Risingbd:
2025-08-03@01:29:42 GMT

নলছিটিতে পানি উঠছে না নলকূপে

Published: 18th, June 2025 GMT

নলছিটিতে পানি উঠছে না নলকূপে

বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ঝালকাঠির নলছিটিতে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। পৌরসভা এলাকা ও বেশিরভাগ ইউনিয়নে অকেজো হয়ে পড়ে আছে হাজারের বেশি গভীর নলকূপ। পানির চাহিদা মেটাতে পৌরসভার দুটি পানি সাপ্লাই ইউনিট থাকলেও তাদের পানি সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন নয়। এ কারণে পানি তুলতে সাবমারসিবল পাম্পের দিকে ঝুঁকছেন বাসিন্দারা।

গ্রাহকদের সকাল-সন্ধ্যা প্রতিদিন দুইবার পানি সরবরাহ করার কথা থাকলেও নিয়ম মানছে না পৌর কর্তৃপক্ষ। গ্রাহকদের অভিযোগ, পৌরসভার নান্দিকাঠি এলাকার সারফেস ওয়াটার টিটমেন্ট প্লান্ট সুগন্ধা নদীর পানি শোধনাগারে পরিষ্কার করে পরিবেশন করবে, কিন্তু সেই পানির সঙ্গে যাচ্ছে কাঁদা-ময়লা। এতে সাপ্লাইয়ের পানির সংযোগ নিতে আগ্রহী হচ্ছেন না পৌরবাসী। এমতাবস্থায় তীব্র পানি সংকটের আছেন উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রায় ২ লাখ মানুষ।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগে যেখানে মাটির ৭০০-৮০০ ফুট গভীরে মিলত বিশুদ্ধ পানি, এখন তা এক হাজার ফুট গভীর থেকেও তোলা যাচ্ছে না। পুকুর ও খালের দূষিত পানি ব্যবহার করায় পাল্লাদিয়ে বাড়ছে পানিবাহিত নানা রোগ।

নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গত এক সপ্তাহের তথ্যে জানা গেছে, হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ রোগী ভর্তি হয়ে পানিবাহিত রোগের চিকিৎসা নিচ্ছেন।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে উপজেলার সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দপদপিয়া ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকার কয়েকটি বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, নলকূপগুলোতে পানি উঠছে না। যাদের আর্থিক সচ্ছলতা রয়েছে তারা সবাই সাবমারসিবল বসিয়ে পানি তুলছেন। দরিদ্র মানুষজন কলস ও বালতি নিয়ে সাবমারসিবল পাম্পে ভিড় করেছেন পানি নিতে।

নলছিটি পৌরসভার মালিপুর এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “আগে মাটির ৭০০ থেকে ৮০০ ফুট গভীরে পানি মিলত। এখন এক হাজার ফুট গভীর থেকেও পানি তোলা যাচ্ছে না। দিন দিন যেন মাটির গভীরে পানির স্তর নেমে যাচ্ছে। বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। পৌরসভার সাপ্লাইয়ের পানি মানসম্মত না। পানিতে কাদা ও ময়লা থাকে।”

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ভূগর্ভস্থ পানির চাপ কমাতে উপজেলার নাচনমহল ও মোল্লারহার ইউনিয়নের ১২৫৭টি পরিবারকে উপকূলীয় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। এই উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের জনগুরুত্বপূর্ণ হাট-বাজারগুলোতে ৩ হাজর লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পূর্ণ ১৮টি কমিউনিটি টিউবওয়েল স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।

নান্দিকাঠি এলাকার গৃহবধূ রহিমা বেগম বলেন, “নলকূপে পানি না উঠায় আমরা পুকুর ও খালের পানি রান্না-খাওয়ার জন্য ব্যবহার করি। গত এক মাসে শিশুরা ডায়রিয়াসহ নানা ধরনের পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আমরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছি।”

নলছিটি উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৗশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আবদুস সোবাহান বলেন, “বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। এ কারণে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আমরা প্রায়ই গভীর নলকূপে পানি উঠেছে না এমন অভিযোগ পাচ্ছি। নির্বিঘ্নে পানি পেতে হলে সাবমারসিবল বসাতে হবে। বর্ষা মৌসুমে এ অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হবে।”

জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার এরশাদুজ্জামান মৃদুল বলেন, “অপরিকল্পিত নলকূপ স্থাপনের কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সাপ্লাই, বৃষ্টির পানি ও পুকুর জলাশয়ের পানি ফুটিয়ে বিশুদ্ধ করে বিকল্প ব্যবহারে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।”

নলছিটি উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মোট জনসংখ্যা ২ লাখ। এই জনসংখার প্রায় ৫০ ভাগ মানুষ সরকারিভাবে বসানো চার হাজার ও  ব্যক্তি উদ্যোগে বসানো ৬ হাজার গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করেন। বাকিরা পৌর সাপ্লাই, নদী, খাল ও পুকুরের পানি ফুটিয়ে পান করেন।

ঢাকা/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ন র স তর ন উপজ ল র প রসভ র ব যবহ র এল ক র নলক প নলছ ট

এছাড়াও পড়ুন:

গোল ঠেকান, শিরোপা জেতান—তবু দোন্নারুম্মা, এদেরসনদের কদর কম কেন

আপনি গোলরক্ষক। তাহলে আপনার মতো দুর্ভাগা আর কে আছে!

কেন এমন বলা, সেটি বোঝার জন্য এবারের দলবদল মৌসুমে একটু চোখ বোলালেই হবে। এবারের গ্রীষ্মকালীন দলবদল আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে—বিশ্বসেরা গোলরক্ষক হলেও দলবদলের বাজারে খুব একটা কদর মেলে না। মাঠের অন্য পজিশনের খেলোয়াড়দের তুলনায় তাঁদের গুরুত্ব নেই বললেই চলে।

সবচেয়ে বড় উদাহরণ পিএসজির জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। পাশাপাশি ম্যানচেস্টার সিটির এদেরসন ও এসি মিলানের মাইক মাইনিয়ঁর কথাও বলা যায়। এ তিনজনই নিঃসন্দেহে বিশ্বের সেরা ১০ গোলরক্ষকের মধ্যে পড়েন। অনেকের চোখে আবার সেরা পাঁচেই জায়গা তাঁদের। কিন্তু তাঁরা যদি ফরোয়ার্ড, মিডফিল্ডার বা ডিফেন্ডার হতেন, তাহলে তাঁদের এজেন্টদের ফোন বেজেই চলত। আর তাঁদের ক্লাব চুক্তি নবায়নের জন্য পাগল হয়ে উঠত।

কিন্তু গোলকিপার হওয়ায় তাঁদের বাস্তবতা ভিন্ন। পিএসজি ইতিমধ্যেই লিলের তরুণ গোলরক্ষক লুকাস শেভালিয়েকে নিতে যাচ্ছে (যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়নি)। ম্যানচেস্টার সিটিও বার্নলির জেমস ট্রাফোর্ডকে এনেছে গোলরক্ষকদের জন্য ব্রিটিশ ট্রান্সফার ফি রেকর্ড গড়ে। দোন্নারুম্মার জন্য ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের, এদেরসনের জন্য গালাতাসারাইয়ের, আর মাইনিয়ঁর জন্য চেলসির আগ্রহের কথা শোনা গেলেও কোনো কিছুই এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা

সম্পর্কিত নিবন্ধ