মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় সোনারগাঁ সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদ্য সাবেক আহ্বায়ক আব্দুর রহিমকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করা হয়েছে। এ ঘটনায় গত ১৩জুন ভুক্তভোগী ছাত্রদল নেতা আব্দুর রহিম বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি নং-৫৫৪) দায়ের করেন। 

অভিযুক্তরা হলেন সোনারগাঁয়ের মীরেরবাগ এলাকার মৃত বাচ্চু প্রধানের ছেলে মো.

পারভেজ (৩৫) এবং পলাশ প্রধান (৩৮)। পলাশ প্রধান সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। 

জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, বিবাদীরা খারাপ প্রকৃতির মানুষ। তারা সমাজে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকে। গত ১১জুন দুপুরে তার বাসায় অবস্থানকালীন সময়ে ১নং বিবাদী তাহার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার ফেসবুক আইডিতে ম্যাসেজ দিয়ে তাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন। 

পরবর্তীতে বিকেলে ২ নং বিবাদীর সাথে তার বাসার সামনে দেখা হলে ২নং বিবাদী তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।

তিনি বিবাদীকে গালিগালাজ করার কারণ জিজ্ঞাস করলে উক্ত বিবাদী ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের গালিগালাজ করাসহ বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে। বিবাদীগণ খারাপ প্রকৃতির মানুষ হওয়ায় আমি ও তার পরিবার আশঙ্কা করছি যে, তারা ভবিষ্যতে আমার ও আমার পরিবারের যে কোন বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে।  

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রদল নেতা আব্দুর রহিম বলেন, পলাশ প্রধান ও তার ভাই দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক,অন্যের জমি দখল, প্রতারনার মাধ্যমে অন্যের জমি লিখে নেওয়াসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে।

কয়েকদিন পূর্বে বিএনপি নেতা পলাশ,তার ছোট ভাই মালয়েশিয়া প্রবাসী যুবলীগ নেতা পারভেজ ও আরেক মাদক ব্যবসায়ীর মাদক ব্যবসা নিয়ে করা কথোপোকথনের কল রেকর্ড ভাইরাল হয়। 

যা স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তুলে।তিনি বিভিন্ন সময় মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ভাইরাল কল রেকর্ডটি তার হাত ধরেই ভাইরাল হয়েছে মর্মে অভিযোগ এনে পলাশ তার বাড়িতে গিয়ে প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন।

এছাড়া তার ছোট ভাই মালয়েশিয়া প্রবাসী যুবলীগ নেতা ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে শিগগিরই দেশে এসে তাকে হত্যা করবে হুমকি প্রদান করে যা ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে ইতোমধ্যে।

পলাশ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এলাকায় বিএনপির নাম ভাঙিয়ে মাদক ব্যবসা,অন্যের জমি দখল, প্রতারণার মাধ্যমে অন্যের জমি লিখে নেওয়াসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে,এছাড়াও এদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে একটি পিটিশন হত্যা মামলাও রয়েছে।

এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ওসি মফিজুল রহমান বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি জিডি হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ ছ ত র দল র পর ব র ছ ত রদল ফ সব ক স ন রগ

এছাড়াও পড়ুন:

মতলবের দুই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি-দখলদারির অভিযোগ, দল থেকে বহিষ্কার

চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার বিএনপির দুই নেতাকে দলের সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

চাঁদাবাজি, দখলদারি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ওই দুজনের বিরুদ্ধে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

বহিষ্কৃত নেতারা হলেন মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌর বিএনপির সহসভাপতি আবদুল মান্নান লস্কর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া। এর মধ্যে মতলব উত্তরের আবদুল মান্নান লস্করকে চাঁদাবাজির মামলায় গত সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি এখন কারাগারে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আবদুল মান্নান লস্কর ও আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়াকে চাঁদাবাজি, দখলদারি ও মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত থাকার অভিযোগে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া ওই একই অভিযোগে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ইমাম হোসেন গাজীকেও দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।  

এ ব্যাপারে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহম্মেদের (মানিক) মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম বলেন, ওই দুই নেতাকে বহিষ্কারের বিষয়টি জেনেছেন। তবে এ ব্যাপারে  চিঠি এখনো পাননি। যেকোনো বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এটি অন্যান্য নেতার জন্যও একটি বার্তা ও শিক্ষা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মতলবের দুই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি-দখলদারির অভিযোগ, দল থেকে বহিষ্কার