এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। তবে মাত্র ১০ মিনিটের জন্য ওই বিমানে উঠতে পারেননি এক নারী। আর এ কারণেই ভাগ্যের জোরে মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে গিয়েছেন ভূমি চৌহান।

তিনি বলেন, ‘আমার পুরো শরীর এখনও কাঁপছে!’

ওই নারী জানান, তিনি লন্ডনের ব্রিস্টলে থাকেন। ছুটি কাটাতে দেশে এসেছিলেন। বৃহস্পতিবারের বিমানে আবার ব্রিটেনে ফেরার কথা ছিল তার। তবে ১০ মিনিট দেরি হওয়ার কারণে বিমান দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান তিনি।

ভূমি জানান, বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে অহমদাবাদের যানজটে ফেঁসে গিয়েছিলেন তিনি। ওই যানজটের কারণেই এ যাত্রায় তিনি রক্ষা পেয়েছেন। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ভূমি। তিনি বলেন, ‘আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ। আমার ঈশ্বরই আমাকে বাঁচিয়েছেন।’ বিমানে উঠতে না পেরে বিমানবন্দর ছেড়ে গুজরাতের বাড়িতে ফিরে আসেন ভূমি। দুপুর দেড়টা নাগাদ বিমানবন্দর ছাড়েন তিনি। দুর্ঘটনার খবর ছড়ানোর পরে বিমানবন্দরের কী পরিস্থিতি, তা আর দেখা হয়নি ভূমির। তবে রাস্তায় অনেক পুলিশের গাড়ি দেখেছেন তিনি।

বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুরে আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে উড়াল দেওয়ার পরই দুর্ঘটনায় পড়ে। উড়োজাহাজটিতে ২৪২ জন আরোহী ছিলেন।

বিবিসি বলছে, লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরগামী ওই উড়োজাহাজে যে ২৪২ জন আরোহী ছিল, তার মধ্যে দুইজন পাইলট ও ১০ জন ক্রুও ছিলেন।

যাত্রীদের মধ্যে ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক, একজন কানাডার ও ৭ জন পর্তুগালের নাগরিক রয়েছে বলে জানিয়েছে এয়ার ইনডিয়া। বাকিরা সবাই ভারতীয় নাগরিক।

আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের তথ্যের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, রানওয়ে ২৩ থেকে বেলা দেড়টার কিছু সময় পর উড়োজাহাজটি বিমানবন্দর ছাড়ে। এরপরই সেটি ‘মে ডে’ সঙ্কেত দেয়, এরপর আর উড়োজাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ধ বস ত ন হত দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ