নেত্রকোনায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
Published: 20th, June 2025 GMT
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ব্যানারে নেত্রকোনায় ঝটিকা মিছিল হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুর থেকে মিছিল ও সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের পৃথক দুটি ভিডিও ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন গ্রুপে দেখা যাচ্ছে। মিছিল ও বক্তব্যের স্থান জেলা শহরের বড়বাজার এলাকা ও ছোটবাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে নিশ্চিত হলেও সময় বলতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
মিছিলটির নেতৃত্ব দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক পৌর মেয়র প্রশান্ত কুমার রায়।
পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নেত্রকোনা জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের বেশ কয়েকটি ঝটিকা মিছিল হয়। অবশ্য এসব ঘটনায় মামলাসহ মিছিলে অংশ নেওয়া কিছু নেতা-কর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এরপর গত ১০ মে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল হাফিজ ও জেলা আওয়ামী লীগের নাম লেখা ব্যানার নিয়ে কয়েকজন যুবক একটি ঝটিকা মিছিল করেন। পরে সে মিছিলের একটি ভিডিও ফেসবুকে দেওয়া হয়। তবে ওই মিছিলের স্থান সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুর থেকে প্রশান্ত কুমারের নেতৃত্বে বেশ বড় একটি ঝটিকা মিছিলের ভিডিও ফেসবুকে দেখা যাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিছিলটি সকাল ৬টার দিকে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর প্রশান্ত কুমার দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।
প্রায় দেড় মিনিটের ভিডিওতে দেখা গেছে, লাল গেঞ্জি পরা প্রশান্ত কুমার রায় শারীরিক অসুস্থতার জন্য টেনে টেনে হাঁটছেন। তিনি ও তাঁর সঙ্গে থাকা নেতা-কর্মীরা স্লোগান দিচ্ছেন। মিছিলে ৩৫ থেকে ৪০ জন ছিলেন। তাঁদের বেশির ভাগের মুখে কালো কাপড় ও মাস্ক ছিল।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে প্রশান্ত কুমারের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আজ সকালে বড় বাজার এলাকায় হঠাৎ করে প্রশান্ত কুমারের নেতৃত্বে বেশ কিছু কর্মী-সমর্থক একত্র হয়ে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে মিছিল শুরু করেন। পরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা করে প্রায় তিন মিনিট বক্তব্য দেন। শেষে যে যাঁর মতো করে চলে যান।’
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহ নেওয়াজ মুঠোফোনে বলেন, মিছিল ও বক্তব্য দেওয়ার দুটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি দেখেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এটি ভোরের দিকে হয়েছে। আজ জেলা মোটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন চলছে। পুলিশের অনেক সদস্য ওই নির্বাচনের দায়িত্বে আছেন। এ সুযোগে তাঁরা ঝটিকা মিছিল করে থাকতে পারেন। যেহেতু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, কাজেই এ ধরনের মিছিল ও বক্তব্য বেআইনি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
হালুয়াঘাটে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক অটোরিকশাচালকের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালায়। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করতে পারেনি।
পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মেয়েটি উপজেলার একটি উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। সোমবার দুপুরে সে তার বন্ধুর সঙ্গে একটি পার্কে বেড়াতে যায়। বিকেলের দিকে সেখান থেকে বাড়ি পৌঁছে দিতে কিশোরীকে একটি অটোরিকশায় তুলে দেয় বন্ধু। এ সময় অটোরিকশাচালক হালুয়াঘাট উপজেলা শহরে পূজামণ্ডপ দেখানোর কথা বলে মেয়েটিকে নিয়ে ঘুরতে থাকেন। একপর্যায়ে মেয়েটিকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর রাত ১১টার দিকে গামারীতলা এলাকায় মেয়েটিকে নামিয়ে দিয়ে অটোরিকশাচালক চলে যায়। এরপর মেয়েটিকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার রাতেই অভিযুক্ত আবুল বাশারের (২৫) বাড়িতে যায়। তবে তাঁকে পাওয়া যায়নি। ওই সময় পুলিশ তাঁর অটোরিকশাটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানায় অভিযোগ দিতে যায় মেয়েটির পরিবার। এ বিষয়ে রাতে হালুয়াঘাট থানার ওসি হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘নিজেদের কমিউনিটির লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করে মেয়েটির মা বাদী হয়ে অভিযোগ দিচ্ছেন। অভিযোগ হাতে পেলেই আমরা রাতেই মামলা হিসেবে গ্রহণ করব। অভিযুক্তকেও আমরা ধরে ফেলব।’