সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। 

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বাণিজ্যমন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার বিকেলে টিসিবি মিলনায়তনে ভোক্তা অধিকার শক্তিশালীকরণ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “আগের সরকারের আমলে ভোক্তার অধিকার ব্যাপকভাবে খর্ব হয়েছে। ভোক্তাদের এখন স্বস্তি দিতে আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন ও প্রশাসনিক সক্ষমতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিতে হবে।” 

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে সিন্ডিকেট করে দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মার্কেট ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে। অন্যায়ভাবে প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করার সংস্কৃতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।” 

তিনি বলেন, “আমাদের আইন সংস্কার করাসহ ভোক্তা অধিকারের জন্য যা যা করা দরকার আমরা করবো। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো যদি শক্তিশালী করি, সক্ষমতা বৃদ্ধি করি তাহলে দুর্বৃত্তরা পিছিয়ে যেতে বাধ্য হবে।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা বাজারে বৈচিত্র্য আনতে পারছি। যার ফলে আমাদের কাজ সহজ হয়েছে। বাজার মনিটরিংয়ের এই প্রচেষ্টায় একটি স্বস্তি এসেছে। আমাদের ক্রয় ক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রাস্ফীতি কমাতে কাজ করছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বৈচিত্র্য আনতে ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা আরো বৈচিত্র্য আনতে চাই। আমরা সবাই মিলে ভোক্তার অধিকার নিশ্চিতে কাজ করব। এই কাজ করতে যদি আমাদের বাণিজ্য নীতি পরিবর্তন করতে হয় তা করবো।”

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “ঈদের সময়ে মসজিদ-মাদ্রাসা লবণ দিয়েছি। এটা একদম নতুন একটা সিদ্ধান্ত। এছাড়া, ঈদের যাত্রায় যাত্রী হয়রানি যেন না হয় সে জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ভোক্তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ন্যায্য মূল্যে, সঠিক দামে পণ্য পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে সবাই মিলে কাজ করব।”

আলোচনা সভার স্বাগত বক্তব্য দেন ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান ও ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম, ক্যাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জামিল চৌধুরী, ক্যাবের উপদেষ্টা আনিসুল হক।

ঢাকা/হাসনাত/ইভা

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ণ জ য উপদ ষ ট আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।

আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।

আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।

ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ