খুলনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুস সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার আত্মসমর্পণ করেছেন।

সোমবার (১৬ জুন) খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হত্যাকাণ্ডের ২০ বছর পর আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। বিচারক মো.

মঞ্জুরুল ইমাম আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

ডিসকো সাত্তার বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা নুর মোহাম্মাদ ওরফে নুরুর ছেলে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।

আরো পড়ুন:

কুলাউড়ায় স্কুলছাত্রী আনজুম হত্যার রহস্য উদঘাটন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চুলার ধোঁয়া ঘরে ঢোকায় বিতণ্ডা, স্বজনদের হামলায় যুবক খুন

খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী মো. মাজাহারুল ইসলাম জানান, আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন আসামি ডিসকো সাত্তার। 

খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি খুলনা প্রেস ক্লাব থেকে বাড়ির দিকে রওনা হন সাংবাদিক মানিক সাহা। ওই দিন দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে। বোমার আঘাতে মানিক চন্দ্র সাহার মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দুই দিন পর ১৭ জানুয়ারি খুলনা সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) রণজিৎ কুমার দাস বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। 

দীর্ঘ এক যুগ পর বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৬ সালে আদালত মানিক চন্দ্র সাহা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। আদালত এ মামলায় ৯ জন আসামিকে দোষী সাবস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে প্রত্যেককে আরো এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। দুই আসামিকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৯ আসামি হলেন- আকরাম হোসেন হাওলাদার ওরফে আকরাম হাওলাদার ওরফে বোমারু হাওলাদার, আলী আকবর শিকদার ওরফে শাওন, নুরুজ্জামান, মিঠুন, সুমন, সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার, বেলাল ওরফে বুলবুল, সাকা ওরফে সাকাওয়াত হোসেন ও সরোয়ার হোসেন ওরফে সরো।

মানিক চন্দ্র সাহা দৈনিক সংবাদ ও একুশে টেলিভিশনের খুলনা ব্যুরো প্রধান, বিবিসি বাংলা বিভাগের কন্ট্রিবিউটর ছিলেন। ২০০৯ সালে সরকার তাকে সাংবাদিকতায় মরণোত্তর একুশে পদক দেয়।

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আস ম র ওরফ

এছাড়াও পড়ুন:

মৌলভীবাজারে পিবিআইর হাজতখানা থেকে আসামির লাশ উদ্ধার

মৌলভীবাজারে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাজতখানার ভেতর থেকে মোকাদ্দুস (৩২) নামে আসামির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে পিবিআই।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে মৌলভীবাজার জেলা শহরের টিভি হাসপাতাল সড়কে পিবিআইর হাজতখানা থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। 

মোকাদ্দুস কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি আলোচিত লিটন হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ৯ আগস্ট কমলগঞ্জ উপজেলার ২ নম্বর পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের ধানক্ষেত থেকে লিটন নামের এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকে মোকাদ্দুস পলাতক ছিলেন। রবিবার রাত ৮টার দিকে কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন মোকাদ্দুস। পরে তাকে লিটন হত্যার মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআইর কাছে হস্তান্তর করে থানা পুলিশ।

পিবিআই জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর খাওয়া-দাওয়া শেষে মোকাদ্দুসকে ৭-৮ জন আসামির সঙ্গে হাজতখানায় রাখা হয়। সোমবার ভোর ৬টার দিকে ডিউটি অফিসার গিয়ে দেখেন, মোকাদ্দুস নিজের লুঙ্গি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও মোকাদ্দুসের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।

১১ সেপ্টেম্বর লিটনের বাবা সাত্তার মিয়া অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে কমলগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এ মামলায় শামিম নামের আরেকজনকেও গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। 

এ বিষয়ে মৌলভীবাজার পিবিআইর পুলিশ সুপার মো. জাফর হুসাইন বলেছেন, লিটন হত্যা মামলার তদন্ত আমাদের হাতে। মোকাদ্দুস রবিবার রাতে কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সোমবার সকালে হাজতখানায় আত্মহত্যা করেন তিনি। বিষয়টি আমরা সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়েছি।

ঢাকা/আজিজ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে আত্মসমর্পণ ও অস্ত্রত্যাগের প্রস্তাব মাওবাদীদের
  • মৌলভীবাজারে পিবিআইর হাজতখানা থেকে আসামির লাশ উদ্ধার