ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি জানিয়েছেন, যদি তার দেশের উপর ইসরায়েলি আক্রমণ বন্ধ হয়, তাহলে ‘আমাদের প্রতিক্রিয়াও বন্ধ হবে।’

রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেছেন।

শুক্রবার ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এটি আরাঘচির প্রথম প্রকাশ্য উপস্থিতি।

আরাঘচি বলেন, “যদি আগ্রাসন বন্ধ হয়, তাহলে আমাদের প্রতিক্রিয়াও বন্ধ হবে।”

ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আরাঘচি জানিয়েছেন, ইরান চায় না এই সংঘাত প্রতিবেশী দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ুক।

তিনি বলেন, “পারস্য উপসাগরে সংঘাত টেনে আনা একটি কৌশলগত ভুল এবং এর লক্ষ্য হল যুদ্ধকে ইরানের ভূখণ্ডের বাইরে টেনে আনা।

তিনি ইসরায়েলকে চলমান ইরান-মার্কিন পারমাণবিক আলোচনাকে নষ্ট করার চেষ্টা করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন।

ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, “মার্কিন সবুজ সংকেত এবং সমর্থন ছাড়া ইসরায়েলের আক্রমণ কখনো ঘটত না।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ