মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ইরানের শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন চান না। তিনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সবকিছু শান্ত দেখতে চান।

মঙ্গলবার নেদারল্যান্ডসে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার সময় ট্রাম্প এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের এ কথা বলছেন।

ইরানে শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন দেখতে চান কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “না। যদি থাকে, তাহলে ছিল, কিন্তু না, আমি তা চাই না। আমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সবকিছু শান্ত দেখতে চাই।”

আরো পড়ুন:

ইরান আর কখনো পারমাণবিক কর্মসূচি শুরু করতে পারবে না: ট্রাম্প

ইরানের হামলার আগে কাতারের ঘাঁটি থেকে সৌদিতে যুদ্ধবিমান ও রসদ সরিয়ে নেয় যুক্তরাষ্ট্র

ট্রাম্প আরো বলেন, “শাসনব্যবস্থা পরিবর্তিত হলে বিশৃঙ্খলা হয় এবং আদর্শভাবে আমরা এত বিশৃঙ্খলা দেখতে চাই না।”

এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া মন্তব্যগুলো কয়েকদিন আগে করা ট্রাম্পের একটি পোস্টের সাথে সাংঘর্ষিক বলে মনে হচ্ছে।

রবিবার ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছিলেন, “'শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন শব্দটি ব্যবহার করা রাজনৈতিকভাবে সঠিক নয়, তবে বর্তমান ইরানি শাসনব্যবস্থা যদি ইরানকে আবার মহান করতে অক্ষম হয়, তাহলে কেন শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন হবে না?”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ সনব যবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

‘মব’ তৈরি করে সাবেক সিইসিকে হেনস্তার ঘটনায় এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার

‘মব’ (উচ্ছৃঙ্খল জনতার বিশৃঙ্খলা) তৈরি করে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাকে হেনস্তার ঘটনায় মো. হানিফ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। 

এতে বলা হয়, গত ২২ জুন সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরের রোড-১/এ, বাসা-২৯ এর সামনে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদাকে ৬-৭ জন ঘিরে ফেলে। তারা প্রকাশ্যে সাবেক সিইসির গলায় জুতার মালা পরিয়ে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং ঘটনাটি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণসহ ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সাবেক সিইসির বিরুদ্ধে মামলা থাকায় বিষয়টি উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও তাদের সামনেই সাবেক সিইসিকে লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে সাবেক সিইসিকে ডিবি পুলিশের হেফাজতে হস্তান্তর করে। ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট সেনা ক্যাম্পের নজরে আসলে সেনাবাহিনী দ্রুত অভিযানে নামে। এরই ধারাবাহিকতায় ভায়োলেন্স সৃষ্টিকারী হিসেবে অভিযুক্ত মো. হানিফ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ইতোমধ্যে অন্যান্য জড়িতদের শনাক্তকরণ ও গ্রেপ্তারে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বদ্ধপরিকর এবং এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ