স্পেন থেকে ঘোড়ায় চড়ে মক্কায় গিয়ে হজ আদায়
Published: 17th, June 2025 GMT
স্পেনের তিনজন নাগরিক ঘোড়ার পিঠে চড়ে সৌদি আরবে গিয়ে পবিত্র হজ পালন করেছেন। এ যাত্রায় তাঁদের বহু চড়াই–উতরাই পার হতে হয়েছে। সাত মাসের অক্লান্ত চেষ্টার পর তাঁরা সৌদি আরবে পৌঁছান। তাঁদের এই যাত্রার পেছনে রয়েছে চমকপ্রদ ঘটনা।
১৯৮৯ সালে সরকারি হাইস্কুলের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন আবদুল্লাহ রাফায়েল হারনান্দেজ। তিনি নির্ধারিত বিষয়ের বাইরেও পড়াশোনা শুরু করেন। বাইবেল পড়েন। স্প্যানিশ অভিধান পড়েন। একদিন পবিত্র কুরআনের পাতা ওল্টাতে গিয়ে আয়াতগুলো তাঁকে আকৃষ্ট করে। বিশেষ করে ভৌগোলিক বর্ণনা।
এ সময় হারনান্দেজ দুটি শপথ করেন। একটি হলো, পরীক্ষায় পাস করলে মুসলিম হবেন। অপরটি, ঘোড়ায় চেপে মক্কায় গিয়ে পবিত্র হজ পালন করবেন। যেমনটা আন্দালুসিয়ার মুসলিমরা করতেন। নিয়োগ পরীক্ষায় পাস করার পর হারনান্দেজ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। নিজের নাম পরিবর্তন করে আবদুল্লাহ রাখেন।
এরপর কেটে যায় প্রায় ৩৫ বছর। গত বছরের অক্টোবরে তিনি অবসরে যান। অবশেষে দ্বিতীয় ইচ্ছাটি পূরণের সিদ্ধান্ত নেন হারনান্দেজ।
একাদশ শতাব্দীর শুরুর দিকের কিছু নথিতে মক্কা যাওয়ার পথে আন্দালুসিয়ার হজযাত্রীদের দীর্ঘ ও বিপৎসংকুল যাত্রার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। ওই সময় বেশির ভাগ হজযাত্রী জিব্রাল্টার প্রণালি পেরিয়ে উত্তর আফ্রিকায় পৌঁছাতেন। সেখান থেকে একটি নৌকায় করে মিসরের প্রধান বন্দর আলেকজান্দ্রিয়ায় যেতেন। সেখান থেকে কায়রো।এরপর কায়রোর বিভিন্ন জনপ্রিয় স্থান ও মসজিদ পরিদর্শন করতেন হজযাত্রীরা। কয়েক দিন পর কাফেলার সঙ্গে তাঁরা মক্কায় পৌঁছাতেন।
বর্তমানে এই পথে সৌদি আরবে যাওয়া নিরাপদ হবে না—এমনটা ভেবে হারনান্দেজ ও তাঁর সফরসঙ্গীরা দক্ষিণ ইউরোপ ঘুরে হজে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। স্পেনের হুয়েলভা প্রদেশের একটি ছোট শহর থেকে ঘোড়ার পিঠে চড়ে যাত্রা শুরু করেন। সঙ্গে যোগ দেন আবদেলকাদের হারকাসি ও তারেক রদ্রিগেজ।
ঘোড়ায় চড়ে বসনিয়া পার হচ্ছেন তিন হজযাত্রী.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ রন ন দ জ হজয ত র
এছাড়াও পড়ুন:
মাহিমা চৌধুরী-সঞ্জয় মিশ্রা বিয়ে করেছেন?
একটি বাড়ি থেকে বেরিয়ে পাশাপাশি হেঁটে যাচ্ছেন বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় মিশ্রা ও অভিনেত্রী মাহিমা চৌধুরী। লাল রঙের শাড়িতে বধূ সেজেছেন ৫২ বছর বয়েসি মাহিমা চৌধুরী। আর ক্রিম কালারের কুর্তা-কোট পরেছেন ৬২ বছরের সঞ্জয়। হাঁটতে হাঁটতে তাদের খুনসুটি করতেও দেখা যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ক্লিপে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ভিডিওটি। এ ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা হয়, “৫২ বছর বয়সে মাহিমা চৌধুরী বিয়ে করলেন সঞ্জয় মিশ্রাকে। এরপর তাদের বিয়ের গুঞ্জন দ্রুত ছড়াতে থাকে। এমন খবরে বিস্ময় প্রকাশ করেন নেটিজেনরা। অনেকে আবার সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
আরো পড়ুন:
অভিনেতা সুধীর দালভি গুরুতর অসুস্থ, অর্থ সংকটে পরিবার
৯ দিনে রাশমিকার সিনেমার আয় কত?
এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মাহিমা চৌধুরী ও সঞ্জয় মিশ্রার বিয়ের খবরটি সত্য নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি তাদের পরবর্তী ‘দুর্লভ প্রসাদ কি দুসরি শাদি’ সিনেমার প্রচারণার অংশ।
রোমান্টিক-কমেডি ঘরানার ‘দুর্লভ প্রসাদ কি দুসরি শাদি’ সিনেমা নির্মাণ করেছেন সিদ্ধান্ত রাজ। সিনেমাটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সঞ্জয় মিশ্রা। ববিতা চরিত্রে দেখা যাবে মাহিমা চৌধুরীকে। তাছাড়াও অভিনয় করেছেন—শ্রীকান্ত ভার্মা, পলক লালওয়ানি, নবনী প্রমুখ।
বাস্তব জীবনে মাহিমা ও সঞ্জয় মিশ্রার জীবনের পথ আলাদা। ব্যক্তিগত জীবনে মাহিমা বিয়ে করেছেন আর্কিটেক্ট ববি মুখার্জিকে। ২০০৬ সালে বিয়ে করেন তারা। এ সংসারে তাদের আরিয়ানা নামে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ২০১৩ সালে ভেঙে গেছে মাহিমা-ববির সংসার। এরপর কন্যাকে নিয়ে জীবনযাপন করছেন এই অভিনেত্রী।
অন্যদিকে, ২০০৯ সালে কিরণ মিশ্রার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ অভিনেত্রী সঞ্জয় মিশ্রা। এই সুখী দম্পতির ঘর আলো করে জন্ম নিয়েছে পাল এবং লমহা নামে দুই সন্তান।
ঢাকা/শান্ত