প্রায় ৮ লাখ গ্যালাক্সির (ছায়াপথ) ছবি নিয়ে মহাবিশ্বের বিশাল এক মানচিত্র তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের সংগ্রহ করা তথ্য কাজে লাগিয়ে তৈরি এই মানচিত্রে মহাবিশ্ব বিকাশের ৯৮ শতাংশ তথ্য যুক্ত করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, কসমিক ইভ্যালুয়েশন সার্ভে নামের কর্মসূচির মাধ্যমে তৈরি করা এই মানচিত্রে ১ হাজার ৩৫০ কোটি বছরের মহাজাগতিক ইতিহাস ধারণ করা সম্ভব হয়েছে।  

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, মানচিত্রটি প্রাথমিক মহাবিশ্বের গ্যালাক্সিগুলোকে প্রদর্শন করছে, যার মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৩৫০ কোটি বছরের পুরোনো কিছু গ্যালাক্সিও রয়েছে। অর্থাৎ বিগ ব্যাংয়ের মাত্র ৩০ কোটি বছর পরে যেমন দেখা গিয়েছিল, তেমনই দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু গ্যালাক্সিকে। কসমস ক্ষেত্র নামে পরিচিত মহাকাশের একটি অঞ্চল পর্যবেক্ষণ করে এসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। আকাশের এই অঞ্চলটি নক্ষত্র, গ্যাসীয় মেঘ ও অন্যান্য বস্তুর বাধা ছাড়াই ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা যায়।

মানচিত্রটির বিষয়ে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সান্তা বারবারার পদার্থবিদ ক্যাটলিন কেসি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল গভীর মহাকাশ ক্ষেত্র ভৌত স্কেলে পর্যবেক্ষণ করা। যদি আপনার কাছে একটি সাধারণ কাগজে হাবল টেলিস্কোপের আলট্রা ডিপ ফিল্ডের একটি প্রিন্ট আউট থাকত, তাহলে আমাদের নতুন মানচিত্র ১৩ ফুট বাই ১৩ ফুট মাপের ম্যুরালের চেয়ে সামান্য বড় হতো। এই মানচিত্র সত্যিই আশ্চর্যজনকভাবে বড়।’
বিজ্ঞানীরা শুধু প্রাচীনতম গ্যালাক্সি নয়; বরং প্রাথমিক মহাবিশ্বের তারা ও কৃষ্ণগহ্বর গঠনের সময় মহাকাশের পরিবেশের তথ্যও এই মানচিত্রে যুক্ত করেছেন। বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে এই ঠিকানায় প্রবেশ করে মানচিত্রটি দেখা যাবে।

সূত্র: এনডিটিভি

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।

আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।

আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।

ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ