ছাত্রদল নেতার গুলিতে ব্যবসায়ী হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ
Published: 13th, June 2025 GMT
রূপগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়াতে ছাত্রদল নেতার এলোপাথারি গুলিতে ব্যবসায়ী মামুন মিয়ার হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী।
শুক্রবার (১৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের উপজেলার গোলাকান্দাইল গোলচত্বর এলাকায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে কয়েক ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। বিক্ষোভকারীরা হত্যা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছিলেন উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছাব্বির হোসেন খোকা। গত মঙ্গলবার (১০ জুন) বিকালে তিনি এলাকায় ফিরলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে।
খোকাকে আটক করার খবর ছড়িয়ে পড়লে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ,জেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বাবু নিজস্ব লোকজন নিয়ে খোকাকে ছাড়িয়ে নিতে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় ।
এসময় গুলিবিদ্ধ হন স্থানীয় মুদি দোকানদার মামুন মিয়া (৩৫)। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও মামলার প্রধান আসামি জাহিদুল ইসলাম বাবু ও তার সহযোগীরা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিক্ষোভকারীরা।
নিহতের স্ত্রী ইমা আকতার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার স্বামী কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। সে প্রতিদিন দোকান চালিয়ে সংসার চালাত। আজ সে নেই, আমার ছেলেমেয়েরা বাবাহারা। যারা তাকে হত্যা করেছে, তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এটা আমরা মেনে নিতে পারি না। আমরা তার হত্যার বিচার চাই।
নিহতের বড় ভাই যুবদল নেতা বাদল মিয়া বলেন,আমার ভাই মামুনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনদিন হয়ে গেল, কিন্তু এখনো কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।
গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ওমর হোসেন বলেন, মামুন ছিলেন একজন নিরীহ দোকানদার। যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে সড়ক অবরোধ, থানা ঘেরাও, হরতালসহ কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
জানতে চাইলে রুপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ তৎপর রয়েছে। অতি দ্রুত সময়ের ভেতর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ছ ত র দল
এছাড়াও পড়ুন:
১৭ দিন পর কাটলো অচলাবস্থা, চক্ষু হাসপাতালে সেবা চালু
জুলাই আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে কর্মচারীদের সংঘর্ষের জেরে বন্ধ হওয়ার ১৭ দিন পর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরি ও বহির্বিভাগের সেবা চালু করে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার সঙ্গে প্রয়োজনে রোগী ভর্তি রেখেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে ৪ জুন জরুরি বিভাগ ও ১২ জুন সীমিত পরিসরে আউটডোরের সেবা চালু করে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম বলেন, শনিবার সকাল থেকে হাসপাতাল পুরোদমে সেবা চালু হয়েছে। রোগীদের সেবা দিতে চাই এবং চিকিৎসক-নার্সদেরও নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি করতে চাই।
কর্মরত একজন চিকিৎসক বলেন, আমরা সকাল থেকে রোগীদের সেবা দেওয়া শুরু করেছি জরুরি ও বহির্বিভাগে পূর্ণাঙ্গ সেবা পাচ্ছেন রোগীরা। প্রয়োজনে ভর্তি ও অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে।
এর আগে গত ২৮ মে আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে হাসপাতালের কর্মী, সাধারণ রোগী এবং তাদের স্বজনদের মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকে হাসপাতালটিতে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতালটিতে শুধু জুলাই আহতরা অবস্থান করেন। অন্তর্বর্তী সরকার তাদের জন্য বিশেষ উদ্যোগে খাবার সরবরাহ করেছে।
সরকার গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের ছাড়পত্র দিলেও ঈদের ছুটি শেষে তারা আবারও দুয়েকজন করে এই হাসপাতালে ফিরতে শুরু করেছেন। জুলাই আহতরা জানিয়েছেন- তারা এ হাসপাতাল থেকেই চিকিৎসা নিতে চান।