জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদ হত্যা মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে দেওয়া চার্জশিট প্রত্যাখ্যান করেছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, গণশুনানি কিংবা প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যগ্রহণ ছাড়াই এই চার্জশিট তৈরি করা হয়েছে, যা ভিত্তিহীন ও মনগড়া।

গতকাল বৃহস্পতিবার তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে জমা দিয়েছে তদন্ত সংস্থা। প্রতিবেদনে আবু সাঈদ হত্যার সঙ্গে ৩০ জনের সম্পৃক্ততা মিলেছে বলে জানা গেছে। এ মামলায় চার আসামি কারাগারে রয়েছেন। তারা হলেন- রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও ছাত্রলীগ  নেতা ইমরান চৌধুরী।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে গতকাল বৃহস্পতিবার দিনভর অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এতে শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী অংশ নেন। তারা বলেন, ঢাকায় বসেই ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটররা আবু সাইদ হত্যাকাণ্ড নিয়ে একটি পক্ষপাতদুষ্ট ও বিকৃত তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। তারা শহীদ আবু সাঈদের সহপাঠী, আন্দোলনের সহযোদ্ধা কিংবা প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য নেননি। এমনকি কোনো গণশুনানিও হয়নি। 

শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, সাবেক প্রক্টর শরীফুল ইসলামকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হত্যা মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে, যদিও তিনি সেই সময় আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন এবং হত্যাকাণ্ডের  সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তারা তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাহার করে নতুনভাবে নিরপেক্ষ তদন্ত ও গণশুনানি আয়োজনসহ প্রকৃত হত্যাকারীদের দ্রত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান। 

এ সময় বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী উজ্জ্বল, জেদিম, রায়হান, সিনথিয়া প্রমুখ। বিকেলে তারা ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করে জানান, আবু সাঈদ হত্যা মামলার অনেক আসামি এখনো বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন, অথচ তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। মূল অপরাধীদের আঁড়াল করতেই এই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.

শওকাত আলী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কী বলেছে, সেটা আমি এখনও জানি না। তবে চার্জশিট দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট প্রত্যক্ষদর্শী ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলাটা জরুরি ছিল বলে আমি মনে করি।’

অন্যদিকে শহীদ আবু সাঈদের বড় ভাই আবু হোসেন বলেন, ‘এই হত্যা মামলাটি এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। আশা ছিল, আগামী ১৬ জুলাই ঘটনার এক বছরের মাথায় আমরা ভালো একটা ফলাফল পাবো। কিন্তু তদন্তে দফায় দফায় সময় বাড়ানোর পরও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যগ্রহণ ছাড়াই প্রতিবেদন দাখিল করায় শঙ্কায় আছি, ন্যায় বিচার পাবো তো!’

আবু সাঈদের সহপাঠী শামসুর রহমান সুমন বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের প্রায় ১ বছর হতে চলল। কিন্তু এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ায় আমরা হতাশ। দৃশ্যত এটি একটি পুলিশি হত্যাকাণ্ড। আমরা স্পষ্টত বলতে চাই, ১৬ জুলাইয়ের পূর্বে আমরা দৃশ্যমান বিচারিক প্রক্রিয়া দেখতে চাই।’ 

২০২৪ সালের ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। রংপুরের পীরগঞ্জের বাবনপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে আবু সাঈদ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন। ঘটনার একাধিক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, আন্দোলনকারীদের কর্মসূচি চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে পুলিশ আবু সাঈদকে খুব কাছ থেকে গুলি করে। আর আবু সাঈদ এক হাতে লাঠি নিয়ে দুই হাত প্রসারিত করে বুক পেতে দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি লুটিয়ে পড়েন। নিরস্ত্র আবু সাঈদের পুলিশ কর্তৃক গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হন বহু মানুষ, যাতে আরও গতিশীল হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন। ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এ ঘটনায় ১৮ আগস্ট ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন নিহত আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী। 

আসামিরা হলেন- সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ সাবেক কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন, সহকারী কমিশনার আরিফুজ্জামান, সহকারী পুলিশ কমিশনার ইমরান হোসেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মশিউর রহমান ও আসাদুজ্জামান মণ্ডল, কর্মকর্তা রাফিউল হাসান, বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই বিভূতিভূষণ, তাজহাট থানার ওসি রবিউল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শামীম মাহফুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় কুমার টগর ও দপ্তর সম্পাদক বাবুল হোসেন, তাজহাট থানার এএসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র। এই হত্যা মামলায় আসামির তালিকায় নতুন আরও ৭ জনকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। 

বাদী রমজান আলীর দায়ের করা হত্যা মামলায় ১৪ অক্টোবর আদালতে আবেদন করা হলে দাখিলকৃত ছবি ও সিসি টিভি ফুটেজ জব্দ করে ও গ্রহণের আদেশ প্রদান করেন আদালত। নতুন সাত আসামির মধ্যে রয়েছেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. হাসিবুর রশিদ, সাবেক প্রক্টর ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা শাখা) শাহ নূর আলম পাটোয়ারী, বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক ও অস্থায়ী চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নূরুন্নবী, সুরতহাল প্রস্তুতকারী কর্মকর্তা এসআই তরিকুল ইসলাম ও সুরতাহাল রিপোর্টের প্রতিস্বাক্ষরকারী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাদাত। 

মামলায় বিতর্ক

আবু সাঈদ নিহত হওয়ার পরদিন ১৭ জুলাই তাজহাট থানায় একটি মামলা হয়। মামলার বাদী ওই থানার উপপরিদর্শক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতিভূষণ রায়। মামলার এফআইআরে আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ নেই। সেখানে বলা হয়েছে, ‘বেলা ২টা ১৫ মিনিটের দিকে ছাত্র নামধারী সুবিধাভোগী রাষ্ট্রবিরোধী আন্দোলনরত দুর্বৃরা বিভিন্ন দিক থেকে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ও তাদের নিকটে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র হতে এলোপাতাড়ি গুলি শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশও এপিসি গাড়ি থেকে সরকারি ইস্যুকৃত শটগান হইতে ১৬৯ রাউন্ড রাবার বুলেট ফায়ার করে। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।’ 

আবু সাঈদের মৃত্যুর বিষয়ে বলা হয়, ‘বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের এক পর্যায়ে একজন শিক্ষার্থীকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। সহপাঠীরা ধরাধরি করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ২/৩ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।’

পিবিআই’র তদন্ত

আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)। পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশে প্রথমে মামলাটি পিবিআই’র কাছে স্থানান্তর করা হয়। পিবিআই রংপুরের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে
ওই মামলায় ৪ জনকে গ্রেপ্তারসহ রিমাণ্ডে নিয়ে তাদের জিজ্ঞসাবাদ করা হয়। পরে মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গেলে ট্রাইব্যুনাল ওই চারজনকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়েছেন। এখন ওই মামলা চলমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে মামলা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সবগুলো নথি সরবরাহ করা হবে।

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন

আবু সাঈদের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে। তাতে বলা হয়েছে, আবু সাঈদের মুখ থেকে ঊরু পর্যন্ত ছিল ছররা গুলির চিহ্ন। ছররা গুলি ঢুকে তার শরীরের ভেতরের বিভিন্ন অংশে গর্ত তৈরি করেছিল। এ কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। তবে তার মাথার বা দিকেও আঘাতের কারণে রক্তজমাট ছিল। আবু সাঈদের মরদেহের ময়নাতদন্ত করেন রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. রাজিবুল ইসলাম। তিনি জানান, ৩০ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। পুলিশের ছররা গুলিতে আবু সাঈদের মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে ডা. রাজিবুল ইসলাম বলেন, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। সেসময় প্রতিবেদন তৈরিতে নানামুখী চাপ ছিল বলেও জানান তিনি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ল ই গণহত য হত য ক ণ ড ব গম র ক য় স ঈদ র ম গণশ ন ন ল ইসল ম র তদন ত ক প রক সহপ ঠ সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

সাবধান! ভুয়া চাকরির প্রলোভনে ম্যালওয়্যার ছড়াচ্ছে হ্যাকাররা

লিংকডইনসহ পেশাদার কর্মীদের বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে ভুয়া চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নতুন করে কম্পিউটারে ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার ছড়াচ্ছে উত্তর কোরিয়ার একদল হ্যাকার। ‘বিভারটেইল’ ও ‘ইনভিজিবলফেরেট’ নামের ম্যালওয়্যারগুলো কাজে লাগিয়ে দূর থেকে সুপরিকল্পিতভাবে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের কম্পিউটার থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করছে তারা।

সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সকেট থ্রেট রিসার্চ জানিয়েছে, ভুয়া চাকরির প্রলোভনে এ ম্যালওয়্যার ছড়ানো হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে হ্যাকাররা প্রথমে নিজেদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকর্তা পরিচয় দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা সফটওয়্যার নির্মাতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর ‘টেস্ট প্রজেক্ট’ বা ‘কোডিং অ্যাসাইনমেন্ট’–এর নামে একটি গুগল ডক ফাইল পাঠায়। ফাইলটিতে ওপেন সোর্স মাধ্যম এনপিএমে (নোড প্যাকেজ ম্যানেজার) ৩৫টি ক্ষতিকর প্যাকেজ যুক্ত থাকায় নামালেই কম্পিউটারে বিভারটেইল ও ইনভিজিবলফেরেট ম্যালওয়্যার ইনস্টল হয়ে যায়। এরপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম্পিউটারে থাকা সব তথ্য সংগ্রহ করে হ্যাকারদের কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সার্ভারে পাঠাতে থাকে ম্যালওয়্যারগুলো।

বিভারটেইল ম্যালওয়্যার মূলত ব্রাউজারে সংরক্ষিত কুকি, পাসওয়ার্ড ও ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেটের তথ্য চুরি করার পাশাপাশি নতুন ম্যালওয়্যার ইনস্টলের সুযোগ তৈরি করে। ফলে সহজেই দূর থেকে কম্পিউটারে থাকা ফাইল সংগ্রহ, পর্দার ছবি তোলা, কি-বোর্ডের ব্যবহার নজরদারি করাসহ পুরো কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, হ্যাকাররা ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা না করেই বড় পরিসরে আক্রমণ চালাচ্ছে। তাই এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। ম্যালওয়্যার হামলা থেকে নিরাপদে থাকতে অচেনা উৎস থেকে পাওয়া কোনো কোড বা সফটওয়্যার সরাসরি নিজেদের কম্পিউটারে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

সূত্র: ব্লিপিং কম্পিউটার

সম্পর্কিত নিবন্ধ