কম্পিউটারে কাজের প্রতি অধিক মনোযোগ দিতে গিয়ে আমরা চোখের পলক ফেলতে ভুলে যাই। কিন্তু আপনি জানেন কি- দশ সেকেন্ডের মধ্যে অন্তত একবার চোখের পলক না ফেললে চোখে প্রাকৃতিক পানি উৎপাদন কমে যেতে পারে। এতে চোখ ড্রাই হয়ে পড়তে পারে।
 
ডা. তারজিয়া আসমা জাফরুল্লাহ, এমবিবিএস বলেন, ‘‘দীর্ঘ সময় কম্পিউটারে কাজ করার জন্য চোখ ড্রাই হয়ে যেতে পারে। আবার কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও চোখ ড্রাই হয়। চোখ ড্রাই হওয়া থেকে বাঁচাতে ১০ মিনিট পর পর ১০ সেকেন্ডের জন্য ১০ ফুট দূরে তাকাতে হবে। এতে চোখ রিল্যাক্স হয়।’’ 

চোখ ড্রাই হওয়া থেকে বাঁচাতে কাজের ফাঁকে ফাঁকে নিয়মিত চোখের পাতা ফেলতে হবে। ডা.

তারজিয়া আসমা জাফরুল্লাহ বলেন, ‘‘আমরা যখন কম্পিউটারে কাজ করি তখন দেখা যায় যে, আমরা চোখের পাতা কম ফেলি। আমরা যতবার চোখের পাতা ফেলি ততবার ন্যাচারাল টিআর প্রোডাকশন হয়ে আমাদের চোখটা ধুয়ে দেয়।’’

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘‘আমরা যখন গভীর মনোযোগ দিয়ে কাজ করি তখন ফ্রিকোয়েন্সি অব ব্রেকিং অনেক কমে যায়। সেজন্য আমাদের যেটা করতে হবে, একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর চোখের পাতা ফেলতে হবে। তাহলে আমাদের চোখের ন্যাচারাল যে পানি আছে সেটা দিয়ে চোখ ধুয়ে যাবে। চোখ ড্রাই হবে না।’’

আরো পড়ুন:

করোনাভাইরাস
বাড়ছে সংক্রমণ, মাস্ক ব্যবহারসহ ১১ নির্দেশনা দিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

করোনার নতুন ঝুঁকি: জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারতে না যাওয়ার পরামর্শ

উল্লেখ্য,  চোখ অতিমাত্রায় ড্রাই হয়ে গেলে বা সিভিয়ার পর্যায়ে চলে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর যত ন ড র ই হয়

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।

ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।

অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।

ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ