বাবা দিবসের সূচনা এক নারীর হাত ধরে, যিনি বড় হয়েছিলেন একজন সিঙ্গেল বাবার আশ্রয়ে। তাঁর নাম সোনোরা স্মার্ট ডড। সোনোরার মা সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় মারা গেলে, তাঁর বাবা উইলিয়াম স্মার্ট একাই ছয় সন্তানকে বড় করে তোলেন। ১৯০৯ সালে সোনোরা যখন সেন্ট্রাল মেথোডিস্ট চার্চে বাবার সঙ্গে মা দিবসের একটি ধর্মোপদেশ শুনছিলেন, তখন তাঁর মনে প্রশ্ন জাগে– এ রকম একটি দিন কেন তাঁর অসাধারণ বাবার জন্য নেই? গৃহযুদ্ধ (সিভিল ওয়ার)-ফেরত এই মানুষটি একা হাতে ছয় সন্তান লালন-পালন করেছেন, অথচ তাঁকে সম্মান জানাতে কোনো নির্দিষ্ট দিন নেই।
ওয়াশিংটনের স্পোকেন শহরের ওয়াইএমসিএ এবং মিনিস্ট্রিয়াল অ্যালায়েন্স সোনোরার প্রস্তাবকে সমর্থন জানায় এবং ১৯১০ সালে প্রথম বাবা দিবস উদযাপন করে। সোনোরা চেয়েছিলেন, দিনটি হোক ৫ জুন, তাঁর বাবার জন্মদিনে। প্রস্তুতির ঘাটতির কারণে প্রথম বাবা দিবস উদযাপিত হয় রোববার, ১৯ জুন ১৯১০।
ধারণাটি ক্রমে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে জনপ্রিয়তা পেতে থাকে। ১৯২১ সালে ভার্জিনিয়ায় এবং ১৯৩৬ সালে নিউইয়র্ক সিটিতে গঠিত হয় দুটি জাতীয় বাবা দিবস কমিটি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন ১৯১৩ সালে বাবা দিবসের ধারণাকে সমর্থন করেন এবং ১৯১৬ সালে স্পোকেনে এসে উৎসবে অংশ নেন। প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কুলিজও ১৯২৪ সালে এই উদ্যোগকে সমর্থন জানান। ১৯৫৭ সালে মেইনের মার্কিন সিনেটর মার্গারেট চেজ স্মিথ একটি বিল উত্থাপন করেন, যাতে বাবা দিবসকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা হয় পিতামাতা উভয়কেই সম্মান জানাব, নয়তো কাউকে নয়। একজনকে আলাদা করে সম্মান জানিয়ে আরেকজনকে উপেক্ষা করা– এটি অবমাননাকর।’ উল্লেখ্য, ততদিনে মা দিবস ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়ে গিয়েছিল।
১৯৬৬ সালে প্রেসিডেন্ট লিন্ডন জনসন একটি নির্বাহী আদেশে জুন মাসের তৃতীয় রোববারকে বাবা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। পরে ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন এটিকে স্থায়ী জাতীয় দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেন।
সোনোরা স্মার্ট ডডকে বাবা দিবসের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ১৯৪৮ সালে স্পোকেনের ওয়াইএমসিএ ভবনে তাঁর সম্মানে একটি ব্রোঞ্জফলক স্থাপন করা হয়। ২০১০ সালে তাঁর পারিবারিক বাড়িটি জাতীয় ঐতিহাসিক নিদর্শন-এর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যদিও এটি একটি ব্যক্তিগত আবাসন, তবুও এটি স্পোকেনের ‘ইস্ট সেন্ট্রাল হেরিটেজ’ ভ্রমণের অংশ হিসেবে দেখা যায়। v
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দ বস র
এছাড়াও পড়ুন:
নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই।
ব্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।
আরো পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ উদ্যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল।
বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।
ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’।
বিস্তারিত আসছে …
ঢাকা/ইয়াসিন