কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় দাফনের প্রায় ২৫ বছর পর একটি মরদেহ অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় এক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
শনিবার দুপরে উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরের হাট এলাকায় ফকিরের হাট হাফিজিয়া আলিম মাদরাসার নির্মাণকাজের জন্য মাটি খুঁড়তে গিয়ে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, সরকারি অর্থায়নে ফকিরেরহাট হাফিজিয়া আলিম মাদরাসার একটি ভবন নির্মাণের করার জন্য মাদরাসার মাঠের মাটি ভেক্যু দিয়ে খনন করা হচ্ছিল। এ সময় খনন করা জায়গায় মাটি ভেঙে পড়লে সেখানে সাদা কাপড়ে মোড়ানো লাশটি বের হয়ে আসে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা মরদেহটি উদ্ধার করেন। পরে স্থানীয় আলেমদের পরামর্শে সেখান থেকে মরদেহটি তুলে নিয়ে ফকিরের হাট এলাকার মসজিদের পাশে একটি কবরস্থানে দাফন করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মৃত ব্যক্তির নাম বাহের আলী। তিনি খারুয়ার পাড় গ্রামের আতিম শেখের ছেলে। আতিম শেখ ওই মাদরাসার জমিদাতা ছিলেন এবং তিনি ওই মাদরাসার কর্মরত ছিলেন। প্রায় ২৫ বছর আগে মারা গেলে মাদসার পেছনে তাকে দাফন করা হয়েছিল।
এ সব তথ্য নিশ্চিত করে চিলমারী মডেল মসজিদের খতিব মামুনুর রশীদ বলেন, হাদিস ও নবী রাসূলদের ঐতিহাসিক ঘটনা থেকে জানা যায় যারা আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও শহীদী মর্যাদা লাভ করেন তাদের লাশ অক্ষত অবস্থায় থাকে। তবে অক্ষত থাকলেই শতভাগ প্রিয় বান্দা হবে সেটিও নিশ্চিত নয়। এ ব্যাপারে আল্লাহ ভালো জানেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম দর স র
এছাড়াও পড়ুন:
মোবাইল চুরির সন্দেহে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, আটক ৩
পাবনায় মোবাইল ফোন চুরি করার সন্দেহে রাসেল হোসেন (৩১) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তার মামাত ভাইদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।
শনিবার (১৪ জুন) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার জাফরাবাদ এলাকায় তাকে হত্যা করা হয়। নিহত রাসেল হোসেন জাফরাবাদ এলাকার নজির উদ্দিনের ছেলে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
সুনামগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবক নিহত
দৃষ্টিহীন বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার (১৪ জুন) রাতে রাসেলের মামাত ভাই জাফরাবাদ এলাকার মকবুল হোসেনের বাড়ি থেকে একটি মোবাইল ফোন সেট চুরি হয়। মোবাইল চুরির ঘটনায় রাসেলকে সন্দেহ করে একই এলাকার তানজিল হোসেন নামে এক যুবক রাসেলকে মোবাইল ফোন সেটটি ফেরত দিতে বলেন। এতে রাসেল চুরির কথা অস্বীকার করে ক্ষুব্ধ হয়ে তানজিলকে মারধর করেন। এরই জের ধরে তানজিলের স্বজন ও মকবুলের সহযোগীরা রাসেলদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে রাসেলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে রাসেলের মৃত্যু হয়।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে নিহত রাসেলের বোন অঞ্জনা খাতুন বলেন, ‘‘তাদের এলাকার সাইফুলের পরিত্যক্ত সেমাই কারখানার কলা গাছ থেকে কলা কাটাকে কেন্দ্র করে মামাত ভাই মকবুলদের সঙ্গে রাসেলের বিরোধের সৃষ্টি হয়। সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’’
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজন মহিলাসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলায় তাদের অভিযুক্ত করা হলে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হবে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে আটককৃতদের নাম-পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান ওসি।
ঢাকা/শাহীন/বকুল