আগামী বছরে কি আবার আইপিএল-পিএসএল সংঘাত
Published: 15th, June 2025 GMT
ক্রিকেটকে বাণিজ্যিকীকরণ করে ফেলার পর বিশ্বজুড়ে এখন এত ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগ হয় যে একটির সঙ্গে আরেকটি সূচি সাংঘর্ষিক হয়েই যায়।
কয়েক বছর ধরে বিপিএলের সময়ে হয়ে আসছে আরও চার টুর্নামেন্ট—অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগ, নিউজিল্যান্ডের সুপার স্ম্যাশ, দক্ষিণ আফ্রিকার এসএ২০ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএলটি২০।
তবে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও দামি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আইপিএলের জন্য সাধারণত এমন সময় বরাদ্দ থাকে, যে সময়ে অন্য লিগ থাকে না। কিন্তু আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির কারণে এ বছর এই অলিখিত নিয়মের ব্যতয় ঘটেছে।
গত ফেব্রুয়ারি–মার্চে আরব আমিরাতকে নিয়ে হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করেছে পাকিস্তান। দেশটির শীর্ষ টি–টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা পাকিস্তান সুপার লিগও (পিএসএল) ফেব্রুয়ারি–মার্চে হয়ে থাকে। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস ট্রফির কারণে পিএসএল এবার পিছিয়ে নেওয়া হয় এপ্রিল–মে মাসে, আইপিএলের সময়ে।
আগামী বছর টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ফেব্রুয়ারি–মার্চে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানের এল-ফাশের শহরে ‘চরম বিপদে’ বাসিন্দারা: ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস
সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছে দেশটির এল–ফাশের শহরের পতনের পর সেখানকার বাসিন্দারা ‘চরম বিপদের’ মধ্যে রয়েছেন। তাঁরা শহরটিতে আটকা পড়েছেন। গতকাল শনিবার ফ্রান্সভিত্তিক আন্তর্জাতিক দাতব্য চিকিৎসা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছে।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরএসএফের লড়াই চলছে। গত ২৬ অক্টোবর এল-ফাশের দখল করে নেয় আধা সামরিক বাহিনীটি। শহরটির পতনের পর থেকে সেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যা, যৌন সহিংসতা, ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলা, লুটপাট এবং অপহরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেখানকার যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুনসুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে২২ ঘণ্টা আগেএল–ফাশের শহর থেকে যাঁরা পালিয়ে কাছের তাউইলা শহরে আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁরা বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা চালানোর কথা বলেছেন। তাঁদের ভাষ্য, এল–ফাশেরে মা–বাবার সামনে সন্তানদের হত্যা করা হচ্ছে। মানুষজন শহরটি থেকে পালানোর সময় তাঁদের মারধর করা হচ্ছে। জাতিসংঘের হিসাবে, ২৬ অক্টোবর থেকে ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ শহরটি থেকে পালিয়েছেন।
শনিবার ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস জানিয়েছে, এল–ফাশেরের বিপুল মানুষ ‘চরম বিপদের’ মধ্যে রয়েছে। তাদের শহরটি ত্যাগ করতে দিচ্ছে না আরএসএফ ও তাদের সহযোগীরা। সংস্থাটির জরুরি বিভাগের প্রধান মাইকেল ওলিভিয়ার লাচেরিটে বলেন, এল–ফাশের থেকে যাঁরা নিখোঁজ হয়েছেন, তাঁরা কোথায়? সম্ভাব্য উত্তরটা হলো—তাঁদের হত্যা করা হয়েছে।
গত শুক্রবার জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আরএসএফের হামলায় এল–ফাশেরে কয়েক শ মানুষ নিহত হয়েছেন। তবে সুদানের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দুই হাজার বেসামরিক মানুষকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব বলেছে, এল–ফাশেরে গণহত্যা অব্যাহত থাকার বিভিন্ন ইঙ্গিত স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।
সুদান ‘মহাবিপর্যয়কর পরিস্থিতির’ মধ্যে রয়েছে বলে শনিবার উল্লেখ করেছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়েডফুল। বাহরাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বেসামরিক লোকজনকে সুরক্ষা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আরএসএফ। এরপরও এমন নৃশংসতার জন্য তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। একই সংবাদ সম্মেলনে সুদানের পরিস্থিতি ‘ভয়ংকর’ বলে উল্লেখ করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার।
আরও পড়ুনসুদানে আরএসএফের গণহত্যায় আরব আমিরাত ইন্ধন দিচ্ছে কেন৭ ঘণ্টা আগে