রেকর্ড দামে রিয়ালে ১৭ বছরের এই আর্জেন্টাইন
Published: 13th, June 2025 GMT
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলেন আর্জেন্টিনার উদীয়মান তারকা ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়োনো। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই সফলতম স্প্যানিশ ক্লাবটির সঙ্গে ছয় বছরের জন্য চুক্তি করলেন এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে মাস্তানতুয়োনোকে দলে ভেড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে রিয়াল। যদিও এখনই রিয়ালের হয়ে মাঠে নামবেন না আর্জেন্টিনার এই নতুন সেনসেশন। আগামী আগস্টে তার বয়স ১৮ পূর্ণ হওয়ার পর যোগ দেবেন সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে। ২০৩১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত লস ব্লাঙ্কোসদের সঙ্গে থাকবেন তিনি।
তরুণ এই ফুটবলারকে পেতে রিয়াল মাদ্রিদকে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, রিভারপ্লেটের রিলিজ ক্লজ অনুযায়ী রিয়ালকে গুণতে হয়েছে ৪ কোটি ৫০ লাখ ইউরো। এটিই আর্জেন্টাইন ক্লাব থেকে কোনো খেলোয়াড়ের দলবদলে সর্বোচ্চ ট্রান্সফার ফি।
জাতীয় দলের জার্সিতে মাস্তানতুয়োনোর অভিষেকও ইতিহাস গড়া। চলতি বছরের ৬ জুন চিলির বিপক্ষে মাঠে নেমে মাত্র ১৭ বছর ৯ মাস ২২ দিন বয়সে হয়ে ওঠেন আর্জেন্টিনার হয়ে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলা সবচেয়ে কনিষ্ঠ ফুটবলার।
রিভারপ্লেটের বয়সভিত্তিক দল পেরিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রিমেরা ডিভিশনে অভিষেক হয় মাস্তানতুয়োনোর। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে নজর কাড়েন কোচ ও বিশ্লেষকদের। ক্লাব ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ৬১ ম্যাচে ১০ গোল করেছেন এই মিডফিল্ডার।
রিয়ালে কোচ জাবি আলোনসোর অধীনে গ্রীষ্মকালীন দলবদলে মাস্তানতুয়োনো হলেন তৃতীয় ফুটবলার। এর আগে লিভারপুল থেকে ট্রেন্ট অ্যালেক্সান্ডার-আর্নল্ড এবং বোর্নমাউথ থেকে ডিন হাউসেনকে দলে টেনেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে মাস্তানতুয়োনো খেলবেন বর্তমান ক্লাব রিভারপ্লেটের হয়ে। ‘ই’ গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ ইন্টার মিলান (ইতালি), উরাওয়া রেডস (জাপান) এবং মোন্তেরেই (মেক্সিকো)।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ র ঙ ক ম স ত নত য় ন ম স ত নত য় ন আর জ ন ট বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
ইরান পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আরো শক্তিশালী করে পুনর্নির্মাণ করবে
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন, তেহরান তার পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে ‘আরো শক্তিশালী করে’ পুনর্নির্মাণ করবে। রবিবার সরকারি সংবাদমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তার দেশ পারমাণবিক অস্ত্রের সন্ধান করছে না।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে স্থাপনাগুলোতে বোমা হামলা চালিয়েছিল সেগুলো পুনরায় চালু করার চেষ্টা করলে তেহরান ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে নতুন করে হামলার নির্দেশ দেবেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেন, “ভবন ও কারখানা ধ্বংস আমাদের জন্য কোনো সমস্যা তৈরি করবে না, আমরা আরো শক্তির সাথে পুনর্নির্মাণ করব।”
জুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছিল। ওই সময় ওয়াশিংটন বলেছিল, স্থাপনাগুলো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির লক্ষ্যেএকটি কর্মসূচির অংশ ছিল। তবে তেহরান জানিয়েছিল, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে বেসামরিক উদ্দেশ্যে।
ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমের প্রসঙ্গে পেজেশকিয়ান বলেছেন, “এগুলো জনগণের সমস্যা সমাধানের জন্য, রোগের জন্য, জনগণের স্বাস্থ্যের জন্য।”
ঢাকা/শাহেদ