Prothomalo:
2025-06-18@11:05:27 GMT

বিরল গোলাপি হাতির দেখা

Published: 18th, June 2025 GMT

বাংলাদেশে দেখা গেল কিছুটা গোলাপি রঙের একটি হস্তীশাবক। ১৩ জুন রাঙামাটির দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় একদল হাতির পানিতে সাঁতরানোর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরে আসে। হাতির ওই দলে গোলাপি রঙের শাবকটি দেখে চমকে উঠি! এমন হাতি বাংলাদেশে আগে কখনো দেখিনি। হাতির শাবকটি নিজের চোখে দেখার ইচ্ছা জাগে। ১৫ জুন রাতে বন্য প্রাণী গবেষক আমীর হামজাকে নিয়ে রওনা হই রাঙামাটির উদ্দেশে।

পরদিন সকাল ৯টার দিকে আমরা পৌঁছে যাই হাতির নিকটবর্তী এলাকায়। পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বর্তমান ও সাবেক বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এবং মাঠপর্যায়ের বনকর্মীদের আন্তরিক সহযোগিতায় হাতির দলটিকে একটি টিলায় খুঁজে পাই খুব সহজেই। শাবকটি দেখে শরীরে শিহরণ বয়ে যায়! এত সহজে হাতির দলটিকে পেয়ে যাব, ভাবিনি।

দলে মোট আটটি হাতি আছে। এর মধ্যে পাঁচটি পূর্ণ বয়সী, একটি কিশোর, দুটি শাবক। সবচেয়ে ছোট শাবকটি গোলাপি রঙের। সাধারণত বাচ্চা হাতির সারা গায়ে কালো লোম থাকে, ফলে বাচ্চার গায়ের রং বেশ কালচে দেখায়। কিন্তু এই শাবক বেশ ব্যতিক্রম। শাবকটির বয়স হবে এক থেকে দেড় মাস। এটি পুরুষ। আমার জানামতে, বাংলাদেশে এর আগে এমন রঙের হাতির দেখা পাওয়া যায়নি।

বুনো কিংবা পোষা প্রাণীর মধ্যে অনেক সময় স্বাভাবিক গায়ের রং থেকে আলাদা সাদা রঙের প্রাণী দেখা যায়। এদেরকে আমরা বলি ‘অ্যালবিনো’। তবে হাতির ক্ষেত্রে পুরোপুরি সাদা অ্যালবিনো অত্যন্ত বিরল। হাতির ক্ষেত্রে আংশিক রং পরিবর্তন দেখা যায় বেশি। লালচে-বাদামি কিছু হাতি আছে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, লাওস ও ভিয়েতনামে। পানিতে ভিজলে এই রঙের হাতিকে হালকা গোলাপি মনে হয়। এমন হাতি সাধারণত পালা হাতির বংশদের মধ্যে বেশি জন্মগ্রহণ করে।

হাতির দেহের রং কেন সাদা বা গোলাপি হয়, তার গবেষণাভিত্তিক তথ্য তেমন একটা নেই। অনেকে মনে করেন, ত্বকের জন্য দরকারি মেলানিন নামের রঞ্জক তৈরি না হলে বা নষ্ট হয়ে গেলে হাতির দেহের রং এমন হতে পারে। রাঙামাটির এই হাতির শাবকের মা স্বাভাবিক রঙের, তবে দলনেত্রীর শুঁড় ও মাথার সম্মুখভাগ স্বাভাবিকের তুলনায় গোলাপি।

হাতির দলনেত্রীর গোলাপি রঙের শুঁড় ও মাথা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ বকট

এছাড়াও পড়ুন:

রাজধানীর ৫৯ শতাংশ ভবনে এডিস মশার লার্ভা

রাজধানী ঢাকার ৫৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ বহুতল ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। গত বছর মে মাসে প্রকাশিত জরিপে এই হার ছিল ৪২ শতাংশ। এক বছরে বহুতল ভবনে এডিস মশার লার্ভা বেড়েছে ১৬ শতাংশ।

বুধবার বিকেলে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে আইইডিসিআরের অডিটোরিয়ামে ডেঙ্গু রোগের বাহকের কীটতাত্বিক জরিপে (২০২৪-২০২৫) এই তথ্য উঠে এসেছে। আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন জরিপের তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের ৪১ ও ৩১টি ওয়ার্ডে মশার ঘনত্ব নির্দিষ্ট সূচকের চেয়ে বেশি যা ডেঙ্গু রোগের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ১৩টি ওয়ার্ড সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।

ঝিনাইদাহ, মাগুরায় এডিস মশার ঘনত্ব বেশি 
ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, ঢাকার বাইরে ঝিনাইদহ, মাগুরা, পটুয়াখালী ও পিরোজপুরে এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি বেশি। 
জিনাইদহ শহর এলাকায় এডিসের জরিপের তথ্য অনুসারে ২৭০টা বাড়ি পরিদর্শন করে ৫৪টি এডিসের লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ঝিনাইদহে ব্রুটো ইনডেক্স ৬০ পাওয়া গেছে, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। পিরোজপুর ও মাগুরায় ১০০ শতাংশ ভেক্টর এডিস অ্যালবোপেক্টাস। প্লাস্টিক ড্রাম, প্লাটিক বাস্কেট, দইয়ের খালি পাত্রে লার্ভার উপস্থিতি বেশি পাওয়া গেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ