স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‌‘আমাদের দুইটা বড় শত্রু। এক নম্বর দুর্নীতি, আরেকটি হলো মাদক। মাদক থেকে কীভাবে আমরা মুক্ত হতে পারি এই সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে হবে। শুধুমাত্র মাদক নিরাময় কেন্দ্র করে সমস্যার সমাধান করা যাবে না৷ মাদক যেন বাইরে থেকে ঢুকতে না পারেন, মাদক ঢোকানোর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের তথ্য আমাদের দেন৷ মাদকে আমাদের ভাই-বোন ছেলে-মেয়ে সবাই ইনভলভ হয়ে গেছে। মাদকাসক্তি নিরাময়ের খরচ অনেক বেশি৷ অনেক গরীবেরা এটা বহণ করতে পারে না। আমি আশা করব, মাদক নিরাময় কেন্দ্রে যেন কারও ঢুকতে না হয়।’

বুধবার মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষ্যে ৩২টি বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি৷

উপদেষ্টা বলেন, একটি সময় ফেন্সিডিল বাচ্চাদের পেটে ব্যথা হলে খাওয়াতো। এতে সাপের মতো একটা ছবিও থাকতো। মাদকসেবীর সংখ্যা যেন ধীরে ধীরে পুরোপুরি কমে আসে৷ যেভাবেই হোক আমাদের সমাজ থেকে মাদককে উচ্ছেদ করতে হবে৷

সীমান্তবর্তী রাষ্ট্রগুলোতে মাদক উৎপাদন হয় এবং সেগুলো একটি চেইনে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। কিন্তু এ বিষয়ে এ দীর্ঘদিনেও এ সমস্যার সমাধান কেন হচ্ছে না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি সময় ফেন্সিডিল বাচ্চাদের পেটে ব্যথা হলে খাওয়াতো, সাপের মতো একটা ছবিও থাকতো৷ আমি অনেক সময় বিজিবি সেনাদের বলতাম, যদি ফেন্সিডিল ১০০-২০০ টাকার বিনিময়ে দাও এগুলো একটা সময় তোমার পরিবারের কেউ খেলে তখন বুঝবে। এটা শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী না৷ আমাদের সকলকে বুঝতে হবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

উৎসব ঘুরে প্রেক্ষাগৃহে ‘বাড়ির নাম শাহানা’

কৈশোর পেরোনোর আগেই শাহানাবাড়ির মেয়ে দীপার বিয়ে হয়ে যায়। স্বামীর নির্যাতনের জাল ছিঁড়ে নিজের মতো করে বাঁচতে চেয়েছেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের পটভূমিতে দীপার বেঁচে থাকার লড়াইয়ের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বাড়ির নাম শাহানা।

সত্য কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত বাড়ির নাম শাহানায় দীপা চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনান সিদ্দিকা। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে কমলা কালেক্টিভ ও গুপী বাঘা প্রোডাকশন্স লিমিটেড।

নির্মাণের বাইরে লীসা গাজী লেখক, নাট্যকর্মী হিসেবে পরিচিত

সম্পর্কিত নিবন্ধ