ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের শ্বেতপত্র প্রণয়নে দেশবাসীর কাছে দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য আহ্বান করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে গত ২১ এপ্রিল ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের জন্য এই টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। এই টাস্কফোর্সের মূল উদ্দেশ্য- ডাক ও টেলিযোগাযোগ খাতে গত ১৫ বছরে দুর্নীতি ও অনিয়ম বিষয়ে শ্বেতপত্র প্রণয়ন করা। 

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, টাস্কফোর্স ইতোমধ্যে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে এবং কয়েকটি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ বৈঠকে শ্বেতপত্র প্রণয়নে নাগরিক ও বিভিন্ন অংশীজনদের সম্পৃক্ত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এরই প্রেক্ষাপটে কমিটি দেশবাসীর কাছে তথ্য চেয়ে সহযোগিতা চেয়েছে, যেন একটি তথ্যভিত্তিক ও পূর্ণাঙ্গ শ্বেতপত্র প্রকাশ করা যায়।

যদি কোনো ব্যক্তির কাছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ খাতের জনবল নিয়োগ বা পদোন্নতিতে দুর্নীতি ও অনিয়ম, পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়ম, পলিসিগত বৈষম্য বা অনিয়ম, প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত অনিয়ম ও দুর্নীতি, লাইসেন্স রেজিম ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল ব্যবস্থাপনায় অনিয়মসহ যেকোনো অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য থাকে তাহলে নিচের মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে তাদের তথ্য, মতামত ও প্রস্তাবনা দিতে পারবেন।

তথ্য, মতামত ও প্রস্তাবনা পাঠানোর মাধ্যম: ই-মেইল: ptdtaskforce0425@ptd.

gov.bd এবং লিংক:  https://tinyurl.com/ptd-taskforce

টাস্কফোর্স প্রাপ্ত তথ্য ও মতামত সর্বোচ্চ গোপনীয়তা এবং গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ব তপত র প রণয়ন

এছাড়াও পড়ুন:

এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তিপ্রক্রিয়ায় অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নে নিষ্ক্রিয়তা প্রশ্নে রুল

এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তিপ্রক্রিয়ায় বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো. আসিফ হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।

রিট আবেদন থেকে জানা যায়, এমফিল/পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য গত ১০ আগস্ট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। এ ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্তে ন্যূনতম নম্বর, শ্রেণির সঙ্গে যে জিপিএ/সিজিপিএ নির্ধারণ করা হয়েছে তা অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, চুয়েট ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়) তুলনায় অনেক বেশি উল্লেখ করে তা সমন্বয়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন দেন কয়েকজন প্রার্থী। এতে ফল না পেয়ে সালাহ উদ্দিন মোহাম্মদ উজ্জলসহ তিনজন প্রার্থী রিটটি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জুয়েল আজাদ, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন আদনান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ শফিকুর রহমান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।

পরে আইনজীবী জুয়েল আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তিপ্রক্রিয়ায় অভিন্ন কোনো নীতিমালা না থাকায় গ্রেডিং সিস্টেম নির্ধারণে বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে বৈষম্য দেখা যায়। কারণ, সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা নীতিমালা নেই। ফলে অনেক শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। শিক্ষাসচিব, উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তিপ্রক্রিয়ায় অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নে নিষ্ক্রিয়তা প্রশ্নে রুল