‎আবু সাঈদ হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন ও মামলার চার্জশিট প্রত্যাখ্যান করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া চত্বরে আবু সাঈদ হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন ও মামলার চার্জশিট প্রত্যাখ্যান করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।

পরে সেখান থেকে একটি মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। এক পর্যায়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের উত্তর গেটে বিক্ষোভ ও দক্ষিণ গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন।

আরো পড়ুন:

ত্রাণ নিতে গিয়ে খুনের শিকার: ‘বিশ্বের জন্য মহাকলঙ্কের চেয়ে কম নয়’

সিলেটে দেড় মাসের শিশুকে গলাকেটে হত্যা, বাবা ছুরিকাহত

এ সময় রায়হান কবীর বলেন, “‎আমরা চাই, আবু সাঈদ হত্যা মামলার সুষ্টু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা হোক। ঢাকায় বসে কোনো তদন্ত হতে পারে না। সে বিশ্ববিদ্যালয় সামনে এবং পুলিশের গুলিতে মারা গেছে। কিন্তু তার দায়ভার দেওয়া হয় হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে। সাবেক প্রক্টরকে জবাবদিহিতার নামে নিয়ে গিয়ে তারা তাকে আসল আসামি ও ইন্বনদাতা হিসেবে চালিয়ে দিচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত এ প্রহসনমূলক তদন্ত প্রত্যাহার না করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।”

‎শাহরিয়ার সোহাগ বলেন, “ছোটদের সামনে এনে রাঘব বোয়ালদের পেছনের ঠেলে দেওয়ার একটা চক্রান্ত চলছে। আবু সাঈদ হত্যা মামলা নিয়ে কোনো ধরনের তালবাহানা হলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ তা মেনে নিব না।”‎

দীর্ঘ ১১ মাস পর আবু সাঈদ হত্যা মামলায় পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়েছে। এতে ৩০ জনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল।

এ মামলায়  সর্বমোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক এএসআই আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় এবং ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশ।

ঢাকা/‎সাজ্জাদ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য

এছাড়াও পড়ুন:

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নারী নিহত

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুরের রাজৈরে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাতে রাজৈর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। 

নিহত নিলুফা ইয়াসমিন নিলা (৩০) বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রুনসী গ্রামের আবুল বাসারের স্ত্রী।

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে ডাম্পট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কা, মা-মেয়ে নিহত

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুয়াকাটা থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল চন্দ্রা পরিবহনের বাসটি। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রাজৈর বাসস্ট্যান্ড পার হওয়ার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়।  পরে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিলার মরদেহ উদ্ধার করে। আহত হন অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

মাদারীপুরের মস্তফাপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, বাস খাদে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। নিহত নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/বেলাল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ