‘পৃথিবীর সবচেয়ে সহজ সিনেমাটা আমি বানাব’
Published: 26th, June 2025 GMT
যুবরাজ শামীম এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বিশ্বের সবচেয়ে সহজ সিনেমাটা বানাবেন। যে ছবিতে থাকবে না কোনো প্রযোজকের চিন্তা বা নির্দিষ্ট সময়ে ছবি শেষ করার তাড়া। নিজেই এ জন্য একটি মুঠোফোন নিয়ে প্রকৃতির মধ্যে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন। পরিচালনার পাশাপাশি এ সিনেমার প্রধান চরিত্রেও যে অভিনয় করছেন তিনি। সিনেমার নাম ‘এক ঋতুর অনন্তকাল।’
‘আদিম’ বানিয়ে মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব থেকে স্পেশাল জুরি ও নেটপ্যাক পুরস্কার পান এই তরুণ নির্মাতা। সিনেমাটির বাজেট ছিল অনেক কম। উৎসবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর ভালো প্রযোজকও পেয়েছিলেন যুবরাজ। কিন্তু সেদিকে না হেঁটে ভিন্ন পথে হাঁটা শুরু করেন তিনি। কারও ওপর নির্ভর করে সিনেমা বানাবেন না। তাঁর কথায়, ‘ফিল্মমেকার পরিচয় আমাকে অস্বস্তির মধ্যে ফেলে। ভেতরের নিদারুণ সাফারিং (যন্ত্রণা) থেকে মুক্তির একটা পথ ফিল্মমেকিং, এখানে নিজের প্রশান্তি মেলে। বেঁচে থাকার জন্য প্রশান্তি দরকার। সেটাই আমি সিনেমার মধ্য দিয়ে খুঁজে চলেছি। সেটা নিজের মতো হওয়াটা জরুরি।’
‘এক ঋতুর অনন্তকাল’ সিনেমার একটি দৃশ্যে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরের লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে চলছে
বন্দরের ঐতিহ্যবাহী লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে মেতে উঠেছে চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা। যে খাল দিয়ে এক সময় শীতলক্ষা-বহ্মপুত্র নদীতে সংযোগ ছিল।
সেই ঐতিহ্যবাহী খালটি অবৈধভাবে দখল করে পাঁকা স্থাপনা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেছে ওই সকল ভূমিদস্যুরা।
খালটি দখল হয়ে যাওয়ার কারনে পয়নিষ্কাশনসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত স্থানীয়রা। বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে উল্লেখিত খাল দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালীরা ।
এলাকাবাসী ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ রশিদ ও সানাউল্লাহ সানু এবং বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিনের মদদপুষ্ট হয়ে আদর্শ বিদ্যানিকেতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করতে গিয়ে খাল দখল করে রাস্তা বানিয়েছে।
তেমনি ভাবে গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে পানি চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া খালটি ভরাট করার কারনে বন্দর ইউনিয়নের ৯ নং ওর্য়াডের কদমতলীসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ড্রেজার দিয়ে ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমি ভরাট করতে গিয়ে সরকারি খাল দখল করে নিয়েছে। দেখার যেন কেউ নেই।
বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত হোসেন সৈকত জানান, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েও কোন সুফল পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রভাবশালী মহল ও ভূমিদস্যুদের কর্তৃক দখলকৃত খালটি উদ্ধার করে পয়নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।