আবু সাঈদ হত্যার তদন্ত ও মামলার চার্জশিট প্রত্যাখ্যান বেরোবি শিক্ষার্থীদের
Published: 26th, June 2025 GMT
আবু সাঈদ হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন ও মামলার চার্জশিট প্রত্যাখ্যান করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া চত্বরে আবু সাঈদ হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন ও মামলার চার্জশিট প্রত্যাখ্যান করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।
পরে সেখান থেকে একটি মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। এক পর্যায়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের উত্তর গেটে বিক্ষোভ ও দক্ষিণ গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন।
আরো পড়ুন:
ত্রাণ নিতে গিয়ে খুনের শিকার: ‘বিশ্বের জন্য মহাকলঙ্কের চেয়ে কম নয়’
সিলেটে দেড় মাসের শিশুকে গলাকেটে হত্যা, বাবা ছুরিকাহত
এ সময় রায়হান কবীর বলেন, “আমরা চাই, আবু সাঈদ হত্যা মামলার সুষ্টু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা হোক। ঢাকায় বসে কোনো তদন্ত হতে পারে না। সে বিশ্ববিদ্যালয় সামনে এবং পুলিশের গুলিতে মারা গেছে। কিন্তু তার দায়ভার দেওয়া হয় হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে। সাবেক প্রক্টরকে জবাবদিহিতার নামে নিয়ে গিয়ে তারা তাকে আসল আসামি ও ইন্বনদাতা হিসেবে চালিয়ে দিচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত এ প্রহসনমূলক তদন্ত প্রত্যাহার না করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।”
শাহরিয়ার সোহাগ বলেন, “ছোটদের সামনে এনে রাঘব বোয়ালদের পেছনের ঠেলে দেওয়ার একটা চক্রান্ত চলছে। আবু সাঈদ হত্যা মামলা নিয়ে কোনো ধরনের তালবাহানা হলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ তা মেনে নিব না।”
দীর্ঘ ১১ মাস পর আবু সাঈদ হত্যা মামলায় পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়েছে। এতে ৩০ জনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল।
এ মামলায় সর্বমোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক এএসআই আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় এবং ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশ।
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নগদের পর্ষদ পুনর্গঠনের সুপারিশ
ডাক অধিদপ্তরের ডিজিটাল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মুতাসিম বিল্লাহকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে ডাক বিভাগ। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদও পুনর্গঠনের মতামত দেওয়া হয়েছে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে স্বাক্ষর করেন উপসচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মনিরা আক্তার। প্রজ্ঞাপনটি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, নগদের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা এবং সুশাসন নিশ্চিত করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের মতামত বিবেচনায় নেওয়া হয়।
নতুন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে মালয়েশিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক নিয়াজ আসাদুল্লাহকে। পাশাপাশি তিনি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনারারি প্রফেসরিয়াল ফেলো।
পর্ষদ পুনর্গঠন নিয়ে জারি হওয়া প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পদাধিকারবলে নগদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য থাকবেন ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব। এ ছাড়া থাকবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের পরিচালক, ব্যাংকিং রেগুলেটরি অ্যান্ড পলিসি বিভাগের পরিচালক।
এ ছাড়া বেসরকারি খাত থেকে পর্ষদে যুক্ত রাখার কথা বলা হয়েছে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পরিচালক খন্দকার সাব্বির মোহাম্মদ কবির, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিম হোসেন, দৈনিক ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক সালেহ উদ্দিন এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সদস্য এইচ এম বাররু সানিকে।
প্রস্তাবিত নতুন সিইও ও পরিচালনা পর্ষদের অধীন নগদ আরও কার্যকর ও জনমুখী সেবা নিশ্চিত করতে পারবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।