কুষ্টিয়ার একমাত্র পিসিআর ল্যাবের সব যন্ত্রাংশ চুরি
Published: 14th, June 2025 GMT
কুষ্টিয়ায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। গত সপ্তাহে ঢাকা থেকে আসা দুইজন কোভিড পজিটিভ রোগী কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন। জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন অনেক রোগী।
এদিকে, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের করোনা পরীক্ষার পিসিআর ল্যাবের সব যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গেছে। করোনার বিস্তার নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ ছড়ানোর মধ্যে কুষ্টিয়ার একমাত্র পিসিআর ল্যাবের যন্ত্রপাতি চুরির খবর জনমনে ক্ষোভ তৈরি করেছে।
সম্প্রতি জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, ২০ জনের বেশি নারী-পুরুষ জ্বর, সর্দি, কাশিসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ওয়ার্ডে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি নার্সরা তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার মাহফুজুর রহমান বলেছেন, পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা না থাকলেও চিকিৎসাসেবা দিতে সবকিছু প্রস্তুত করা হয়েছে। আইসোলেশন ওয়ার্ডও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গত সপ্তাহে ঢাকা থেকে দুইজন করোনা পজিটিভ রোগী কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। তাদের সঙ্গে সঙ্গে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তারা তা না করে চলে গেছেন। এভাবে কোভিড ছড়ালে তা মহামারির আকার ধারণ করতে পারে।
কুষ্টিয়ার জেনারেল হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবের যন্ত্রাংশ চুরির বিষয়টি এক মাস আগে টের পায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৬ এপ্রিল কুষ্টিয়ায় করোনা শনাক্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে একটি একতলা ছোট ভবনে পিসিআর ল্যাবের যাত্রা শুরু হয়। করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ার পর এক বছর আগে পিসিআর ল্যাবের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এরপর হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট দুইজন কর্মচারীকে ল্যাব দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হোসেন ইমাম বলেছেন, করোনা রোগীর চিকিৎসায় ওয়ার্ডগুলো প্রস্তত রাখা হয়েছে। এ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
পিসিআর ল্যাবের যন্ত্রপাতি চুরির বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, “পিসিআর ল্যাবের সব যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গেছে। এটা এক দিনে হয়নি। ধারণা করছি, গত চার মাস ধরে চুরি করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক মাস আগে বিষয়টি টের পেয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি রিপোর্টও জমা দিয়েছে।”
ল্যাব বন্ধের পর দেখভালের জন্য যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তারা দায়িত্ব পালনে চরম অবহেলা করেছেন বলে অভিযোগ এ চিকিৎসকের।
২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত কুষ্টিয়ায় করোনায় মারা গেছেন ৮৫৫ জন। আক্রান্ত হন ৪ হাজারের মতো।
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী মারা যান। ওই মাসে কুষ্টিয়ায় ৩৪২ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। আগস্টের পর থেকে মৃত্যুর হার কমতে থাকে। এর মধ্যে শ্বাসকষ্ট ও অক্সিজেন সংকটে হাসপাতালেই অনেকর প্রাণ ঝড়েছে।
ঢাকা/কাঞ্চন/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প স আর ল য ব র য র প স আর ল য ব র
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতীয় উড়োজাহাজের ভয়াবহ ১০টি দুর্ঘটনা
কোঝিকোড় দুর্ঘটনা (২০২০)
২০২০ সালের ৭ আগস্ট এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একটি ফ্লাইট কেরালার কোঝিকোড় বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বৃষ্টিভেজা রানওয়েতে ছিটকে পড়ে এবং দুই ভাগ হয়ে যায়। এতে ২০জন নিহত হন, আহত হন বহু যাত্রী। খারাপ আবহাওয়া, কম দৃশ্যমানতা এবং টেবলটপ রানওয়ে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ছিল।
ম্যাঙ্গালুরু দুর্ঘটনা (২০১০)২০১০ সালের ২২ মে দুবাই থেকে আসা এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ফ্লাইট ৮১২ ম্যাঙ্গালুরুতে অবতরণের সময় রানওয়ে ছাড়িয়ে একটি খাদে পড়ে যায়। বিমানে থাকা ১৬৬ জনের মধ্যে ১৫৮ জন নিহত হন। রানওয়েটি ‘টেবলটপ’ হওয়ায় দুর্ঘটনার মাত্রা ভয়াবহ হয়। টেবলটপ রানওয়ে হলো এমন একটি বিমানবন্দর রানওয়ে, যা একটি পাহাড় বা উঁচু মালভূমির ওপর অবস্থিত এবং চারপাশে গভীর খাদ বা ঢাল থাকে।
পাটনা দুর্ঘটনা (২০০০)২০০০ সালের ১৭ জুলাই কলকাতা থেকে দিল্লিগামী অ্যালায়েন্স এয়ারের একটি ফ্লাইট পাটনার একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানের ৫৫ যাত্রী ও ভূমিতে থাকা ৫ জনসহ মোট ৬০ জন নিহত হন। অবতরণের সময় পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত একজনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ১২ জুন, ভারত