কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ব্যানারে নেত্রকোনায় ঝটিকা মিছিল হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুর থেকে মিছিল ও সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের পৃথক দুটি ভিডিও ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন গ্রুপে দেখা যাচ্ছে। মিছিল ও বক্তব্যের স্থান জেলা শহরের বড়বাজার এলাকা ও ছোটবাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে নিশ্চিত হলেও সময় বলতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

মিছিলটির নেতৃত্ব দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক পৌর মেয়র প্রশান্ত কুমার রায়।

পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নেত্রকোনা জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের বেশ কয়েকটি ঝটিকা মিছিল হয়। অবশ্য এসব ঘটনায় মামলাসহ মিছিলে অংশ নেওয়া কিছু নেতা-কর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এরপর গত ১০ মে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল হাফিজ ও জেলা আওয়ামী লীগের নাম লেখা ব্যানার নিয়ে কয়েকজন যুবক একটি ঝটিকা মিছিল করেন। পরে সে মিছিলের একটি ভিডিও ফেসবুকে দেওয়া হয়। তবে ওই মিছিলের স্থান সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুর থেকে প্রশান্ত কুমারের নেতৃত্বে বেশ বড় একটি ঝটিকা মিছিলের ভিডিও ফেসবুকে দেখা যাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিছিলটি সকাল ৬টার দিকে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর প্রশান্ত কুমার দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।

প্রায় দেড় মিনিটের ভিডিওতে দেখা গেছে, লাল গেঞ্জি পরা প্রশান্ত কুমার রায় শারীরিক অসুস্থতার জন্য টেনে টেনে হাঁটছেন। তিনি ও তাঁর সঙ্গে থাকা নেতা-কর্মীরা স্লোগান দিচ্ছেন। মিছিলে ৩৫ থেকে ৪০ জন ছিলেন। তাঁদের বেশির ভাগের মুখে কালো কাপড় ও মাস্ক ছিল।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে প্রশান্ত কুমারের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আজ সকালে বড় বাজার এলাকায় হঠাৎ করে প্রশান্ত কুমারের নেতৃত্বে বেশ কিছু কর্মী-সমর্থক একত্র হয়ে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে মিছিল শুরু করেন। পরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা করে প্রায় তিন মিনিট বক্তব্য দেন। শেষে যে যাঁর মতো করে চলে যান।’

নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহ নেওয়াজ মুঠোফোনে বলেন, মিছিল ও বক্তব্য দেওয়ার দুটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি দেখেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এটি ভোরের দিকে হয়েছে। আজ জেলা মোটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন চলছে। পুলিশের অনেক সদস্য ওই নির্বাচনের দায়িত্বে আছেন। এ সুযোগে তাঁরা ঝটিকা মিছিল করে থাকতে পারেন। যেহেতু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, কাজেই এ ধরনের মিছিল ও বক্তব্য বেআইনি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন ত রক ন আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

বিচারকের ছেলে হত্যা: লিমন ৫ দিনের রিমান্ডে

রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের বাসায় প্রবেশ করে তার ছেলেকে হত্যা এবং স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলার একমাত্র আসামি লিমন মিয়ার (৩৪) পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক মো. মামুনুর রশিদ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আরো পড়ুন:

আশরাফুলের সঙ্গে পরিকল্পিতভাবে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন কোহিনূর: র‌্যাব

রাঙ্গুনিয়ায় শ্রমিক দল নেতাকে গুলি করে হত্যা

রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গাজিউর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, তদন্ত কর্মকর্তা রাজপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুল ইসলাম জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আসামির সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

তিনি আরো জানান, শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসাধীন লিমন মিয়াকে হাসপাতাল ত্যাগের অনুমতি দেয়। এরপর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। বেলা ১১টার পর থেকে তাকে আদালতের হাজতে রাখা হয়। দুপুর ২টার দিকে তাকে আদালতে তোলা হয়। পরে আদালত থেকে তাকে রাজপাড়া থানায় নেওয়া হয়েছে। সেখানে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ড এবং হত্যাচেষ্টার ঘটনার ব্যাপারে লিমন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান তিনি।

গত বৃহস্পতিবার শহরের তেরখাদিয়া ডাবতলা এলাকায় বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের বাসায় আকস্মিক প্রবেশ করেন গাইবান্ধার ফুলছড়ির বাসিন্দা লিমন মিয়া। এরপর তিনি বিচারকের ছেলে তাওসিফ রহমানকে (১৫) ছুরিকাঘাতে ও শ্বাসরোধে খুন করেন। লিমন মিয়ার ছুরিকাঘাতে বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসি (৪৪) আহত হন। এ সময় ধ্বস্তাধ্বস্তিতে হামলাকারী লিমন মিয়াও আহত হন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) নিজে বাদী হয়ে লিমন মিয়াকে একমাত্র আসামি করে রাজপাড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহমান। আসামি এ হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছেন বলে এজাহারে দাবি করা হয়েছে।

ঢাকা/কেয়া/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভেঙে গেল মীরার তৃতীয় সংসার
  • আলো দেখাচ্ছেন দৃষ্টিহীন তরুণ 
  • বাস ধুয়েমুছে চালকের সহকারী ওয়াশরুমে গিয়েছিলেন, ফিরে দেখেন আগুন জ্বলছে
  • ‘বাসটির সঙ্গে একটি ট্রাকের ধাক্কা লাগে, এরপর আর কিছু মনে নেই’
  • রেলের ৭ লাখ টাকার যন্ত্র ২৭ হাজারে বানালেন তিনি
  • রাতে এক ঘণ্টার ব্যবধানে সাভার-ধামরাইয়ে দুই বাসে আগুন
  • জনস্বাস্থ্য নিয়ে গবেষণাই তাঁর নেশা 
  • ইডেনে স্পিন বিষ, ১৫ উইকেটের দিনে উড়ছে ভারত
  • বিচারকের ছেলে হত্যা মামলার আসামি লিমন পাঁচ দিনের রিমান্ডে
  • বিচারকের ছেলে হত্যা: লিমন ৫ দিনের রিমান্ডে