ঢাকায় সাফের মঞ্চে খেলবে না ভারত, আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ
Published: 12th, June 2025 GMT
দক্ষিণ এশীয় নারী ফুটবলের সম্ভাবনাময়ীদের মিলনমেলা এবার ঢাকায়। কিন্তু সেই জমজমাট আয়োজনে অনুপস্থিত থাকবে ভারতের অনূর্ধ্ব-২০ নারী দল। আগামী ১১ জুলাই শুরু হতে যাচ্ছে এই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। যেখানে ভারতের নাম না থাকায় অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে চারটিতে।
শুরুতে পাঁচ দলের অংশগ্রহণে একটি জমজমাট লড়াইয়ের প্রত্যাশা ছিল আয়োজকদের। তবে শেষ মুহূর্তে ভারত সরে যাওয়ায় বদলে গেছে পুরো চিত্র। নতুন সূচিতে এখন বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভুটানের মেয়েরা একে অপরের বিপক্ষে দু’দফায় খেলবে রাউন্ড-রবিন পদ্ধতিতে। অর্থাৎ, প্রতিটি দল পাবে ছয়টি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ। আর সর্বোচ্চ পয়েন্ট অর্জনকারী দলই হবে চ্যাম্পিয়ন।
ভারতের নাম প্রত্যাহার নিয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেয়নি অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)। তবে সাফ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, তাদের কাছে ভারতের অনুপস্থিতির বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ফয়সাল-আশিকুরের গোলে ফাইনালে বাংলাদেশ
ভারতে দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও জয় পেল না বাংলাদেশ
এই পরিস্থিতিতে স্বাগতিক বাংলাদেশের মেয়েদের সামনে বড় সুযোগ। কারণ, তারা শুধু টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়নই নয়, এবার ঘরের মাঠেও খেলবে। ভারত না থাকায় প্রতিপক্ষের মান বিচারে স্বাগতিকদের এগিয়ে রাখছেন অনেকেই। ১১ জুলাই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের অভিযান।
প্রথমে জাতীয় স্টেডিয়ামে আয়োজনের পরিকল্পনা থাকলেও ভেন্যু পরিবর্তন করে নেওয়া হয়েছে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়। যেখানে দেশের শীর্ষ ক্লাব বসুন্ধরা কিংস তাদের ম্যাচগুলো খেলে থাকে। জাতীয় স্টেডিয়ামে সংস্কারকাজ চলায় এ সিদ্ধান্ত নেয় বাফুফে।
চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের সময়ও একাধিকবার পেছাতে হয়েছে। শুরুতে নির্ধারিত ছিল ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু নানা কারণে তা পিছিয়ে জুলাইয়ে নেয়া হয়। সব প্রতিকূলতা ও পরিবর্তনের মাঝেও ভারতের অনুপস্থিতি এবার বাংলাদেশের জন্য বাড়তি সুবিধা হয়ে উঠতে পারে, আত্মবিশ্বাসের জ্বালানির মতো। এখন দেখার পালা, ঘরের মাঠে মেয়েরা সেই আত্মবিশ্বাসকে সাফল্যে রূপ দিতে পারে কি না।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ফ চ য ম প য়নশ প ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
‘চরকা বানডি’ থেকে ‘রামদা নৃত্য’—ফুলবাড়িয়ায় জমজমাট লাঠিখেলা
লাঠির ঘূর্ণি, রামদার ঝলক, বাদ্যের তালে তালে লাঠিয়ালের শরীরী কসরত—একসময় গ্রামীণ জনপদের প্রাণ ছিল এই লাঠিখেলা। আধুনিকতার জোয়ারে সেই খেলাই আজ বিলুপ্তির পথে। তবে হারিয়ে যেতে বসা ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখার প্রাণান্ত প্রয়াস দেখা গেল ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার রঘুনাথপুর গ্রামে। ‘অনির্বাণ ছাত্র সংঘ’ নামের একটি সংগঠনের এক যুগ পূর্তিতে আয়োজিত জমজমাট লাঠিখেলায় ফিরে এল সেই পুরোনো দিনের উত্তেজনা, গ্রামবাংলার রঙিন ছায়া আর ঐতিহ্যের শিকড়ের টান।
লাঠিখেলায় শারীরিক কসরত দেখাচ্ছেন দুই লাঠিয়াল