ঢাকার ধামরাইয়ের বালিয়া ইউনিয়নের খাগুটিয়া এলাকায় একটি জমি দখল চেষ্টা ও বিভিন্ন ধরনের গাছপালা কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় বুধবার (২৫ জুন) ধামরাই থানায় বাদি হয়ে অভিযোগ করেন মো. আনিসুর রহমান মোল্লা। এর আগে, গতকাল সকালে ওই গাছপালাগুলো কেটে ফেলা হয়।

অভিযুক্তরা হলেন- ধামরাইয়ের বালিয়া ইউনিয়নের খাগুটিয়া এলাকার মো.

দলু মিয়া (৫৫), শামছুল হক (৫০) ও সোলায়মান (৫৩)।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে ভুক্তভোগীর ধামরাইয়ের খাগুটিয়া মৌজার আরএস ৫১৭ দাগের ২৯ শতাংশ জমিতে ঢুকে একটি টিনের কক্ষ নির্মাণ করে ও বিভিন্ন প্রজাতির অন্তত ৬০-৭০টি গাছ কেটে যায়। এগুলোর আনুমানিক মূল্য ১০ লাখ টাকার বেশি। ভুক্তভোগী তাদের বাধা দিলে অভিযুক্তরা তাদের মারধর করতে উদ্যত হয়। এছাড়া তাদের হুমকিধামকি দেয়।

ভুক্তভোগী আনিসুর রহমান বলেন, “এই জমিটি ক্রয় ও রেকর্ডসূত্রে প্রায় পাঁচ দশক ধরে তার পরিবার ভোগ করছিল। সম্প্রতি অভিযুক্তরা জমি মালিকানা দাবি করেন। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এরমধ্যেই অভিযুক্তরা আদালতের শুনানি অমাণ্য করে জমি দখলের চেষ্টা করে।”

অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম। 

তবে অভিযুক্তদের বিষয়ে কী পদক্ষপ নেওয়া হবে তা তিনি জানাননি।

ঢাকা/সাব্বির/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমি এতিম হয়ে গেলাম রে’

“আমি এতিম হয়ে গেলাম রে, আমার বাবা আর নেই, আমি এখন কী করবো ফুফু”- এভাবেই হাহাকার করছিলেন পাপিয়া আক্তার। বাবা হারানোর শোকে কণ্ঠ যেন পাথর ভেদ করা আর্তনাদ। পাশে অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে আছেন স্বজনরা। সবাই জানে, এই কান্নার আর কোনো সান্ত্বনা নেই।

পাপিয়া মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার ফলসাটিয়া এলাকায় হলি চাইল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাসে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া চালক পারভেজ খানের (৪৫) মেয়ে। তিনদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শেষ পর্যন্ত হার মানলেন পারভেজ খান। সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

আরো পড়ুন:

স্কুল পরিচালকের বিরুদ্ধে ৮ শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাতের অভিযোগ 

শ্রেণিকক্ষে টিকটক বানানোয় ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) গভীর রাতে ফলসাটিয়া বাজারের পাশে থেমে থাকা স্কুল বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। বাসে ওই সময় ঘুমিয়ে ছিলেন চালক পারভেজ খান। আগুনে বাসটি মুহূর্তেই দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। তিনদিন ধরে ৭০ শতাংশ দগ্ধ শরীর নিয়ে বাঁচার লড়াই চালিয়েছেন তিনি। কিন্তু জীবন তাকে আর সময় দেয়নি।

নিহত পারভেজ খান সদর উপজেলার বারাইভিকড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি। তার ঘরে রয়েছে স্ত্রী, এক স্কুলপড়ুয়া ছেলে এবং ছোট মেয়ে পাপিয়া আক্তার। 

স্ত্রী চোখে মুখে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “স্বামীকে হারিয়ে আমরা পথে বসে গেলাম। এখন সন্তানদের কীভাবে মানুষ করবো? কে চালাবে সংসার?”

স্থানীয়রা জানান, এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়, এটা হত্যাকাণ্ড। যারা করেছে, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পারভেজের পরিবার যেন রাষ্ট্রীয় সাহায্য পায়, সন্তানদের পড়াশোনা ও সংসারের ব্যয় চালাতে যেন সরকার ও প্রশাসন এগিয়ে আসে।

শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আমান উল্লাহ বলেন, “গত বৃহস্পতিবার স্কুলবাসটিতে আগুন দেওয়া হয়। এতে দগ্ধ হন বাসটির ভেতর ঘুমিয়ে থাকা চালক পারভেজ। পুলিশ উদ্ধার করে তাকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয় তাকে। স্কুলবাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

ঢাকা/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ