রিয়াল মাদ্রিদের ভবিষ্যৎ সাফল্যের অনেক কিছুই নির্ভর করছে তাঁদের দুজনের বোঝাপড়ার ওপর। এ জুটি জমে গেলে রিয়ালের আগামী দিনের অনেক কঠিন কাজও সহজ হয়ে যাবে। ভক্ত–সমর্থকদের চোখও এখন জাবি আলোনসো ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের জুটির দিকে।

তবে রিয়ালের হয়ে নিজের প্রথম ম্যাচের আগে ভিনিসিয়ুস সম্পর্কে আলোনসোর মন্তব্য আশ্বস্ত করবে রিয়াল সমর্থকদের। ক্লাব বিশ্বকাপে গত রাতে আল হিলালের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ভিনিসিয়ুসকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন আলোনসো।

আগে থেকে যোগাযোগ না থাকলেও ভিনিকে চিনতে মাত্র ১০ সেকেন্ড সময় লেগেছে বলেও জানিয়েছেন এই স্প্যানিশ কিংবদন্তি। এ সময় লুকা মদরিচের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কসহ আরও নানা বিষয়ে কথা বলেছেন রিয়ালের এই নতুন কোচ।

আরও পড়ুনজাবিবল—ফুটবলের কৌশলে জাবি আলোনসোর নতুন রোমাঞ্চ ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভিনিসিয়ুস সম্পর্কে জানতে চাইলে আলোনসো বলেছেন, ‘আমি তাকে চিনতাম না, কিন্তু ১০ সেকেন্ডের মধ্যেই তাকে চিনে ফেলেছি। তার আচরণ, তার যোগাযোগের ধরন খুব আবেগপ্রবণ ও আন্তরিক। আপনি যদি তার আশেপাশে থাকেন, আপনি তা অনুভব করবেন। আমি এ ধরনের খেলোয়াড়দের খুব পছন্দ করি। তার হৃদয়টা অনেক বড়—এই কয়েক দিনে আমি সেটাই অনুভব করেছি।’

এ সময় ক্লাব বিশ্বকাপ শেষে রিয়াল ছাড়তে যাওয়া মদরিচের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেছেন আলোনসো, ‘লুকার সঙ্গে কাজ করা খুবই সহজ, কারণ আমাদের সব সময় খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। আমরা সতীর্থ হিসেবে, বন্ধু হিসেবে, আর এখন খেলোয়াড়-কোচ হিসেবেও আমাদের সম্পর্ক দারুণ। আমাদের মধ্যে এমন পর্যাপ্ত বিশ্বাস রয়েছে যে খোলামেলা আলোচনা করা যায়। সে যেভাবে তরুণ খেলোয়াড়দের প্রভাবিত করে, তা আমি দেখতে পছন্দ করি। আমরা তাঁকে উপভোগ করতে চাই। কারণ, সে একজন কিংবদন্তি খেলোয়াড়। শেষ দিন পর্যন্ত তাকে আরেকটু কাজে লাগাতে পারাটা দারুণ ব্যাপার হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে ২ মাথা নিয়ে শিশুর জন্ম

রাজশাহীতে দুই মাথা নিয়ে একটি কন্যাশিশুর জন্ম হয়েছে। শনিবার (২ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজশাহীর খ্রিস্টিয়ান মিশন হাসপাতালে শিশুটির জন্ম হয়।

শিশুটির মায়ের নাম সুমাইয়া খাতুন, আর বাবা গোলাম আযম। তাদের বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলার বিল্লি বাজার এলাকায়।

পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রসব ব্যথা উঠলে সুমাইয়াকে রাজশাহীর খ্রিস্টিয়ান মিশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে তিনি একটি কন্যাশিশুর জন্ম দেন। শিশুটির দেহ একটি হলেও মাথা রয়েছে দুটি।

আরো পড়ুন:

শেরপুরে পুকুরে ভাসছিল শিশুর নিথর দেহ

কু‌ড়িগ্রা‌মে পুকুরে ডুবে শিশুর মুত্যু

শিশুটিকে দেখার পর চিকিৎসকেরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেন। বর্তমানে শিশুটি রামেক হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কে রায় বলেন, ‘‘এটি যমজ শিশু নয়, এটি জন্মগত ত্রুটি। শিশুটির দেহ ও যৌনাঙ্গ একটি হলেও মাথা দুটি। দুই মুখমণ্ডল থাকায় চারটি চোখ, চারটি কান, দুটি নাক এবং দুটি মুখ রয়েছে। শিশুটিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এ ধরনের শিশুর জন্ম খুবই বিরল ঘটনা।’’

ঢাকা/কেয়া/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ