অনেক অভিনয়শিল্পী ক্যারিয়ারে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পরও বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। সেখানে স্বামী-সন্তান নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।
পেশাগত বা ব্যক্তিগত কাজেও অনেক তারকা অভিনেত্রী দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। স্বাভাবিকভাবে দূরদেশে ঈদুল আজহা উদযাপন করেছেন তারা। বিদেশের মাটিতে কেমন কাটছে এসব তারকাদের ঈদ, তা নিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রতিবেদন।
আরো পড়ুন:
মধ্যপ্রাচ্যে ‘সর্বাত্মক যুদ্ধ’ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ট্রাম্পের পরবর্তী পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ
ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে যাবে ইরান
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর। অভিনয় করেছেন প্রায় আড়াই শতাধিক চলচ্চিত্রে। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান। আপাতত সেখানে সন্তান নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। একটি ভিডিও পোস্ট করে শাবনূর বলেন, “ঈদ মোবারক। সবাইকে জানাই পবিত্র এই ঈদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। তোমারা সবাই নিশ্চয়ই ভালো আছো, আমিও আমার পরিবার নিয়ে আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি।” ঈদের পর বেশ কটি ছবি পোস্ট করে শাবনূর লেখেন, “আশা করি, ঈদটা সবাই আনন্দ ও স্বস্তিতে কাটাতে পেরেছেন! আগামী দিনগুলোও যেন সবার আনন্দময় ও নিরাপদ হয় সেই কামনা করি।”
২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ফাইয়াজ শরীফ ফাসবির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মডেল-অভিনেত্রী মোনালিসা। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন এই অভিনেত্রী। সেখানে ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে ঈদুল আজহার আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন মোনালিসা। নিজের একাধিক স্থিরচিত্র তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে এই অভিনেত্রী লেখেন, “ঈদ মোবারক! শুধু পশু কোরবানি করবেন না। আপনার অহংকার, জেদ এবং ঈর্ষাকেও কোরবানি করুন। তাছাড়াও আপনার হৃদয়ের মতো রাস্তাও পরিষ্কার রাখুন।”
অনেক দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে অবস্থান করছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। সেখান থেকে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত শোয়ে পারফর্ম করছেন। কিছুদিন আগে উপস্থাপক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন এই নায়ক। ঈদুল আজহা যুক্তরাষ্ট্রে উদযাপন করছেন। ঈদ আনন্দের বেশ কিছু ছবি নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন তিনি। একটি ছবিতে দেখা যায়, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, গায়ক প্রতীক হাসান, সংবাদিক খালেদ মহিউদ্দিনের সঙ্গে ফ্রেমবন্দি হয়েছেন জায়েদ খান। এসব ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “ঈদ মোবারক।”
দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী ইপশিতা শবনম শ্রাবন্তী। মডেলিং, অভিনয় সবখানেই দ্যুতি ছড়িয়েছেন তিনি। শিমুলের সঙ্গে শ্রাবন্তীর হেনোলাক্সের বিজ্ঞাপনের কথা আজও মানুষ ভুলেননি। প্রথম সংসার ভাঙনের পর দীর্ঘদিন একা বসবাস করে ২০১০ সালের নভেম্বরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খোরশেদ আলমের সঙ্গে সংসার পাতেন শ্রাবন্তী। এরপর স্বামীর সঙ্গে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। এ সংসারে শ্রাবন্তীর দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে। এ সংসারেও ভাঙন ধরেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে সন্তান ও বন্ধুদের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন। নিজের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখেন, “ঈদ মোবারক।” আরেকটি পোস্টে মেয়েদের ছবি দিয়ে লেখেন, “আলহামদুলিল্লাহ।”
মডেল-অভিনেত্রী ঈশিকা খান। ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ পারিবারিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে লন্ডন প্রবাসী কায়সার খানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান এ অভিনেত্রী। এ দম্পতির ঘর আলো করে এসেছে তিন পুত্রসন্তান। স্বামী-সন্তান ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঈদুল আজহার আনন্দ ভাগে করে নেন। তারই কিছু স্থিরচিত্র ফেসবুকে পোস্ট করে লেখেন, “একসঙ্গে আরেকটি ঈদ উদযাপন করলাম। কৃতজ্ঞ। সকলের ঈদ আনন্দ ও আশীর্বাদে ভরে উঠুক।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র ট ভ ন টক চলচ চ ত র য ক তর ষ ট র ঈদ ল আজহ শ র বন ত প স ট কর ন করছ ন কর ছ ন আনন দ
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
ইরান থেকে তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য কেনার অভিযোগে ৬টি ভারতীয় কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বিশ্বজুড়ে মোট ২০টি প্রতিষ্ঠানকে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে, যাদের মধ্যে ভারতের ৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা এসব প্রতিষ্ঠান ইরানের পেট্রোলিয়াম পণ্য কেনাবেচা ও বিপণনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেনদেনে ইচ্ছাকৃতভাবে অংশ নিয়েছে। এতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের ইরানবিষয়ক নিষেধাজ্ঞা ভেঙেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, যেসব ভারতীয় কোম্পানির ওপর মার্কিন সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সেগুলো হচ্ছে, অ্যালকেমিক্যাল সলিউশনস, গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যালস, জুপিটার ডাই কেম, রমনিকলাল এস গোসালিয়া অ্যান্ড কোম্পানি, পার্সিসটেন্ট পেট্রোকেম ও কাঞ্চন পলিমার্স।
আরো পড়ুন:
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্নের ঘোষণা ট্রাম্পের
ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের
নিষেধাজ্ঞার ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদ জব্দ করা হবে এবং মার্কিন নাগরিক ও কোম্পানিগুলো তাদের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবে না। এদের অধীন যেসব সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ৫০ শতাংশ বা তার বেশি মালিকানা রয়েছে, তারাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।
ট্রাম্প প্রশাসন বলেছে, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য ইরানের ‘ছায়া নৌবহর’ ও বিশ্বব্যাপী মধ্যস্বত্বভোগীদের দমন করা, যারা ইরানি তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য পরিবহনে সহায়তা করে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইরান থেকে এই ধরনের পণ্য কেনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো তেহরানকে অতিরিক্ত তহবিল সংগ্রহের সুযোগ করে দিচ্ছে। আর এই অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে হিজবুল্লাহ, হুথি বিদ্রোহী, হামাসসহ অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর সহায়তায় এবং যুদ্ধপরিস্থিতি উসকে দিতে। মার্কিন সরকারের মতে, ইরান সরকারের এই নীতিমালার কারণে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে পড়ছে এবং এতে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে।
ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় কোম্পানি ছাড়াও তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন ও ইন্দোনেশিয়ার কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ