ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ শুরুর আগে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। সেই পোস্টে সবচেয়ে বড় ছবিটি কিন্তু ক্লাবের তথা বিশ্বের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পের নয়। এমনকি ভিনিসিয়ুস জুনিয়র বা জুড বেলিংহামের নয়। তিন সুপারস্টার ওই পোস্টে আছেন, তবে সেখানে মূল ছবিটা হলো নতুন যোগ দেওয়া কোচ জাবি আলোনসোর; রিয়ালে যা সাধারণত বিরল। 

মাত্র কদিন আগে যোগ দেওয়া এ কোচ নিয়ে দারুণ রোমাঞ্চিত মাদ্রিদিস্তারা। আলোনসোকে ঘিরে তাদের আবেগ এতটাই যে তিন সুপারস্টারও সেখানে পাত্তা পান না। ক্লাব বিশ্বকাপ দিয়ে রিয়ালে আলোনসো যুগ শুরু হচ্ছে। বাংলাদেশ সময় আজ রাত ১টায় সৌদি ক্লাব আল হিলালের বিপক্ষে প্রথম কোচ হিসেবে রিয়ালের ডাগআউটে দাঁড়াবেন তিনি।

তবে রিয়ালের কোচের পদটা ভীষণ চ্যালেঞ্জিং। এখন যেমন আলোনসোকে নায়ক বানানো হচ্ছে, আবার টুর্নামেন্টে ব্যর্থ হলেই ছুড়ে ফেলতে দুবার ভাববেন না মাদ্রিদিস্তারা। আলোনসো যে তাদের ঘরের ছেলে, সেটা অবলীলায় ভুলে যাবেন। নজিরের জন্য তো বেশি দূরে যেতে হবে না, আলোনসোর পূর্বসূরি কার্লো আনচেলত্তিই সবচেয়ে বড় নজির। কোচ হিসেবে রেকর্ড পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী এ কোচ একটি মৌসুম শূন্য হাতে যেতেই বিদায় করে দেওয়া হয় তাঁকে। তবে আলোনসোর কাজের ধরনে বেশ খুশি রিয়াল সমর্থকরা। এরই মধ্যে তারা অনুশীলন সেশন নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলচেলত্তির সঙ্গে তাঁর ব্যবধান তুলে ধরেছেন। 

রিয়াল সমর্থকদের মতে, আনচেলত্তির চেয়ে আলোনসো অনেক বেশি সক্রিয়। অনুশীলনে যখন তিনি মনে করেন খেলা থামিয়ে দেন। সুনির্দিষ্টভাবে শিষ্যদের বুঝিয়ে দেন তিনি কী চান। প্রয়োজনে চিৎকারও করেন। তাঁর খেলোয়াড়দের প্রতিটি পদক্ষেপ তিনি তীক্ষ্ণভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। প্রতিনিয়ত তাদের শুধরে দেন। অনুশীলনে আলোনসোর এ পরিশ্রমী ও কড়া হেড মাস্টার রূপ দেখে আশাবাদী রিয়াল ভক্তরা।

কোচ হিসেবে আনচেলত্তি খেলোয়াড়দের বেশ স্বাধীনতা দেন। আলোনসো নিজে ইতালিয়ান এ কোচের অধীনে খেলেছেন। তাই বলে তাঁর দর্শন আলোনসোর মাঝে খুব বেশি দেখা যায় না। বরং অন্য গুরু রাফা বেনিতেজ, হোসে মরিনহো ও পেপ গার্দিওলার প্রভাব তাঁর মাঝে বেশি দেখা যায়। ২৬ মে রিয়ালের হয়ে প্রথম সংবাদ সম্মেলনেই তিনি ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছিলেন কেমন দল চান তিনি, ‘বর্তমান সময়ে ফুটবলে আপনাকে অবশ্যই নমনীয় ও ডায়নামিক হতে হবে। আমরা কীভাবে খেলতে চাই, সে ব্যাপারে আমার একটা ধারণা আছে। তবে সিস্টেম বদলাতেও পারে। চার ডিফেন্ডার বা তিনজন নিয়েও খেলতে হতে পারে।’ 

তবে প্রস্তুতির খুব বেশি সময় তিনি পাননি। তার পরও শিরোপা জেতার ব্যাপারে মরিয়া তিনি, ‘আমরা তীব্র আকাঙ্ক্ষা নিয়ে এখানে এসেছি। আশা করি, ভালো একটা টুর্নামেন্ট কাটাতে পারব এবং শেষ পর্যন্ত যেতে পারব।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ল ব ব শ বক প

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি

‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে ‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।

এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’

‎বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন

‎জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।

‎তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।

‎কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।

‎পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”

‎গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”

‎অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, ‎যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ