‘স্পাইডার ম্যান’খ্যাত হলিউড অভিনেতা জ্যাক বেটস মারা গেছেন। ক্যালিফোর্নিয়ায় নিজের বাড়িতে ঘুমের মধ্যে তিনি মারা গেছেন বলেন জানিয়েছেন অভিনেতার ভাগ্নে ডিন সুলিভান। তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর।

১৯২৯ সালের ১১ এপ্রিল ফ্লোরিডার মিয়ামিতে জন্মগ্রহণ করেন জ্যাক। তবে তার শৈশব কেটেছে জার্সি সিটিতে। অভিনেতা মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে থিয়েটার নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। এরপর তিনি অভিনয়ে কেরিয়ার তৈরির জন্য নিউ ইয়র্কে চলে যান।

১৯৫৩ সালে ‘রিচার্ড ৩’ দিয়ে অভিনয় দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন জ্যাক। ১৯৬০ থেকে ১৯৬২ সালে ধারাবাহিক ‘চেকমেট’-এ দেখা গিয়েছিল তাকে। এতে তিনি ডেভলিনের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। এরপর তাকে বহু সিনেমা এবং টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে দেখা গেছে।

তার কেরিয়ারের সেরা সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘গডস অ্যান্ড মনস্টার্স’, ‘ফলিং ডাউন’, ‘ব্যাটম্যান ফরএভার’ এবং ‘ব্যাটম্যান অ্যান্ড রবিন’। যদিও অনেকেই তাকে ‘ফ্রেসিয়ার’, ‘ফ্রেন্ডস’, ‘সিনফেল্ড’ এবং ‘এভরিবডি লাভস রেমন্ডের’ মতো টেলিভিশনের বেশ কিছু হিট অনুষ্ঠানের জন্য মনে রাখবেন।

অ্যাক্টরস স্টুডিয়োয় একটি অডিশনের পর জীবনের মোড় ঘুরে গিয়েছিল জ্যাকের। সাতের দশকের শেষের দিকে ‘ড্রাকুলা’য় অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন অভিনেতা। এছাড়াও ‘স্পাইডার ম্যান’-এ তার অভিনীত হেনরি বলকান চরিত্রটিও সকলের নজর কেড়েছিল। সূত্র: ভ্যারাইটি।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

যুদ্ধমুক্ত সবুজ বিশ্ব গড়ার বার্তা

এভারেস্টজয়ী প্রয়াত বন্ধু সজল খালেদ স্মরণে এভারেস্ট বেস ক্যাম্প অভিযান করেছেন লেখক ও গবেষক গাজী মুনছুর আজিজ। ‘যুদ্ধ নয় শান্তি চাই সবুজ বিশ্ব গড়তে চাই’ স্লোগান নিয়ে তিনি এ অভিযান সম্পন্ন করেন। ১৩ জুন বিকেল পৌনে ৩টায় তিনি বেস ক্যাম্প পৌঁছান। এর আগে ৬ জুন সকালে নেপালের লুকলা থেকে বেস ক্যাম্পের উদ্দেশে ট্র্যাকিং শুরু করেন। অষ্টম দিনের মাথায় তিনি পৌঁছান পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে (৫,৩৬৪ মিটার)।
গাজী মুনছুর আজিজ বলেন, ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে যারা এ অভিযানে সম্পৃক্ত হয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। বিশেষ ধন্যবাদ বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্র্যাকিং ক্লাবের (বিএমটিসি) প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশে পর্বতারোহণের স্বপ্নদ্রষ্টা ইনাম আল হকের প্রতি এবং বিএমটিসি ক্লাবের সবার প্রতি। এ ছাড়া ধন্যবাদ অল্টিচিউড হান্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌফিক আহমেদ তমালের প্রতি। তাঁর সার্বিক সহযোগিতায় এ অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন করি।
গাজী মুনছুর আজিজ বলেন, আমরা একটি যুদ্ধমুক্ত পৃথিবী দেখতে চাই, যেখানে বোমার আঘাতে একটি শিশুও মারা যাবে না। এ ছাড়া একটি দূষণমুক্ত বিশ্ব গড়তে চাই, যেখানে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বাঁচবে নির্মল আনন্দে। এসব বার্তা বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দিতে এভারেস্ট বেস ক্যাম্পের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানকে বেছে নিয়েছি।
আজিজ আরও বলেন, ২০১৩ সালের ২০ মে এভারেস্ট জয় করে নামার পথে সজল মারা যান। এখন বাংলাদেশের অনেকেই এভারেস্ট জয় করেছেন, সবাই তাদের গল্প শুনছেন। আমি মনে করি তাদের সঙ্গে সজলের গল্পটাও মানুষ জানুক। সেজন্যই তাঁকে স্মরণ করে আমার এ অভিযান। এ ছাড়া ২০০৭ সালে ইনাম আল হকের পরিকল্পনায় এবং সজলের উদ্যোগে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভে দেশে প্রথম বারের মতো বাংলা ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২০০৯ ও ২০১০ সালেও সজলের উদ্যোগে ম্যারাথন হয়। সজল মারা যাওয়ার পর আর বাংলা ম্যারাথন হয়নি। এরপর সজলকে স্মরণ করে ২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছর মেরিন ড্রাইভে আমি একক ম্যারাথন করে আসছি। এখন বাংলাদেশে প্রচুর ম্যারাথন প্রতিযোগিতা হচ্ছে। আমি মনে করি ম্যারাথনের শুরুর গল্পটাও মানুষ জানুক।
সজল চেয়েছেন ম্যারাথনের মাধ্যমে কক্সবাজারসহ বাংলাদেশের পর্যটনকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করে তোলা এবং একই সঙ্গে পরিবেশ 
সচেতনতার বার্তা দেওয়া।
লেখক ও গবেষক গাজী মুনছুর আজিজ বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্র্যাকিং ক্লাব এবং বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সদস্য। ভ্রমণ বিষয়ে তাঁর বেশ ক’টি বই বের হয়েছে। গত একুশে বইমেলায় বের হয়েছে তাঁর ভ্রমণবিষয়ক বই ‘পাখির খোঁজে বাংলাজুড়ে’। বিভিন্ন ম্যারাথন প্রতিযোগিতা, সাইকেল অভিযানসহ নিয়মিত ভ্রমণ ও অভিযানে বের হন। এ ছাড়া পরিবেশ সচেতনতায় গাছ লাগানোসহ নিয়মিত বিভিন্ন কার্যক্রম করে থাকেন। u

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ২১ দফা দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউন, শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
  • আত্মঘাতী গোলে প্রমোশনের সুযোগ, এরপর যা ঘটল
  • জিমেইলের ভুয়া আনসাবস্ক্রাইব বাটনের মাধ্যমে সাইবার হামলা, সতর্ক থাকার পরামর্শ
  • ফেসবুকে পরিচয় থেকে প্রেম, এরপর যেভাবে যৌনপল্লিতে কিশোরী
  • ‘এরপর যেই শিশুর মৃত্যু হবে, সে হতে পারে আপনার সন্তান’
  • রাজশাহীতে প্রিমিয়ার লিগ চালুর ঘোষণা বিসিবি সভাপতির
  • রাঙা বউয়ের সন্ধানে
  • আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা নিচ্ছেন তো
  • যুদ্ধমুক্ত সবুজ বিশ্ব গড়ার বার্তা