আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৩৬ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন এইডেন মার্করাম। তাঁর সেই ইনিংস দক্ষিণ আফ্রিকাকে টেস্টের রাজদণ্ড এনে দেয়। ২৭ বছর পর জেতা এই বৈশ্বিক ট্রফি প্রোটিয়াদের ‘চোকার্স’ কলঙ্কটাও মুছে দেয়।

লর্ডসে স্মরণীয় ইনিংসটি খেলে ম্যাচসেরাও হন মার্করাম। ৩০ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান এবার শুনলেন আরেকটি সুসংবাদ। টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র‍্যাঙ্কিংয়ে তিনি শীর্ষ দশের দুয়ারে পৌঁছে গেছেন। সাত ধাপ এগিয়ে উঠছেন ১১ নম্বরে।

আজ বুধবার হালনাগাদ র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে আইসিসি। নতুন র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী বর্তমানে মার্করামের রেটিং পয়েন্ট ৭২৩। দশে থাকা নিউজিল্যান্ডের ড্যারিল মিচেলের চেয়ে মাত্র ২ রেটিং পয়েন্ট কম।

ফাইনালে দুই ইনিংস মিলিয়ে মাত্র ২০ রান করা অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড র‍্যাঙ্কিংয়ে চার ধাপ পিছিয়ে ১২ নম্বরে নেমে গেছেন। এই সুযোগে ম্যাচ না খেলেও দুই ধাপ এগিয়ে শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছেন মিচেল।

ব্যাটসম্যানদের র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ সাতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা আছেন ছয়ে। চূড়ায় আছেন ইংল্যান্ডের তারকা ব্যাটসম্যান জো রুট।

বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সেরা অবস্থানে আছেন লিটন দাস। এক ধাপ এগিয়ে ইংল্যান্ডের জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে যৌথভাবে ৩৭ নম্বরে আছেন লিটন। দুজনেরই রেটিং পয়েন্ট ৫৭১। মুশফিকুর রহিমও এক ধাপ এগিয়েছেন। তিনি আছেন ৩৯ নম্বরে।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান গল টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরির আশায় আছেন মুশফিক। আজ দুপুরে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে লিটন অপরাজিত ছিলেন ৬১ রানে।

দারুণ ব্যাটিং করায় এই টেস্ট শেষে স্বাভাবিকভাবেই রেটিং পয়েন্ট বাড়ার কথা মুশফিক ও লিটনের। ছন্দ ধরে রাখতে পারলে পরবর্তী হালনাগাদ র‍্যাঙ্কিংয়ে হয়তো আরও ওপরে উঠে আসবেন।

লর্ডসে দুই ইনিংস মিলিয়ে ১১০ রানে ৯ উইকেট নেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাদা, যা বৈশ্বিক আসরের ফাইনালে কোনো বোলারের সেরা বোলিং। এমন পারফরম্যান্সের পর টেস্ট বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে দুই নম্বর স্থান ধরে রেখেছেন রাবাদা। যথারীতি শীর্ষে আছেন ভারতের যশপ্রীত বুমরা।

টেস্টে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সেরা অবস্থানে আছেন তাইজুল ইসলাম (১৬ নম্বর)। বাঁহাতি এই স্পিনারের অবস্থানের নড়চড় হয়নি।

অলরাউন্ডারদের র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ পাঁচের দুজনই বাংলাদেশি। মেহেদী হাসান মিরাজ দুইয়ে ও সাকিব আল হাসান পাঁচে আছেন। যথারীতি চূড়ায় ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অপরাজিত ফিফটিসহ ৫৯ রান করেন মিচেল স্টার্ক। দুই ইনিংস মিলিয়ে নেন ৫ উইকেটে। সেটির পুরস্কার হিসেবে অলরাউন্ডারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ এগিয়ে দশে উঠে এসেছেন তিনি।

দলীয় র‍্যাঙ্কিংয়েও পরিবর্তন এসেছে। দুই বছরের জন্য টেস্টের রাজদণ্ড পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা দুইয়ে উঠে এসেছে। ইংল্যান্ড নেমে গেছে তিনে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে হেরেও এক নম্বরে আছে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ আছে নয়ে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব য টসম য ন ম র কর ম ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ