গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে জনপ্রিয় অভিনেতা সমু চৌধুরীর কয়েকটি স্থিরচিত্র। তাতে দেখা যায়, গামছা পরিহিত অবস্থায় একটি গাছের নিচে ঘুমিয়ে আছেন সমু চৌধুরী। পরে জানা যায়, ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মুখী শাহ্ মিসকিন মাজারের কাছে এ অবস্থায় শুয়ে ছিলেন তিনি।

সমু চৌধুরীর এসব ছবি ভাইরাল হওয়ার পর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসেন। কেউ কেউ দাবি করেন— মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন সমু চৌধুরী। তবে এ অভিনেতার দাবি, তিনি সুস্থ আছেন। পাশাপাশি গামছা পরে ঘুমিয়ে থাকার কারণ ব্যাখ্যা করলেন এই প্রবীণ নাট্যকার-অভিনেতা। 

সমু চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, “এটা খুবই লজ্জাজনক। আমি ভোরবেলা নামাজ পড়ে, নদীতে গোসল করে ওখানে ঘুমিয়েছিলাম। আমি এক কাপড়ে এখানে এসেছি।” 

আরো পড়ুন:

ঈদের ষষ্ঠ দিন ছোট পর্দার নাটক-টেলিফিল্ম

শতাধিক দেশ থেকে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ দেখছেন দর্শক

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মুখী শাহ্ মিসকিন মাজারে যাওয়ার বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে সমু চৌধুরী বলেন, “আমি যশোরে ছিলাম, যশোর থেকে ফিরে আসার পরই হঠাৎ ছোট ভাইরা বলছিল, মিসকিন শাহে যাবেন নাকি! আমি বললাম, এটা কোথায়? পরে মনে পড়ল, আমি সেখানে গিয়েছিলাম। তারপর আমি তাদের সঙ্গে আসি।” 

“সারাদিন আড্ডা মেরেছি, এখানকার যে কুতুবরা আছেন, যারা খাদেম আছেন, যারা পাগল আছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলছি, আড্ডা দিয়েছি। আমার জীবনের সঙ্গে, তাদের জীবনের মিল খুঁজছি, নাটক খুঁজছি।” বলেন সমু চৌধুরী। 

ছবি ছড়িয়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ সমু চৌধুরী বলেন, “আমি বুঝলাম না এতে তোদের কী?  তোরা আউলিয়া বুঝিস না, পাগল বুঝিস না, একটা ছবি তুলে দিয়ে দিলি, এটা তো ভাইরাল হয়ে গেছে।”   

সমু চৌধুরীর বাবা, ভাই-বোন কেউ নেই। এ তথ্য জানিয়ে এই অভিনেতা বলেন, “আমার বন্ধুরা যারা ছবিটি দেখেছে। এটা তো তাদের কলিজায় লেগে যায়। কেউ গাড়ি পাঠায়ে দিচ্ছে। শিল্পী সংঘ থেকে ফোন দিয়ে বলা হচ্ছে, দাদা তুমি ওখানে থাকো। শান্তিদি আমাকে ফোন দিয়ে বলছে, তুমি ওখানে থাকো; আমি গাড়ি পাঠায়ে দিচ্ছি। তুমি ওখান থেকে নড়বা না, আমি বললাম তোরা কী শুরু করেছিস? আমার স্বাধীনতা নাই? আমার বয়স ৬১। আমার বাবা, ভাই, বোন কেউ নাই, আমার একমাত্র মা আছে।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

অভিনেতা সমু চৌধুরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ, কী হয়েছিল তাঁর

হঠাৎ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিনেতা সমু চৌধুরীর একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে। ছবিতে দেখা গেছে, ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের একটি মাজারে গামছা পরা অবস্থায় গাছের নিচে শুয়ে আছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ছবিটা ছড়িয়ে পড়লে অনেকে জানতে চান, কী হয়েছে অভিনেতার? ছবিটি আসল নাকি কোনো শুটিংয়ের?
বিষয়টি নিশ্চিত হতে ছোটপর্দার অভিনয়শিল্পীদের সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘ ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রথম আলো। নিশ্চিত হওয়া যায়, ঘটনা সত্য—অসুস্থ অবস্থায় গফরগাঁও উপজেলার মশাখালী ইউনিয়নের একটি মাজার থেকে সমু চৌধুরীকে উদ্ধার করা হয়েছে।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে কথা হয় অভিনয়শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক অভিনেতা রাশেদ মামুন অপুর সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে আজ দুপুরে জানান, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হতে ওই স্থানে একজনকে পাঠানো হয়েছে। বিকেল চারটায় তিনি প্রথম আলোর কাছে সমু চৌধুরীকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অপু প্রথম আলোকে বলেন, ‘সমু দাদাকে পাওয়া গেছে। উনি কিছুটা অসুস্থ। আমরা পাগলা থানার সহায়তা চেয়েছি। থানায় নিয়ে এলে আমরা ঢাকা থেকে ওনাকে আনার জন্য গাড়ি পাঠাব, এরপর ঢাকায় এলে বাকি ঘটনা জানতে পারব।’

সমু চৌধুরীকে উদ্ধারের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন পাগলা থানার ওসি ফেরদৌস আলম। তিনি বলেন, ‘অভিনেতা সমু চৌধুরীকে আনতে আমাদের টিম সেখানে পৌঁছেছে। তিনি কিছুটা অসুস্থ। থানায় আনার পর বাকিটা বলতে পারব।’
নাটকের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন সমু চৌধুরী। ১৯৯৫ সালে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘আদরের সন্তান’ ছবির মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক। এরপর ‘দোলন চাঁপা’, ‘শত জনমের প্রেম’, ‘মায়ের অধিকার’, ‘দেশ দরদী’, ‘মরণ নিয়ে খেলা’, ‘প্রেমের নাম বেদনা’, ‘যাবি কই’, ‘সুন্দরী বধূ’সহ বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সমু চৌধুরীর গামছা পরা ছবির আসল গল্প কী, এখন কেমন আছেন তিনি
  • পরিবারের কাছে ফিরে গেলেন অভিনেতা সমু চৌধুরী
  • ‘অভিনেতা সমু চৌধুরী মানসিক ভারসাম্যহীন নন, মাজারভক্ত হিসেবে এসেছেন’
  • ‘সমু চৌধুরীর পরিবার যা চাইবে সেটাই করা হবে’
  • মাজার থেকে সরতে চাইছেন না সমু চৌধুরী
  • অভিনেতা সমু চৌধুরীকে পরিবারের জিম্মায় দিতে চায় পুলিশ
  • মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে রাস্তায় অভিনেতা সমু চৌধুরী, নেওয়া হলো নিরাপদ স্থানে
  • মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে রাস্তায় পড়ে আছেন অভিনেতা সমু চৌধুরী
  • অভিনেতা সমু চৌধুরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ, কী হয়েছিল তাঁর