মঙ্গলবার রাতে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে মাঠে নেমেছিল ইন্টার মিলান ও বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। ইউরোপের দুটি দলই অবশ্য পয়েন্ট হারিয়েছে। ইন্টার ১-১ গোলে ড্র করেছে মেক্সিকান ক্লাব মন্টেরির সঙ্গে। আর বরুসিয়া গোলশূন্য ড্র করেছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমেন্সের বিপক্ষে।
ইন্টার মিলান ও মন্টেরির ম্যাচটি শুরু থেকেই ছিল দারুণ ছন্দে। প্রথমার্ধে বল দখলে কিছুটা এগিয়ে ছিল ইন্টার। তবে রক্ষণে মন্টেরির দৃঢ়তা ভাঙা ছিল বেশ কঠিন। ২০ মিনিটে ইন্টার ফরোয়ার্ড লাওতারো মার্তিনেজ একটি দুর্দান্ত আক্রমণ থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। তবে মন্টেরি দ্রুত ঘুরে দাঁড়ায়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই (৫১ মিনিটে) জার্মান বের্তারামে এক দৃষ্টিনন্দন ভলিতে গোল শোধ করেন। এরপর উভয় দলই চেষ্টা করেছে জয় আদায়ে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল হয়নি।
ম্যাচের শেষদিকে ইন্টার একাধিকবার গোলের কাছাকাছি গেলেও মন্টেরির গোলরক্ষক দুর্দান্ত কিছু সেভ করে পয়েন্ট ভাগাভাগিতে বাধ্য করেন ইন্টারকে।
আরো পড়ুন:
ক্লাব বিশ্বকাপের প্রথম দুইদিন
ইউরোপের আধিপত্য, গোলবন্যা আর প্রত্যাবর্তনের গল্প
ভরা মাঠে ক্লাব বিশ্বকাপ ড্রয়ে শুরু মায়ামির
এদিকে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ও ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমেন্সের ম্যাচটি ছিল অনেক বেশি রক্ষণাত্মক মনোভাবের। দুই দলই প্রথম থেকেই নিজেদের রক্ষণ সুরক্ষিত রাখতে বেশি মনোযোগ দেয়। যার ফলে আক্রমণভাগ তেমন সক্রিয় ছিল না।
ডর্টমুন্ডের মার্কো রয়েস ও কোরাডো বারিসিচ কয়েকটি ভালো সুযোগ তৈরি করলেও ফ্লুমেন্সের রক্ষণদেয়াল ও গোলরক্ষক ফ্যাবিও একটিও গোলের সুযোগ দেননি। অন্যদিকে ফ্লুমেন্সেও কাউন্টার অ্যাটাকের কৌশলে খেললেও জার্মান ক্লাবের রক্ষণের ভেতর দিয়ে এগিয়ে যাওয়া কঠিন ছিল।
শেষদিকে কিছুটা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে দুই দল। তবে সময়ের অভাবে গোলের দেখা মেলেনি। পুরো ম্যাচে গোলের জন্য চেষ্টার কমতি না থাকলেও গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে উভয় দল।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল মন ট র র ইন ট র বর স য়
এছাড়াও পড়ুন:
‘কবর’ কবিতার শতবর্ষ পূর্তি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক
পল্লিকবি জসীমউদ্দীনের ‘কবর’ কবিতা বাংলা সাহিত্যের এক অবিস্মরণীয় সৃষ্টি। ১৯২৫ সালে লেখা অমর এ কবিতার শতবর্ষ এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ‘কবর’ কবিতা তৎকালীন সময়ের সমাজের চিত্রকে তুলে ধরেছে।
‘কবর’ কবিতার শতবর্ষ উপলক্ষে প্রকাশিত ‘শতবর্ষে কবর’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে এ কথা বলেন বক্তারা। শনিবার বিকেলে রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মিলনায়তনে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
‘শতবর্ষে কবর’ গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন মফিজ ইমাম মিলন। ৪৮ জন লেখকের লেখা নিয়ে প্রকাশিত এই গ্রন্থ প্রকাশ করেছে নয়নজুলি প্রকাশনাী।
অনুষ্ঠানে অতিথিদের বক্তব্যে উঠে আসে জসীমউদ্দীনের অবিস্মরণীয় সৃষ্টি ‘কবর’ কবিতার নানান প্রসঙ্গ। কবিতাটি ১৯২৫ সালে ‘গ্রাম্য কবিতা’ পরিচয়ে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল কল্লোল পত্রিকার তৃতীয় বর্ষ তৃতীয় সংখ্যায়।
আলোচকেরা বলেন, ‘কবর’ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই বিপুল সাড়া জাগিয়েছিল। কবিতাটি দীনেশচন্দ্র সেন, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল। এমনকি ‘কবর’ পড়ে দীনেশচন্দ্র সেন ‘অ্যান ইয়াং মোহামেডান পোয়েট’ শিরোনামে একটি আলোচনাও লিখেছিলেন ফরওয়ার্ড পত্রিকায়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আববার বলেন, ‘কবর’ কবিতার শত বছর পূর্তির ঘটনা একটা গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। কবিতাটির শতবর্ষ নিয়ে বই প্রকাশ ব্যতিক্রমী প্রয়াস।
এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, প্রতিটি শহরে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের মতো সংগঠন থাকা উচিত। একটা বৃহত্তর পরিবারের মতো কাজ করে তারা। তিনি বলেন, এ ধরনের নাগরিক সমাজ রাষ্ট্রের বাইরে থেকে দেশ ও সমাজ সম্পর্কে ভাবে। এটা বিশাল শক্তি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুর ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জালাল আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক আন্দালিব রাশদী, পক্ষিবিশারদ ইনাম আল হক, কথাসাহিত্যিক ফারুক মঈন উদ্দীন। গবেষক, সাংবাদিক ও ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মফিজ ইমাম মিলনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন নয়নজুলি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আলী খান, অধ্যাপক এম এ সামাদ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ কাকলী মুখোপাধ্যায়, ডেইলি স্টারের সাহিত্য সম্পাদক ইমরান মাহফুজ প্রমুখ।
‘শতবর্ষে কবর’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান শুরু হয় ‘কবর’ কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে। স্বাগত বক্তব্য দেন ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আলতাফ হোসেন।