ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ককটেল বিস্ফোরণে জড়িতদের বিচার, নিরাপদ ক্যাম্পাস ও উপাচার্য-প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে শাখা ছাত্রদল।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে ঢাবি শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এসব দাবিতে টিএসসি থেকে মিছিল নিয়ে কলা ভবনের সামনে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন শাওন বলেন, “ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ককটেল ফাটিয়ে অনিরাপদ করে শিক্ষার্থীদের মনে ভয়-ভীতি সঞ্চার করতে চায়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনিহা ও বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে ক্যাম্পাস আবার অনিরাপদ হয়ে যাচ্ছে। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সজাগ থাকবে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে নিরাপদ রাখার জন্য।”

আরো পড়ুন:

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সাবেক সচিব কারাগারে

গোবিপ্রবি সংস্কারের দাবিতে ৭ দিনের আল্টিমেটাম শিক্ষার্থীদের

প্রশাসনের ব্যর্থতা তুলে ধরে ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, “এই প্রশাসন দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। ৫ আগস্টের পর টিএসসিতে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ছবি মুছে দেওয়া হয়েছে, পহেলা বৈশাখের আগে ফ্যাসিবাদের প্রতিকৃতি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আমাদের ভাই সাম্যকে হত্যা করা হয়েছে। এই প্রশাসন কোথাও সুষ্ঠু কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ককটেল ফাটিয়েছে এই ফ্যাসিবাদের দোসররা। কিন্তু প্রশাসন কিছুই করতে পারছে না, যা এই প্রশাসনের পুরোপুরি ব্যর্থতা।”

তিনি বলেন, “উপাচার্য এই ক্যাম্পাসে একটি মবের কালচার সৃষ্টি ব্যতিত অন্য কোনোকিছু করতে পারেননি। শিক্ষার্থীরা যে নিরাপদ ক্যাম্পাসের স্বপ্ন দেখেছিল তিনি সেটা নিজ হাতে নষ্ট করেছেন।”

তিনি আরো বলেন, “ক্যাম্পাসে একের পর এক মব সৃষ্টি হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কোনো কার্যকরি ভূমিকা রাখেননি। যদি শুরু থেকেই ক্যাম্পাসে মব কালচার প্রতিহত করা হত, তাহলে আজ ঢাবি শিক্ষার্থীরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারত।”

এ সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরকে পদত্যাগ করার দাবি জানান।

কর্মসূচিতে ঢাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন, সিনিয়র সহ সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, সহ সভাপতি আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শামীম আক্তার শুভ, সাংগঠনিক সম্পাদক নুর আলম ভূঁইয়া ইমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ছ ত রদল র ন র পদ ক উপ চ র য

এছাড়াও পড়ুন:

গোল ঠেকান, শিরোপা জেতান—তবু দোন্নারুম্মা, এদেরসনদের কদর কম কেন

আপনি গোলরক্ষক। তাহলে আপনার মতো দুর্ভাগা আর কে আছে!

কেন এমন বলা, সেটি বোঝার জন্য এবারের দলবদল মৌসুমে একটু চোখ বোলালেই হবে। এবারের গ্রীষ্মকালীন দলবদল আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে—বিশ্বসেরা গোলরক্ষক হলেও দলবদলের বাজারে খুব একটা কদর মেলে না। মাঠের অন্য পজিশনের খেলোয়াড়দের তুলনায় তাঁদের গুরুত্ব নেই বললেই চলে।

সবচেয়ে বড় উদাহরণ পিএসজির জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। পাশাপাশি ম্যানচেস্টার সিটির এদেরসন ও এসি মিলানের মাইক মাইনিয়ঁর কথাও বলা যায়। এ তিনজনই নিঃসন্দেহে বিশ্বের সেরা ১০ গোলরক্ষকের মধ্যে পড়েন। অনেকের চোখে আবার সেরা পাঁচেই জায়গা তাঁদের। কিন্তু তাঁরা যদি ফরোয়ার্ড, মিডফিল্ডার বা ডিফেন্ডার হতেন, তাহলে তাঁদের এজেন্টদের ফোন বেজেই চলত। আর তাঁদের ক্লাব চুক্তি নবায়নের জন্য পাগল হয়ে উঠত।

কিন্তু গোলকিপার হওয়ায় তাঁদের বাস্তবতা ভিন্ন। পিএসজি ইতিমধ্যেই লিলের তরুণ গোলরক্ষক লুকাস শেভালিয়েকে নিতে যাচ্ছে (যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়নি)। ম্যানচেস্টার সিটিও বার্নলির জেমস ট্রাফোর্ডকে এনেছে গোলরক্ষকদের জন্য ব্রিটিশ ট্রান্সফার ফি রেকর্ড গড়ে। দোন্নারুম্মার জন্য ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের, এদেরসনের জন্য গালাতাসারাইয়ের, আর মাইনিয়ঁর জন্য চেলসির আগ্রহের কথা শোনা গেলেও কোনো কিছুই এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা

সম্পর্কিত নিবন্ধ