নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সচিবালয় অভিমুখে মিছিল, সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ
Published: 15th, June 2025 GMT
নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সচিবালয় অভিমুখে মিছিল নিয়ে যাওয়ায় পুলিশের বাধার মুখে পড়েছেন ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ একাধিক সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে ও লাঠিপেটা করে। এতে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা। এ ঘটনায় রাজধানীর প্রেসক্লাব এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
আজ রোববার বেলা সোয়া একটার দিকে প্রেসক্লাব সংলগ্ন সচিবালয়ের ৫ নম্বর ফটকের কাছে এ ঘটনা ঘটে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আলোচনার জন্য সচিবালয়ের ভেতরে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।
সকাল থেকেই ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের মধ্যে যাঁদের আবেদন করার বয়স শেষ হয়ে গেছে, তাঁরা আবেদনকারীর বয়সসীমা ৩৫ বছর পর্যন্ত বাড়িয়ে তাঁদের একবার আবেদন করার দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। বেলা দেড়টার দিকে তাঁরা সচিবালয়ের দিকে পদযাত্রা শুরু করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সচিবালয় এলাকা গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা অঞ্চল। এখানে ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে। মিছিলকারীরা তা অমান্য করায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমাদের হালকা শক্তি প্রয়োগ করতে হয়েছে।’
আজকের ঘটনায় পাঁচ থেকে ছয়জন আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। ডিসি মাসুদ বলেন, ‘মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমাদের এক থেকে দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করতে হয়েছে। এতে আমাদের দু-একজন পুলিশ সদস্যও সামান্য আহত হয়েছেন।’
আন্দোলনকারীদের একজন রাজ্জাকুল হায়দার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানালেও সরকার আমাদের দাবি মেনে নিচ্ছে না। এখন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে, অথচ আমাদের ১৭তম ব্যাচের সমস্যার সমাধান করছে না।’
এই আন্দোলনকারী বলেন, দেয়ালে আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে। তাই তিন দফা দাবি দিয়ে তাঁরা সচিবালয়ের দিকে যান। কিন্তু পুলিশ লাঠিপেটা করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে।
নিবন্ধনধারীদের তিনটি প্রধান দাবি হলো১.
২. ১৭তম ব্যাচের বিষয় নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এনটিআরসিএর ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত রাখতে হবে।
৩. আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় ও এনটিআরসিএর রূপরেখা বাস্তবায়ন বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সচিবালয়মুখী শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের মিছিলে পুলিশের বাধা, সাউন্ড গ্রেনেড, লাঠিচার্জ
নিষেধাজ্ঞা জারি থাকলেও সচিবালয় অভিমুখে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হন ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা। মিছিলটি প্রেসক্লাবের সামনে পৌঁছালে বাধা দেয় পুলিশ। মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে ও লাঠিচার্জ করে। এতে রাজধানীর প্রেস ক্লাব এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
আজ রোববার দুপুর সোয়া ১টার দিকে প্রেস ক্লাব সংলগ্ন সচিবালয়ের ৫ নম্বর ফটকের কাছে এ ঘটনা ঘটে। ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা এনটিআরসিএর (বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ) আওতায় দ্রুত নিয়োগের দাবিতে প্রেস ক্লাব থেকে সচিবালয়ের দিকে পদযাত্রা শুরু করেন। তবে সচিবালয় এলাকায় আগে থেকে সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ ছিল বলে জানায় পুলিশ।
সরেজমিনে দেখা যায়, মিছিলকারীরা ব্যারিকেড অতিক্রম করে সচিবালয়ের ফটকের কাছাকাছি চলে গেলে পুলিশ তাদের থামার অনুরোধ করে। আন্দোলনকারীরা সেই অনুরোধ না মানলে পুলিশ প্রথমে পাঁচটি ও পরে আরও দুটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে এবং লাঠিচার্জ করে। এরপর বিক্ষোভকারীরা প্রেস ক্লাব মোড়ে ফিরে অবস্থান নেন।
শাহবাগ থানার পেট্রোল অফিসার জয়নাল আবেদিন সমকালকে বলেন, সচিবালয় এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ। সচিবালয়ের দিকে এগোতে চাইলে মিছিলকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তাদের ওপর লাঠিচার্জ কর হয়। এছাড়াও পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়।
মিছিলে অংশ নেওয়া এক নিবন্ধনধারী জানান, আমরা বারবার শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানাচ্ছি। অথচ সরকার বারবার তা উপেক্ষা করছে। এনটিআরসিএ ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে যাচ্ছে অথচ আমাদের ১৭তম ব্যাচের সমস্যার সমাধান করছে না। তাই বাধ্য হয়েই আমরা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিতে চাই।
তাদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. ১৭তম ব্যাচের নিবন্ধিত প্রার্থীদের জন্য আপিল বিভাগের রায় অনুসারে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অন্তত একবার আবেদন করার সুযোগ দিতে হবে।
২. ১৭তম ব্যাচের বিষয় নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত রাখতে হবে।
৩. আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএর সুপারিশ অনুযায়ী দ্রুত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এখনও আন্দোলনকারীরা প্রেস ক্লাব মোড়ে অবস্থান করছেন। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে।