চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৩ জন হাসপাতালে ভর্তি
Published: 14th, June 2025 GMT
চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনজন জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। করোনার কারণে ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। এ ছাড়া আজ শনিবার নতুন করে আরও একজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। সরকারিভাবে চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৯ জনে।
জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে আজ দুজন এবং গতকাল শুক্রবার একজন রোগী বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালটিকে ইতিমধ্যে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ২০ শয্যার আইসোলেশন কেন্দ্র ও ৫ শয্যার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো.
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে জেনারেল হাসপাতালকে করোনার বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র ঘোষণা করা হয়। ওই বছরই করোনো রোগীদের সেবায় হাসপাতালটিতে প্রথমে ১০টি আইসিইউ শয্যা দেওয়া হয়। পরের বছর যুক্ত করা হয় আরও আটটি আইসিইউ শয্যা। কিন্তু শয্যাগুলো বর্তমানে নানাভাবে ত্রুটিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রায় সবগুলোর ভেন্টিলেশনই বিকল।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: একজন র
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত গাড়ির নিচে পড়েও অক্ষত অবস্থায় ফিরল ৩ বছরের শিশুটি
ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদের নোবলনগর এলাকায় গতকাল বুধবার গাড়ির নিচে পড়ে গিয়েছিল তিন বছরের এক শিশুকন্যা। তবে অনেকটা অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে সে।
অভিযোগ উঠেছে, এক কিশোর গাড়িটি চালাচ্ছিল। এ ঘটনা সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। পরে এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গাড়িতে নম্বর প্লেট ছিল না, যা আইন লঙ্ঘনের শামিল। পুলিশ ঘটনার পর মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনাটি যখন ঘটে, তখন শিশুটি তার বাড়ির বাইরে রাস্তায় খেলা করছিল। কিশোর চালকটি তাকে দেখতে না পেয়ে তার ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা চিৎকার শুরু করার পর চালক গাড়িটি থামায়। সঙ্গে সঙ্গে লোকজন জড়ো হয়।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গাড়ি থামানোর পর ভীতসন্ত্রস্ত শিশুটি চিৎকার করতে করতে গাড়ির নিচ থেকে হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে আসছে। এর মধ্যে চালকও বাইরে বেরিয়ে আসে। এরপর একজন নারী ওই কিশোর চালককে চড় মারছেন। এ সময় শিশুটি হাঁটাচলা করতে পারছিল।
আহমেদাবাদ পুলিশ নিশ্চিত করেছে, তারা চালকের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় ‘জি’ ডিভিশন ট্রাফিক থানায় বিএনএস আইনে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। আইন লঙ্ঘনকারী ওই কিশোরের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এটি সড়কের নিরাপত্তা এবং আবাসিক এলাকায় আরও বেশি সতর্ক থাকার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে অনেকে কথা বলেছেন।
একজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী ঘটনাটিকে ‘খুবই উদ্বেগজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘এটি ১০০ ভাগ আটকানো যেত। এর একটাই অলঙ্ঘনীয় নিয়ম—অপ্রাপ্তবয়স্ক বা লাইসেন্সবিহীন কোনো ব্যক্তিকে কখনোই গাড়ি চালাতে দেওয়া উচিত নয়। গাড়ির চাবি শিশুদের কাছ থেকে নিরাপদে দূরে রাখতে হবে। লাইসেন্সধারী চালকের জন্য নিয়ম হলো, সব সময় ধীরে ধীরে গাড়ি ঘোরানো এবং ভালোভাবে সব লুকিং গ্লাস ও ব্লাইন্ড স্পট পরীক্ষা করা।’
আরেক ব্যবহারকারী মা–বাবাকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘এই ভিডিও প্রমাণ করেছে যে অলৌকক ঘটনা সত্যিই ঘটে...কিন্তু সব সময় নয়। রাস্তা খেলার জায়গা নয়...মা–বাবার উচিত বাচ্চাদের দিকে সব সময় নজর রাখা।’
অন্য আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেটি কীভাবে গাড়ির চাবি পেল? তার মা–বাবাকে কারাগারে পাঠানো উচিত।’