গ্রামে বসে ড্রোন বানান তরুণ আশির উদ্দিন
Published: 17th, June 2025 GMT
ছয় কক্ষের পুরোনো একটি একতলা ঘর। ঘরের পেছনের দিকের ১৫ বর্গফুটের একটি কক্ষ। সেই কক্ষজুড়ে ছড়িয়ে আছে উড়োজাহাজ ও ড্রোনের নানা আদল, বৈদ্যুতিক ডিভাইস ও তার। আছে ল্যাপটপ ও সাদা খাতা। সেই সাদা খাতায় আবার নানা নকশা আঁকা। কক্ষটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ল্যাব’।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার একেবারে দক্ষিণে পুঁইছড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ পুঁইছড়ি গ্রামে অবস্থিত এই ল্যাব স্থানীয় তরুণ আশির উদ্দিনের। এই ল্যাব থেকেই একের পর এক ড্রোন বানিয়ে তাক লাগাচ্ছেন তিনি। ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২ হাজারের বেশি উড়োজাহাজের নমুনা ও ২০ থেকে ২৫টি ড্রোন তৈরি করেছেন আশির উদ্দিন। সব কটিই সফলভাবে উড্ডয়ন ও অবতরণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে বেশ কিছু ড্রোন বিক্রি করেছি। ১০ কেজি ওজনের একটি ড্রোনের দাম মানভেদে তিন থেকে চার লাখ টাকা। সর্বোচ্চ ২০ কেজি ওজনের ড্রোন ছয় লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। একটি ড্রোন তৈরিতে ৬ জনের টিমের ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগেআশির উদ্দিন২০১৫ সালে এসএসসি পাস করেন আশির। এরপর চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি পলিটেকনিক থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা শেষ করেন। আশির জানান, এসএসসি শেষ করার পর শখের বশে মোটর দিয়ে খেলনা নৌকা বানানো শুরু করেন তিনি। একদিন ছাদে বসে নৌকা বানানোর সময় দেখেন মাথার ওপর দিয়ে উড়োজাহাজ যাচ্ছে। তখনই এর আদলে ছোট উড়োজাহাজ বানানোর কথা মাথায় আসে। জানান, এরপর অত্যাধুনিক সব উড়োজাহাজের নমুনা তৈরি করতে থাকেন। একপর্যায়ে শুরু করেন ড্রোন বানানো। এলাকার আকাশেই এসবের উড্ডয়ন ও অবতরণের পরীক্ষা করা হয়। তাঁর নির্মাণ করা ড্রোন গোয়েন্দা নজরদারি, যুদ্ধসহ নানা কাজে ব্যবহার করা যায় বলে জানান আশির।
আশির উদ্দিন বলেন, ‘এর মধ্যে বেশ কিছু ড্রোন বিক্রি করেছি। ১০ কেজি ওজনের একটি ড্রোনের দাম মানভেদে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। সর্বোচ্চ ২০ কেজি ওজনের ড্রোন ৬ লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। একটি ড্রোন তৈরিতে ৬ জনের টিমের ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগে।’
নিজের ল্যাবে তৈরি করা একটি ড্রোন নিয়ে আশির উদ্দিন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শান্ত-মুশফিকের হাফ সেঞ্চুরি, জুটির একশ
দ্বিতীয় সেশনে শান্ত-মুশফিকের জমাট ব্যাটিংয়ে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। শান্তর ফিফটির পর অর্ধশতক হাঁকালেন মুশফিকও। দুজনের জুটিতে একশ'ও পেরিয়ে গেছে। মুশফিক ৫০ ও নাজমুল ৫১ রানে ব্যাট করছেন। ১৯১ বলে ১০২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন দুজন। টেস্টে এটা মুশফিক ও শান্তর সর্বোচ্চ রানের জুটি।
শান্ত-মুশফিকের ব্যাটে ১০০ পেরিয়ে বাংলাদেশ
চতুর্থ উইকেটে ৭১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন শান্ত ও মুশফিক। এতে ১০০ পেরিয়ে গেছে দলীয় স্কোর। ৩৫ ওভারে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ১১৬। ৫৩ বলে মুশফিকের রান ৩৫। শান্তর রান ৬৪ বলে ৩৫।
এর আগে গল টেস্টে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে অফ স্টাম্পের বাইরে ভালো লেংথের বল ব্যাটে খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হন বিজয়। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান তিনি। এরপর শান্তকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন মুমিনুল। এরপর দ্রুতই জোড়া উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। সাদমান ১৪ ও মুমিনুল ২৯ রান করে ফিরে যান।
এরপর শান্ত ও মুশফিক মিলে প্রতিরোধ গড়েন।