের জ্বালানির মতো। এখন দেখার পালা, ঘরের মাঠে মেয়েরা সেই আত্মবিশ্বাসকে সাফল্যে রূপ দিতে পারে কি না।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ফ চ য ম প য়নশ প ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

সিজারের সময় নবজাতকের পা ভেঙে ফেলার অভিযোগ

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সিজারিয়ান অপারেশনের সময় এক নবজাতকের পা ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ক্লিনিকের চেয়ারম্যান ও আবাসিক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বিষয়টি নিয়ে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে নবজাতকসহ তাদেরকে ক্লিনিক থেকে বের করে দেওয়া হয়। ওই রাতেই শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম হাসপাতালে) নেওয়া হয়। 

অভিযুক্ত চিকিৎসক পার্থ সমদ্দার কলাপাড়া পৌর শহরের জমজম ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আবাসিক চিকিৎসক এবং চেয়ারম্যান।শিশুটির

স্বজনদের অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) প্রসব বেদনা নিয়ে জমজম ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হন লালুয়ার ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার মেয়ে ও রফিকুলের স্ত্রী মিম বেগম। ওই রাতেই মিমের সিজারিয়ান অপারেশন করেন ডা. পার্থ সমদ্দার। সিজারের কিছুক্ষণ পরই টিকার কথা বলে নবজাতকের পায়ে একটি ইনজেকশন পুশ করা হয়। পরের দিন থেকেই নবজাতকের বাম পা ফুলতে শুরু করে এবং কান্না বাড়তে থাকে। বিষয়টি চিকিৎসক ও নার্সদেরকে অবহিত করলে তারা তাতে কর্ণপাত করেননি। উল্টো ওই ক্লিনিকের কর্মী ও নার্সরা নবজাতকের স্বজনদের সঙ্গে অসদাচরণের পাশাপাশি তাদের ক্লিনিক থেকে বের করে দেন। পরে অন্যত্র এক্সরে করে জানা যায়, সিজারের সময় নবাজতকের পা ভেঙে ফেলেছেন চিকিৎসক। 

নবজাতকের মা মিম আক্তার বলেছেন, বাচ্চা অনবরত কান্না করলে প্রথমে নার্স ও পরে চিকিৎককে অবহিত করা হয়। বাচ্চার বাম ফুলে গেলে তা জানানো হয়। কিন্তু, তারা এর কোনো প্রতিকার না করে আমাদের ধমকাতে থাকেন। ক্লিনিক ছেড়ে চলে যেতে চাপ প্রয়োগ করেন। 

নবজাতকের নানা সিদ্দিক বলেন, টিকার কথা বলে আমার নাতিকে শরীর অবশ করার ইনজেকশন দিয়েছিল নার্সরা। ইনজেকশনের কার্যকারিতা শেষ হওয়ার পরপরই আমার নাতি অনেক কান্না করে। আমার স্ত্রী নার্সদের বললে তারা তাকে মারধরের চেষ্টা করে। আমাদের সঙ্গে ক্লিনিকের সবাই অনেক খারাপ আচরণ করেছে। এভাবে রোগীদের সঙ্গে প্রাইভেট ক্লিনিকের কর্মকর্তারাও যদি অসদাচরণ করে, তাহলে আমরা কোথায় যাব?

সিজারের সময় নবজাকের পা ভাঙেনি, দাবি করে জমজম ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চেয়ারম্যান ডা. পার্থ সমদ্দার বলেছেন, আমি শিশু বিশেষজ্ঞ নই। নবজাতককে একজন শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেছেন, যদি সিজারিয়ান অপারেশনের প্রশিক্ষণ থাকে, তাহলে এনেস্থেসিস্টও সিজার করতে পারেন। তবে, এনেস্থেসিস্ট একাই সিজারিয়ান অপারেশন করতে পারেন না।

ঢাকা/ইমরান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিজারের সময় নবজাতকের পা ভেঙে ফেলার অভিযোগ