বিরামপুর সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে দিলো বিএসএফ
Published: 13th, June 2025 GMT
দিনাজপুরে বিরামপুর সীমান্ত দিয়ে ৯ শিশুসহ ১৫ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাত আড়াইটার দিকে উপজেলা বিনাইল ইউনিয়নের অচিন্তপুর সীমান্তের ২৮৫ মেইন পিলার এলাকা দিয়ে তাদের ঠেলে দেওয়া হয়।
এদের মধ্যে ৯ জন শিশু রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ফুলবাড়ী ২৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এবি এম জাহিদুল করিম।
অচিন্তপুর সীমান্ত ফাঁড়ির ইনচার্জ কমান্ডার রফিকুল ইসলাম জানান, গভীর রাত আড়াইটার দিকে সীমান্ত ২৮৫ মেইন পিলার এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন বিদ্যুতের আলো বন্ধ করে দেন। বিজিবি সদস্যরা সেখানে ওঁত পেতে অবস্থান করে। পরে অন্ধকারে মধ্যে ভারত থেকে ১৫ জন ব্যক্তিকে আসতে দেখেন তারা। এসময় তাদের আটক করে বিজিবি হেফাজতে রাখা হয়। এদের মধ্যে ৩জন পুরুষ, ৩ জন নারী ও ৯ জন শিশু রয়েছে।
ঢাকা/মোসলেম/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ১৭ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
সুনামগঞ্জের ছাতক সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ১৭ জনকে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পবিতার (১২ জুন) সকালে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ছনবাড়ী-নোয়াকোট সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়। পরে প্রবেশকারীদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি জানায়, আটক ১৭ জনকে ছাতকের নোয়াকোট বিওপি ক্যাম্পের হাবিলদার মো. শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে বিজিবির একটি টহল টিম আটক করে। যাদের বিএসএফ ঠেলে পাঠিয়েছে, তাদের মধ্যে চারটি পরিবারের পুরুষ পাঁচজন, নারী চারজন ও শিশু আটজন। জানা গেছে, তারা লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে তারা ভারতে বসবাস করছিলেন।
আরো পড়ুন:
ভারতে পাচারের ২৫ বছর পর দেশে ফিরলেন নারী
চামড়া পাচাররোধে হিলি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার
বিজিবির সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, “প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে আটককৃতরা অতীতে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। বিএসএফ রাতের আঁধারে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
একই সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ গত ২৮ মে আরো ১৬ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়। তারা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন নারী, পাঁচজন পুরুষ ও ছয় শিশু ছিল। তাদের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়।
ঢাকা/মনোয়ার/মাসুদ