Samakal:
2025-07-31@11:47:46 GMT

ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফেরার ঢল

Published: 14th, June 2025 GMT

ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফেরার ঢল

পরিবারের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন শেষে ঢাকায় ফিরছেন কর্মজীবী মানুষ। নৌ, সড়ক ও রেলপথে বেড়েছে যাত্রীর ভিড়। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার খবরেও তাদের অধিকাংশের মুখেই দেখা যায়নি মাস্ক। কিছু স্থানে যাত্রীর চাপ ঠেকাতে পরিবহন-সংশ্লিষ্টদের গলদঘর্ম হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কোথাও পরিবহন সংকটের অজুহাত দেখিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগও উঠেছে।
শুক্রবার সকালে কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে দেখা যায়, উত্তরবঙ্গের বেশির ভাগ মানুষ ট্রেনে ঢাকায় ফিরছেন। টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর, লালমনিরহাট, সিরাজগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিনই কর্মজীবী মানুষ আসছেন। তবে এবারের ঈদে লম্বা ছুটি থাকায় যাত্রীদের তেমন ভোগান্তি হয়নি।
সিলেট থেকে আসা রকিবুল ইসলাম বলেন, পরিবার নিয়ে ঈদের ছুটিতে সিলেট গিয়েছিলাম। যাতায়াতে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। ট্রেনেরও তেমন শিডিউল বিপর্যয় ছিল না। 
কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, ঈদ-পরবর্তী আমাদের যে কর্মসূচি ছিল তা এখনও অব্যাহত। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, যাতে সময়মতো ট্রেন আসা-যাওয়া নিশ্চিত করা যায়। এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটেনি।

করোনা ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা যাত্রীদের বারবার অনুরোধ করছি মাস্ক পরে ট্রেনে ভ্রমণের জন্য। ঈদযাত্রার শুরু থেকেই এ সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে। তবে গতকাল সকাল থেকে যেসব ট্রেন ঢাকায় এসেছে, তার অধিকাংশ যাত্রীর মুখেই মাস্ক দেখা যায়নি। হাতেগোনা দু-একজন ছাড়া প্রায় সবাই মাস্ক ছাড়া এসেছেন। 
গুলিস্তান, গাবতলী, ফুলবাড়িয়া, সায়েদাবাদ, দোলাইরপাড় ও রায়েরবাগ এলাকায় দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। কাপড়ের ব্যাগ ও কোরবানির মাংস হাতে ঢাকায় ফিরছেন চাকরিজীবী, শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। গুলিস্তানে দেখা গেছে, বাস ও মাইক্রোবাস থেকে শত শত মানুষ নামছে। তারপর রিকশা, অটোরিকশা বা লোকাল বাসে করে যাচ্ছে নিজ গন্তব্যে। যাত্রীরা বলেন, বাসে সিট পেতে কষ্ট হয়েছে। ভাড়াও আগের চেয়ে অনেক বেশি। ৩০০ টাকার বাস ভাড়া ৫০০ টাকা দিতে হয়েছে।

বাংলাদেশ বাস মালিক সমিতির সদস্য তোফায়েল হোসেন বলেন, প্রতি ঈদের আগে-পরে বাসে মানুষের চাপ বাড়ে। এবার ছুটি লম্বা হওয়ায় অনেকেই দেরিতে ফিরছেন। অতিরিক্ত বাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যাত্রীসংখ্যা এত বেশি, সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, যমুনা সেতুর পশ্চিম পারে সিরাজগঞ্জের ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের সয়দাবাদ গোলচত্বর থেকে কড্ডা পর্যন্ত থেমে থেমে ঢাকা অভিমুখে চাপ ছিল। দুপুর থেকে সন্ধা ৭টা পর্যন্ত যমুনা সেতুর পশ্চিম পারের সয়দাবাদ থেকে কড্ডা পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটার অংশে থেমে থেমে ফিরতি যানবাহনের চাপ লক্ষ্য করা যায়। অন্যদিকে, যাত্রায় দুর্ভোগ ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করায় অনেক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি জানান, শুক্রবার দুপুর থেকে বিকেল নাগাদ যাত্রীদের ঢল নামে দৌলতদিয়া ঘাটে। মানুষের বাড়তি চাপ থাকলেও নেই কোনো ভোগান্তি নেই। যাত্রী হয়রানি বন্ধে ঘাট এলাকায় কাজ করছে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও ভ্রাম্যমাণ আদালত।
তবে পাটুরিয়া ও আরিচা ফেরি ঘাটে পরিবহন স্বল্পতায় কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে বলে জানান শিবালয় (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি। তিনি জানান, ঘাটে পরিবহন স্বল্পতার কারণ দেখিয়ে বাস মালিক ও শ্রমিকরা কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের কাছে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগণ ভাড়া বেশি নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করছেন।
পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি জানান, শুক্রবারের ট্রেনগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। টিকিট কেটেও ট্রেনে উঠতে হিমশিম খান যাত্রীরা। এসি ও সাধারণ কোচ যাত্রী ভিড়ে একাকার। অনেকে ছাদে উঠে যান। ছাদে ওঠা 
আটকাতে অভিযান চালানো হলেও সুযোগ পেলেই যাত্রীরা উঠে পড়ছেন বলে জানান পার্বতীপুর স্টেশনের নিরাপত্তা বাহিনীর চিফ ইনচার্জ হাসান শাহাবুল ইসলাম।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর বহন স

এছাড়াও পড়ুন:

নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।

আরো পড়ুন:

গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ

বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ

আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।

বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/সাজু/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ